উত্তর কোরিয়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আসন্ন যৌথ সামরিক মহড়া থেকে উস্কানিমূলক কোনো ঘটনা ঘটলে উত্তর কোরিয়া তার ‘দৃঢ় প্রতিশোধ’ নেবে।
সোমবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দেশটির প্রতিরক্ষা প্রধান এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
সিউল থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র আগামী ১৮ থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত পারমাণবিক অস্ত্রধারী উত্তর কোরিয়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে তাদের বার্ষিক উলচি ফ্রিডম শিল্ড মহড়া পরিচালনা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ঠিক এমন এক সময় এই সতর্কীকরণ এসেছে।
১৯৫০ সালে প্রতিবেশী দেশটিতে আক্রমণের মাধ্যমে যুদ্ধের সূত্রপাতকারী উত্তর কোরিয়া সব সময়ই যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়ায় ক্ষুব্ধ এবং এগুলোকে আক্রমণের মহড়া হিসেবে নিন্দা করে আসছে।
কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি কর্তৃক প্রকাশিত এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা প্রধান নো কোয়াং চোল বলেছেন, ‘আত্মরক্ষার অধিকারের স্তরে ডিপিআরকে-র সশস্ত্র বাহিনী পূর্ণাঙ্গ এবং দৃঢ় প্রতিপক্ষ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে যুদ্ধ মহড়া মোকাবেলা করবে’।
দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ২৮হাজার ৫শ’ সৈন্য মোতায়েন করে এবং মিত্ররা নিয়মিতভাবে যৌথ মহড়া পরিচালনা করে যা তারা প্রতিরক্ষামূলক প্রকৃতির বলে বর্ণনা করে।
সিউল এবং পিয়ংইয়ং সম্প্রতি সম্পর্কের অবনতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। উভয় পক্ষ সীমান্তে প্রচারণা লাউডস্পিকার সরিয়ে নিয়েছে।
সিউল জানিয়েছে, সিউলের নতুন প্রশাসন নিজস্ব লাউডস্পিকার ভেঙে দেওয়ার কয়েকদিন পর উত্তর কোরিয়ার সেনারা সীমান্তে অস্থির শব্দ ছড়ানোয় জন্য ব্যবহৃত প্রোপাগান্ডা লাউডস্পিকারগুলো ভেঙে ফেলা শুরু করেছে।
জুন মাসে সিউলের সামরিক বাহিনী জানায়, পিয়ংইয়ংয়ের সাথে উত্তেজনা কমাতে প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং নির্বাচিত হওয়ার পর দুই দেশ ইতোমধ্যেই অসামরিকীকরণ অঞ্চলে প্রচারণা সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে।
প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের আমলে দুই কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক বছরের পর বছর ধরে সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে ছিল। সিউল পিয়ংইয়ংয়ের প্রতি কঠোর অবস্থান নিয়েছে, যা রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে মস্কোর আরো ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।