বুধবার | ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়ীজ এসোসিয়েশন সিবি’এর দোয়া মাহফিল Logo জলবায়ু সহিষ্ণু ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশের কৃষকদের সক্ষম করে তুলতে হবে— আন্তর্জাতিক সেমিনারে নোবিপ্রবি উপাচার্য Logo পুলিশের অভিযানে পলাশবাড়ীতে চোরাই মাল উদ্ধার : দুই ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আটক Logo পলাশবাড়ীতে জুলাই যোদ্ধার বাবার প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের অভিযোগ Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া Logo জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদারে ব্যাপক প্রস্তুতি সরকারের Logo কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির Logo চাঁদপুরে নতুন খাবারের আকর্ষণ ‘কাচ্চি ডাইন’ গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলছে

গ্রুপ চ্যাটে যুক্তরাষ্ট্রের গোপন যুদ্ধ পরিকল্পনা ফাঁস!

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সিগন্যাল মেসেজিং অ্যাপে একটি গোপন গ্রুপ চ্যাটে সামরিক অভিযান সংক্রান্ত আলোচনা করেছিলেন। তবে চাঞ্চল্যকর বিষয় হলো, ওই গ্রুপে ‘ভুলবশত’ রাখা হয়েছিল এক সাংবাদিককেও। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে সোমবার (২৪ মার্চ) এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

দ্য অ্যাটলান্টিক পত্রিকার সাংবাদিক জেফরি গোল্ডবার্গ ওই গ্রুপে যুক্ত হয়েই সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন যে, এটি আসল হতেই পারে না। তিনি বলেন, “আমি ভাবতেও পারিনি যে, জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত এত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সিগন্যালের মতো একটি মেসেজিং প্ল্যাটফর্মে করা হবে।”

ওই চ্যাটে ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে মার্কিন বিমান হামলার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। ফলে গোল্ডবার্গ আগেই জানতে পারেন যে, একটি বড় সামরিক অভিযান আসন্ন। মার্কিন সামরিক পদক্ষেপের মতো সংবেদনশীল তথ্য এভাবে ফাঁস হওয়া জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর ঝুঁকির কারণ হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

এই ঘটনার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, “আমি কিছুই জানি না।” তবে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট জানিয়েছেন, “জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ এবং পুরো নিরাপত্তা টিমের প্রতি প্রেসিডেন্টের পূর্ণ আস্থা রয়েছে।”

এদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ দাবি করেছেন, ওই গ্রুপ চ্যাটে কোনো সামরিক পরিকল্পনার কথা শেয়ার করা হয়নি। তিনি বলেন, “আমি শুধু এটুকুই বলতে পারি, কেউই কোনো গোপন সামরিক তথ্য সেখানে প্রকাশ করেননি।”

এই ঘটনায় ডেমোক্র্যাট নেতারা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। হাউসের ডেমোক্র্যাট নেতা হাকিম জেফরিস বলেছেন, “কংগ্রেসের উচিত বিষয়টি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা, যেন ভবিষ্যতে এমন কিছু আর না ঘটে।”

সশস্ত্র বাহিনী সংক্রান্ত কমিটির সদস্য প্যাট রায়ান বলেন, “যদি রিপাবলিকানরা বিষয়টি হাউসে না তোলেন, তাহলে আমি নিজেই তা নিয়ে আলোচনা শুরু করব।”

সেনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন আরও কঠোর ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, “এটি একেবারেই বেআইনি ও ভয়ংকর ঘটনা। এমন গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে একটি সাধারণ মেসেজিং গ্রুপে আলোচনা চালানো অবিশ্বাস্য!”

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কীভাবে একজন সাংবাদিক ওই গ্রুপ চ্যাটে অন্তর্ভুক্ত হলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এই ঘটনা মার্কিন প্রশাসনের তথ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা ও সামরিক কৌশল পরিচালনার দক্ষতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর

গ্রুপ চ্যাটে যুক্তরাষ্ট্রের গোপন যুদ্ধ পরিকল্পনা ফাঁস!

আপডেট সময় : ০১:৫৪:০৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সিগন্যাল মেসেজিং অ্যাপে একটি গোপন গ্রুপ চ্যাটে সামরিক অভিযান সংক্রান্ত আলোচনা করেছিলেন। তবে চাঞ্চল্যকর বিষয় হলো, ওই গ্রুপে ‘ভুলবশত’ রাখা হয়েছিল এক সাংবাদিককেও। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে সোমবার (২৪ মার্চ) এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

দ্য অ্যাটলান্টিক পত্রিকার সাংবাদিক জেফরি গোল্ডবার্গ ওই গ্রুপে যুক্ত হয়েই সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন যে, এটি আসল হতেই পারে না। তিনি বলেন, “আমি ভাবতেও পারিনি যে, জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত এত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সিগন্যালের মতো একটি মেসেজিং প্ল্যাটফর্মে করা হবে।”

ওই চ্যাটে ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে মার্কিন বিমান হামলার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। ফলে গোল্ডবার্গ আগেই জানতে পারেন যে, একটি বড় সামরিক অভিযান আসন্ন। মার্কিন সামরিক পদক্ষেপের মতো সংবেদনশীল তথ্য এভাবে ফাঁস হওয়া জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর ঝুঁকির কারণ হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

এই ঘটনার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, “আমি কিছুই জানি না।” তবে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট জানিয়েছেন, “জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ এবং পুরো নিরাপত্তা টিমের প্রতি প্রেসিডেন্টের পূর্ণ আস্থা রয়েছে।”

এদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ দাবি করেছেন, ওই গ্রুপ চ্যাটে কোনো সামরিক পরিকল্পনার কথা শেয়ার করা হয়নি। তিনি বলেন, “আমি শুধু এটুকুই বলতে পারি, কেউই কোনো গোপন সামরিক তথ্য সেখানে প্রকাশ করেননি।”

এই ঘটনায় ডেমোক্র্যাট নেতারা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। হাউসের ডেমোক্র্যাট নেতা হাকিম জেফরিস বলেছেন, “কংগ্রেসের উচিত বিষয়টি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা, যেন ভবিষ্যতে এমন কিছু আর না ঘটে।”

সশস্ত্র বাহিনী সংক্রান্ত কমিটির সদস্য প্যাট রায়ান বলেন, “যদি রিপাবলিকানরা বিষয়টি হাউসে না তোলেন, তাহলে আমি নিজেই তা নিয়ে আলোচনা শুরু করব।”

সেনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন আরও কঠোর ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, “এটি একেবারেই বেআইনি ও ভয়ংকর ঘটনা। এমন গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে একটি সাধারণ মেসেজিং গ্রুপে আলোচনা চালানো অবিশ্বাস্য!”

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কীভাবে একজন সাংবাদিক ওই গ্রুপ চ্যাটে অন্তর্ভুক্ত হলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এই ঘটনা মার্কিন প্রশাসনের তথ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা ও সামরিক কৌশল পরিচালনার দক্ষতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।