শিরোনাম :
Logo মুমিনুল চান তিনশ’র লিড, দুইশ’তে আটকাতে চায় জিম্বাবুয়ে Logo স্বর্ণের দামে সব রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস Logo দুবাইয়ে বিগ টিকিট লটারি জিতে লাখপতি দুই বাংলাদেশি Logo বাবা হলেন যুক্তরাষ্ট্রে আটক খলিল, দেখতে পারলেন না সদ্যোজাত সন্তানের মুখ Logo এটিএম আজহার মুক্তি না পাওয়ায় আমরা ব্যথিত, তবে হতাশ নই Logo আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ ৩ বিচারপতি থেকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের পক্ষে বিএনপি Logo ধর্ম নিরপেক্ষতা বিলুপ্তে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে একমত বিএনপি Logo হঠাৎ বৃষ্টিতে চাঁদপুর শহরের মুসলিম কবরস্থান রোড এলাকা সড়কের বেহাল দশা, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী Logo ইনসাফের আকাঙ্ক্ষা থেকেই চব্বিশের লড়াই:ব্যারিস্টার ফুয়াদ Logo ইবিতে বিভাগের নাম পরিবর্তসহ দুই দফা দাবিতে প্রশাসন ভবন অবরোধ

রাবিতে একই খাতের নামে একাধিকবার অর্থ আদায়; উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত, ইয়ার এডমিশনের অর্থের পরিমাণ কমিয়ে আনা ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বিশেষ খাবারের ব্যবস্থার দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে সোচ্চার স্টুডেন্টস নেটওয়ার্ক রাবি চ্যাপ্টার। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১১টায় এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

 

স্মারকলিপিতে তারা লিখেছেন, “আমরা লক্ষ্য করেছি, মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগামী ২৮ এপ্রিল হলের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ খাবারের আয়োজন করেছে। নিঃসন্দেহে এটি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ এবং এই মহতী কর্মসূচির জন্য প্রশাসনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। তবে, দুঃখজনক হলেও লক্ষ্যণীয় যে, উক্ত আয়োজনে শুধুমাত্র হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

 

অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের এই আয়োজনের বাইরে রাখা হয়েছে, যা স্পষ্টভাবে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ এবং তাদের এই আয়োজন থেকে বঞ্চিত করার শামিল। আমরা সোচ্চারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট দাবি জানাই, যেহেতু আবাসিক এবং অনাবাসিক উভয়ের কাছেই দিবস পালনের জন্য সমপরিমাণ অর্থ নেওয়া হয়, সেহেতু দিবস কেন্দ্রীক যে কোন আয়োজনে আবাসিক শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের সমানভাবে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

একইসাথে, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান আবাসিক সংকট নিরসনে দ্রুত কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং তার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার পর প্রথম বর্ষ থেকেই আবাসিকতার সুযোগ পায়। এছাড়া, আরেকটি গুরুতর বিষয় হলো- একজন শিক্ষার্থী যখন কোনো বর্ষে ভর্তি (ইয়ার এডমিশন) হয়, তখন তার নিকট থেকে একই খাতের নামে একাধিকবার অর্থ সংগ্রহ করা হয় (যেমন: ছাত্র-ছাত্রী কল্যাণ তহবিল, সংসদ ফি, খেলাধুলা ফি ইত্যাদি)। এটি অত্যন্ত অনভিপ্রেত এবং নিন্দনীয়।

আমরা প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি, এই অনিয়ম দ্রুততার সাথে পর্যালোচনা করে অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এবং ইয়ার এডমিশনের অর্থের পরিমাণ যৌক্তিকভাবে কমিয়ে আনতে হবে।” সোচ্চার স্টুডেন্টস নেটওয়ার্ক রাবি চ্যাপ্টারের সভাপতি সালমান সাব্বির বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চলতি বছরের মধ্যেই নির্মাণাধীন ২টি হলের কাজ সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছে এটি নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় পদক্ষেপ। তবে উদ্যোগের চেয়ে বাস্তবায়নই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া, ইয়ার এডমিশনের সময় একই খাতের নামে একাধিকবার যে অর্থ নেওয়া হচ্ছে তা অনভিপ্রেত ও নিন্দনীয় কাজ। আমরা আজ এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে একটি স্মারকলিপি পেশ করেছি এবং আশা করি, তারা এ ব্যাপারে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেবেন।

 

এ বিষয়ে উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীব স্যার বলেন, আমি হলের বিষয়ে কথা বলতে তেমন পছন্দ করি না। হলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে প্রাধ্যক্ষ পরিষদ; এই বিষয়ে তাদের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। প্রভোস্ট কাউন্সিল থেকে আমাকে যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল, আমি প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাসাধ্য ভর্তুকি দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এক প্রকার তলা কুড়িয়ে আমাকে দিতে হয়েছে বিধায় হয়তো বেশি দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ হলে দেওয়ার মত এখন তেমন কোন ফান্ড নাই।

 

হল প্রভোস্টরা যদি এই টাকায় অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের খাবারের ব্যবস্থা করতে পারে তাহলে ওনারা আয়োজন করুক; এটি তাদের সিদ্ধান্তের বিষয়। জুবাইর হোসেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ২২ এপ্রিল ২০২৫ 01540178941

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মুমিনুল চান তিনশ’র লিড, দুইশ’তে আটকাতে চায় জিম্বাবুয়ে

রাবিতে একই খাতের নামে একাধিকবার অর্থ আদায়; উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

আপডেট সময় : ০৪:৪৭:৩৮ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত, ইয়ার এডমিশনের অর্থের পরিমাণ কমিয়ে আনা ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বিশেষ খাবারের ব্যবস্থার দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে সোচ্চার স্টুডেন্টস নেটওয়ার্ক রাবি চ্যাপ্টার। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১১টায় এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

 

স্মারকলিপিতে তারা লিখেছেন, “আমরা লক্ষ্য করেছি, মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগামী ২৮ এপ্রিল হলের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ খাবারের আয়োজন করেছে। নিঃসন্দেহে এটি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ এবং এই মহতী কর্মসূচির জন্য প্রশাসনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। তবে, দুঃখজনক হলেও লক্ষ্যণীয় যে, উক্ত আয়োজনে শুধুমাত্র হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

 

অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের এই আয়োজনের বাইরে রাখা হয়েছে, যা স্পষ্টভাবে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ এবং তাদের এই আয়োজন থেকে বঞ্চিত করার শামিল। আমরা সোচ্চারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট দাবি জানাই, যেহেতু আবাসিক এবং অনাবাসিক উভয়ের কাছেই দিবস পালনের জন্য সমপরিমাণ অর্থ নেওয়া হয়, সেহেতু দিবস কেন্দ্রীক যে কোন আয়োজনে আবাসিক শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের সমানভাবে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

একইসাথে, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান আবাসিক সংকট নিরসনে দ্রুত কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং তার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার পর প্রথম বর্ষ থেকেই আবাসিকতার সুযোগ পায়। এছাড়া, আরেকটি গুরুতর বিষয় হলো- একজন শিক্ষার্থী যখন কোনো বর্ষে ভর্তি (ইয়ার এডমিশন) হয়, তখন তার নিকট থেকে একই খাতের নামে একাধিকবার অর্থ সংগ্রহ করা হয় (যেমন: ছাত্র-ছাত্রী কল্যাণ তহবিল, সংসদ ফি, খেলাধুলা ফি ইত্যাদি)। এটি অত্যন্ত অনভিপ্রেত এবং নিন্দনীয়।

আমরা প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি, এই অনিয়ম দ্রুততার সাথে পর্যালোচনা করে অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এবং ইয়ার এডমিশনের অর্থের পরিমাণ যৌক্তিকভাবে কমিয়ে আনতে হবে।” সোচ্চার স্টুডেন্টস নেটওয়ার্ক রাবি চ্যাপ্টারের সভাপতি সালমান সাব্বির বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চলতি বছরের মধ্যেই নির্মাণাধীন ২টি হলের কাজ সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছে এটি নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় পদক্ষেপ। তবে উদ্যোগের চেয়ে বাস্তবায়নই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া, ইয়ার এডমিশনের সময় একই খাতের নামে একাধিকবার যে অর্থ নেওয়া হচ্ছে তা অনভিপ্রেত ও নিন্দনীয় কাজ। আমরা আজ এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে একটি স্মারকলিপি পেশ করেছি এবং আশা করি, তারা এ ব্যাপারে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেবেন।

 

এ বিষয়ে উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীব স্যার বলেন, আমি হলের বিষয়ে কথা বলতে তেমন পছন্দ করি না। হলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে প্রাধ্যক্ষ পরিষদ; এই বিষয়ে তাদের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। প্রভোস্ট কাউন্সিল থেকে আমাকে যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল, আমি প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাসাধ্য ভর্তুকি দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এক প্রকার তলা কুড়িয়ে আমাকে দিতে হয়েছে বিধায় হয়তো বেশি দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ হলে দেওয়ার মত এখন তেমন কোন ফান্ড নাই।

 

হল প্রভোস্টরা যদি এই টাকায় অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের খাবারের ব্যবস্থা করতে পারে তাহলে ওনারা আয়োজন করুক; এটি তাদের সিদ্ধান্তের বিষয়। জুবাইর হোসেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ২২ এপ্রিল ২০২৫ 01540178941