শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির সঙ্গে তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo নোবিপ্রবিতে গবেষণা, বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষণ Logo রাবি ময়মনসিংহ জেলা সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা Logo “কণিকা”সংগঠনের সচেতনতা সেমিনার ও কুইজ এমইএস কলেজে অনুষ্ঠিত Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী

‘আমি কতটা রোমান্টিক, দর্শক এটা বুঝতে পারছেন না’

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৮:১৩:৫১ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
  • ৭৫৫ বার পড়া হয়েছে

ঈদুল আজহায় একমাত্র নারীপ্রধান ছবি ছিল এশা মার্ডার: কর্মফল। সিনেমাটি মুক্তির ২২ দিন পরও প্রথম দিনের মতোই বিভিন্ন সিনেমা হলে ছুটছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। তার সাফল্যের গল্প শেয়ার করেন একটি গণমাধ্যমের সাথে। সেখানে তার অভিনয়ের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

কান চলচ্চিত্র উৎসবের অফিশিয়াল শাখায় মনোনয়ন পাওয়া বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা রেহানা দিয়ে আলোচনায় আসেন বাঁধন। সিনেমাটি দিয়ে এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জেতেন। এরপর কোন সিনেমায় নাম লেখাবেন, সেটা নিয়ে দোটানায় পড়ে যান। একসময় মনে হয়, এই প্রাপ্তি বোঝা না হোক। সেটাকে কাঁধে নিয়েই নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করতে হবে। বাঁধনের মতে, ‘আরেকটি অর্জনের জন্য কি আরও ৫০ বছর অপেক্ষা করব? প্রাপ্তির জায়গায় প্রাপ্তি রেখে আমি ক্যারিয়ার এগিয়ে নিতে চাই। আমাকে কাজ করে যেতে হবে।’

কখনো শিক্ষক, কখনো পুলিশের প্রতিবাদী নারী চরিত্রে দেখা গেলেও নিজেকে ভিন্নভাবে পর্দায় দেখতে চান এই অভিনেত্রী। কারণ হিসেবে জানালেন, বেশির ভাগ দর্শকই নাকি মনে করেন বাঁধন প্রতিবাদী ও ভিন্ন ধরনের গল্পে অভিনয় করেন। এই ট্যাগ তিনি ভাঙতে চান। ‘নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করার আমার খুব ইচ্ছা। আবার রোমান্টিক, হরর, অ্যাকশন—এসব গল্পও করতে চাই। আমি কতটা রোমান্টিক, এটা দর্শক বুঝতে পারছেন না। আমি কিন্তু অনেক রোমান্টিক। সেই গল্পও করব,’ বলেন বাঁধন। রোমান্টিক ও অ্যাকশন সিনেমার জন্য রায়হান রাফীর সঙ্গে কাজ করতে চান।

প্রথমবার পুলিশের গোয়েন্দা কর্মকর্তা হয়েছেন বাঁধন। চেয়েছিলেন এমন এক পুলিশ কর্মকর্তা হতে, যার মধ্যে নায়কোচিত কোনো কিছু থাকবে না। যে হবে রক্তে–মাংসে সাধারণ মানুষের মতো। এ জন্য পরিচালক সানী সানোয়ারকে কৃতিত্ব দিলেন বাঁধন। লিনা চরিত্রের পেছনের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক দিন নারী পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে থেকেছি। তারা কীভাবে কথা বলেন, হাঁটাচলা করেন, কোন ঘটনার কী এক্সপ্রেশন দেন, কাছ থেকে দেখেছি। এগুলোই আমাকে শক্তি দিয়েছে। যে কারণে পুলিশ চরিত্রে রীনা দর্শকদের কাছ থেকে সহমর্মিতা পাচ্ছে।’

বাঁধনকে এবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার চরিত্রে দেখা যাবে। মাস্টার নামের এই সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন রেজওয়ান শাহরিয়ার। এ বছরই সিনেমাটি মুক্তি পাবে। ব্যস্ততা নিয়ে তিনি বলেন, ‘এখনো ঈদের সিনেমার প্রচারণায় আছি। দর্শক নারীপ্রধান একটি চরিত্রকে এতটা আগ্রহের সঙ্গে নেবেন, সেটা অপ্রত্যাশিত ছিল। সিনেমাটি নিয়ে আরও সময় দিতে চাই। এ ছাড়া নিজ উদ্যোগেই ফাইটিং শিখছি। প্রস্তুতিটা নিয়ে রাখছি। সময় হলে কাজে লাগাব। আর আমার কাজ নিয়ে তাড়াহুড়া নেই। আফসোস নেই। রেহানা করেছি, বিশাল ভরদ্বাজের খুফিয়া করেছি, এশা মার্ডার করলাম। ভালো চরিত্রের প্রস্তাব পাচ্ছি, দর্শকদের ভালোবাসা পাচ্ছি। একজীবনে এর বেশি আর কি লাগে।’

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

‘আমি কতটা রোমান্টিক, দর্শক এটা বুঝতে পারছেন না’

আপডেট সময় : ০৮:১৩:৫১ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

ঈদুল আজহায় একমাত্র নারীপ্রধান ছবি ছিল এশা মার্ডার: কর্মফল। সিনেমাটি মুক্তির ২২ দিন পরও প্রথম দিনের মতোই বিভিন্ন সিনেমা হলে ছুটছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। তার সাফল্যের গল্প শেয়ার করেন একটি গণমাধ্যমের সাথে। সেখানে তার অভিনয়ের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

কান চলচ্চিত্র উৎসবের অফিশিয়াল শাখায় মনোনয়ন পাওয়া বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা রেহানা দিয়ে আলোচনায় আসেন বাঁধন। সিনেমাটি দিয়ে এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জেতেন। এরপর কোন সিনেমায় নাম লেখাবেন, সেটা নিয়ে দোটানায় পড়ে যান। একসময় মনে হয়, এই প্রাপ্তি বোঝা না হোক। সেটাকে কাঁধে নিয়েই নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করতে হবে। বাঁধনের মতে, ‘আরেকটি অর্জনের জন্য কি আরও ৫০ বছর অপেক্ষা করব? প্রাপ্তির জায়গায় প্রাপ্তি রেখে আমি ক্যারিয়ার এগিয়ে নিতে চাই। আমাকে কাজ করে যেতে হবে।’

কখনো শিক্ষক, কখনো পুলিশের প্রতিবাদী নারী চরিত্রে দেখা গেলেও নিজেকে ভিন্নভাবে পর্দায় দেখতে চান এই অভিনেত্রী। কারণ হিসেবে জানালেন, বেশির ভাগ দর্শকই নাকি মনে করেন বাঁধন প্রতিবাদী ও ভিন্ন ধরনের গল্পে অভিনয় করেন। এই ট্যাগ তিনি ভাঙতে চান। ‘নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করার আমার খুব ইচ্ছা। আবার রোমান্টিক, হরর, অ্যাকশন—এসব গল্পও করতে চাই। আমি কতটা রোমান্টিক, এটা দর্শক বুঝতে পারছেন না। আমি কিন্তু অনেক রোমান্টিক। সেই গল্পও করব,’ বলেন বাঁধন। রোমান্টিক ও অ্যাকশন সিনেমার জন্য রায়হান রাফীর সঙ্গে কাজ করতে চান।

প্রথমবার পুলিশের গোয়েন্দা কর্মকর্তা হয়েছেন বাঁধন। চেয়েছিলেন এমন এক পুলিশ কর্মকর্তা হতে, যার মধ্যে নায়কোচিত কোনো কিছু থাকবে না। যে হবে রক্তে–মাংসে সাধারণ মানুষের মতো। এ জন্য পরিচালক সানী সানোয়ারকে কৃতিত্ব দিলেন বাঁধন। লিনা চরিত্রের পেছনের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক দিন নারী পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে থেকেছি। তারা কীভাবে কথা বলেন, হাঁটাচলা করেন, কোন ঘটনার কী এক্সপ্রেশন দেন, কাছ থেকে দেখেছি। এগুলোই আমাকে শক্তি দিয়েছে। যে কারণে পুলিশ চরিত্রে রীনা দর্শকদের কাছ থেকে সহমর্মিতা পাচ্ছে।’

বাঁধনকে এবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার চরিত্রে দেখা যাবে। মাস্টার নামের এই সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন রেজওয়ান শাহরিয়ার। এ বছরই সিনেমাটি মুক্তি পাবে। ব্যস্ততা নিয়ে তিনি বলেন, ‘এখনো ঈদের সিনেমার প্রচারণায় আছি। দর্শক নারীপ্রধান একটি চরিত্রকে এতটা আগ্রহের সঙ্গে নেবেন, সেটা অপ্রত্যাশিত ছিল। সিনেমাটি নিয়ে আরও সময় দিতে চাই। এ ছাড়া নিজ উদ্যোগেই ফাইটিং শিখছি। প্রস্তুতিটা নিয়ে রাখছি। সময় হলে কাজে লাগাব। আর আমার কাজ নিয়ে তাড়াহুড়া নেই। আফসোস নেই। রেহানা করেছি, বিশাল ভরদ্বাজের খুফিয়া করেছি, এশা মার্ডার করলাম। ভালো চরিত্রের প্রস্তাব পাচ্ছি, দর্শকদের ভালোবাসা পাচ্ছি। একজীবনে এর বেশি আর কি লাগে।’