শিরোনাম :
Logo চাঁদপুর পুলিশ লাইন্স ও সদর মডেল থানা পরিদর্শনে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি Logo চাঁদপুরে এমআরপিসি কমিটির দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত Logo “বার্ষিক মূল্যায়নে ইবি উপাচার্যের প্রাপ্ত নম্বর ১০ এর মধ্যে ২.৪৫” Logo কয়রায় কসাইদের নিরাপদ আমিষ নিশ্চিতকরণে প্রশিক্ষণ Logo ঝিকুট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মালখানগর ঐক্যতান সমাজকল্যাণ সংগঠনের শুভেচ্ছা Logo চাঁদপুরে ২১ তম জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন Logo রাবিতে প্রো-ভিসি’র ওপর হামলার প্রতিবাদে ইবি জিয়া পরিষদের নিন্দা Logo উৎসবমুখর  পরিবেশে কয়রায় পালিত হতে যাচ্ছে  শারদীয় দুর্গা উৎসব Logo কচুয়ায় ষড়যন্ত্রমূলক মামলার প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর Logo চাঁদপুরে জুলাই শহিদ পরিবার ও যোদ্ধাদের মানববন্ধন

“বার্ষিক মূল্যায়নে ইবি উপাচার্যের প্রাপ্ত নম্বর ১০ এর মধ্যে ২.৪৫”

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি মূল্যায়ন জরিপ পরিচালনা করেছে ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার আন্দোলন’। ওই জরিপে সর্বোচ্চ ১০-এর মধ্যে উপাচার্যের প্রাপ্ত নম্বর দাঁড়িয়েছে মাত্র ২.৪৫। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এ তথ্য প্রকাশ করে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলা এ জরিপে মোট ১ হাজার ৩১২ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন ৮৭৬ জন এবং অনাবাসিক শিক্ষার্থী ৪৩৬ জন। অনলাইন গুগল ফর্ম ও ক্যাম্পাসে সরাসরি শিক্ষার্থীদের মতামত নেওয়ার ভিত্তিতে এ জরিপ পরিচালিত হয়। ফলাফল নির্ধারণের ক্ষেত্রে ১-৩ খারাপ, ৪-৬ মোটামুটি, ৭-৮ ভালো এবং ৯-১০ অতি ভালো হিসেবে ধরা হয়।
জরিপে শিক্ষার্থীদের সামনে ১০টি নির্দিষ্ট প্রশ্ন উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে ছিল— সেশনজট নিরসনে উপাচার্যের ভূমিকা, সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার বিচার প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা, ছাত্র সংসদ (ইকসু) গঠন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিকায়ন, আবাসিক হলের খাবারের মান উন্নয়ন, গবেষণা খাতে বাজেট বৃদ্ধি, মেডিকেল সেন্টারের সেবা, নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং পরিবহন সংকট নিরসন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন, বিগত এক বছরে উপাচার্যের কার্যক্রম আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ থেকেছে। বিভিন্ন সময় ছাত্র সংগঠন ও সামাজিক সংগঠন নানা দাবি তুললেও সেগুলোর বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতি হয়নি। গত ৯ সেপ্টেম্বর ১৫ দফা দাবি জানানো হলেও তারও কোনো রোডম্যাপ দেওয়া হয়নি। উল্টো ছাত্র উপদেষ্টার দপ্তর থেকে অনুমতি ছাড়া সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের দাবি অগ্রাহ্যের দৃষ্টান্ত বলে তারা উল্লেখ করেন।
তাদের দাবি, এ জরিপের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে যে শিক্ষার্থীদের কাছে উপাচার্যের কার্যক্রম সন্তোষজনক নয়। প্রাপ্ত ২.৪৫ নম্বর “খুব খারাপ” রেটিংয়ের মধ্যে পড়ে। অর্থাৎ, এক বছরের কার্যক্রমে উপাচার্য কার্যত অকৃতকার্য হয়েছেন।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর পুলিশ লাইন্স ও সদর মডেল থানা পরিদর্শনে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি

“বার্ষিক মূল্যায়নে ইবি উপাচার্যের প্রাপ্ত নম্বর ১০ এর মধ্যে ২.৪৫”

আপডেট সময় : ০৬:০৬:০৫ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি মূল্যায়ন জরিপ পরিচালনা করেছে ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার আন্দোলন’। ওই জরিপে সর্বোচ্চ ১০-এর মধ্যে উপাচার্যের প্রাপ্ত নম্বর দাঁড়িয়েছে মাত্র ২.৪৫। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এ তথ্য প্রকাশ করে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলা এ জরিপে মোট ১ হাজার ৩১২ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন ৮৭৬ জন এবং অনাবাসিক শিক্ষার্থী ৪৩৬ জন। অনলাইন গুগল ফর্ম ও ক্যাম্পাসে সরাসরি শিক্ষার্থীদের মতামত নেওয়ার ভিত্তিতে এ জরিপ পরিচালিত হয়। ফলাফল নির্ধারণের ক্ষেত্রে ১-৩ খারাপ, ৪-৬ মোটামুটি, ৭-৮ ভালো এবং ৯-১০ অতি ভালো হিসেবে ধরা হয়।
জরিপে শিক্ষার্থীদের সামনে ১০টি নির্দিষ্ট প্রশ্ন উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে ছিল— সেশনজট নিরসনে উপাচার্যের ভূমিকা, সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার বিচার প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা, ছাত্র সংসদ (ইকসু) গঠন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিকায়ন, আবাসিক হলের খাবারের মান উন্নয়ন, গবেষণা খাতে বাজেট বৃদ্ধি, মেডিকেল সেন্টারের সেবা, নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং পরিবহন সংকট নিরসন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন, বিগত এক বছরে উপাচার্যের কার্যক্রম আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ থেকেছে। বিভিন্ন সময় ছাত্র সংগঠন ও সামাজিক সংগঠন নানা দাবি তুললেও সেগুলোর বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতি হয়নি। গত ৯ সেপ্টেম্বর ১৫ দফা দাবি জানানো হলেও তারও কোনো রোডম্যাপ দেওয়া হয়নি। উল্টো ছাত্র উপদেষ্টার দপ্তর থেকে অনুমতি ছাড়া সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের দাবি অগ্রাহ্যের দৃষ্টান্ত বলে তারা উল্লেখ করেন।
তাদের দাবি, এ জরিপের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে যে শিক্ষার্থীদের কাছে উপাচার্যের কার্যক্রম সন্তোষজনক নয়। প্রাপ্ত ২.৪৫ নম্বর “খুব খারাপ” রেটিংয়ের মধ্যে পড়ে। অর্থাৎ, এক বছরের কার্যক্রমে উপাচার্য কার্যত অকৃতকার্য হয়েছেন।