জাকারবার্গের বিচার শুরু, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ বিক্রি করতে হবে?

বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগে মার্কিন প্রযুক্তিবিদ ও অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের মার্ক জাকারবার্গের মামলার বিচারকাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার (১৪ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিচারকাজ শুরু হয়। বিচারে হারলে তিনি ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মালিকানা হারাতে পারেন।

বিচারক জেমস বোসবার্গের সভাপতিত্বে জাকারবার্গের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। মূলত ফেসবুকের মূল সংস্থা মেটার বিরুদ্ধে বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। ৩৭ দিন পর্যন্ত বিচারকাজ চলতে পারে।

জাকারবার্গের বিরুদ্ধে এফটিসির অভিযোগ, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপকে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে নিয়মতান্ত্রিকভাবে অধিগ্রহণ করা এড়াতে তার বৃহত্তম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফরম (মেটা) বাজারক্ষমতার অপব্যবহার করেছে। কমিশনের দাবি, প্রতিদ্বন্দ্বীদের হুমকি মনে করে মেটা সেই দুটি প্রভাবশালী সামাজিক মাধ্যমকে কিনে নেয়।

মামলার প্রমাণ হিসেবে ২০১১-১২ সালের অভ্যন্তরীণ ইমেইল উপস্থাপন করা হয়েছে, যেখানে ইনস্টাগ্রামকে প্রতিযোগিতা ঠেকাতে কেনার পরিকল্পনার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। তার এই মানসিকতাকে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের পথে দমনমূলক পদক্ষেপ বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

এফটিসির অভিযোগ, ২০১২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সমাজমাধ্যমের ৮০ শতাংশ সময় নিয়ন্ত্রণ করতেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এই নিয়ে পালটা মুখ খুলেছে মেটা। তাদের যুক্তি, বাজার সম্পর্কে এফটিসির দৃষ্টিভঙ্গি খুবই সীমিত।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জাকারবার্গের বিচার শুরু, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ বিক্রি করতে হবে?

আপডেট সময় : ০৩:২০:১৪ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগে মার্কিন প্রযুক্তিবিদ ও অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের মার্ক জাকারবার্গের মামলার বিচারকাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার (১৪ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিচারকাজ শুরু হয়। বিচারে হারলে তিনি ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মালিকানা হারাতে পারেন।

বিচারক জেমস বোসবার্গের সভাপতিত্বে জাকারবার্গের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। মূলত ফেসবুকের মূল সংস্থা মেটার বিরুদ্ধে বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। ৩৭ দিন পর্যন্ত বিচারকাজ চলতে পারে।

জাকারবার্গের বিরুদ্ধে এফটিসির অভিযোগ, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপকে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে নিয়মতান্ত্রিকভাবে অধিগ্রহণ করা এড়াতে তার বৃহত্তম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফরম (মেটা) বাজারক্ষমতার অপব্যবহার করেছে। কমিশনের দাবি, প্রতিদ্বন্দ্বীদের হুমকি মনে করে মেটা সেই দুটি প্রভাবশালী সামাজিক মাধ্যমকে কিনে নেয়।

মামলার প্রমাণ হিসেবে ২০১১-১২ সালের অভ্যন্তরীণ ইমেইল উপস্থাপন করা হয়েছে, যেখানে ইনস্টাগ্রামকে প্রতিযোগিতা ঠেকাতে কেনার পরিকল্পনার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। তার এই মানসিকতাকে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের পথে দমনমূলক পদক্ষেপ বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

এফটিসির অভিযোগ, ২০১২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সমাজমাধ্যমের ৮০ শতাংশ সময় নিয়ন্ত্রণ করতেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এই নিয়ে পালটা মুখ খুলেছে মেটা। তাদের যুক্তি, বাজার সম্পর্কে এফটিসির দৃষ্টিভঙ্গি খুবই সীমিত।