শিরোনাম :
Logo নির্বাচন কবে? মার্কিন সিনেটরকে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা Logo শেরপুর সরকারি কলেজে শহিদ মাহবুব হলে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo পাবিপ্রবিতে জোনাকির উদ্যোগে দুস্থদের মাঝে ইফতার বিতরণ Logo চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শামছুল আলম সূর্যের উদ্যোগে ইফতার বিতরণ Logo নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে, মার্কিন সিনেটরকে প্রধান উপদেষ্টা Logo বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খানের স্ত্রী মারা গেছেন Logo সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি এ অঞ্চলের মডেল হতে পারে: মাহফুজ আলম Logo চাঁদপুর নৌ রুটে নবজাতকের জন্ম;পাবে আজীবন যাতায়াত সুবিধা Logo মিরসরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষিকার মৃত্যু Logo নাক ডাকা কি মারাত্মক রোগের লক্ষণ?

হাইড্রোপনিক প্রযুক্তিতে সাফল্য,’মাটি ছাড়াই ঘাস উৎপাদন, লাভও বেশি’

মাটি ছাড়াই জন্মাচ্ছে পুষ্টিকর সবুজ পশুখাদ্য। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক গবেষণায় দেখা গেছে, হাইড্রোপনিক প্রযুক্তিতে মাটির স্পর্শ ছাড়াই ন্যূনতম পানিতে পশুখাদ্য উৎপাদন সম্ভব, যা দেশের পশুপালন খাতে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে। এ পদ্ধতিতে উৎপাদিত সবুজ পশুখাদ্য বছরজুড়ে প্রাণীদের উচ্চপুষ্টি সরবরাহ করতে পারে। যা পশুখাদ্য সংকট মোকাবেলা, দুধ ও মাংস উৎপাদন বৃদ্ধি এবং জমির ওপর নির্ভরতা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোনমি অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদের তত্ত্বাবধানে হাইড্রোপনিক প্রযুক্তি (মৃত্তিকাবিহীন জল চাষ বিদ্যা) নিয়ে এ গবেষণা পরিচালিত হয়েছে। গবেষণায় সহযোগী হিসেবে ছিলেন ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক ড. আকতারুল ইসলাম, পিএইচডি গবেষক মো. বাহারুল ইসলাম এবং এমএস থিসিস শিক্ষার্থী মো. শাকিল খান। গবেষণা প্রবন্ধসমূহ ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব বায়োসায়েন্স ও ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব এগ্রোনোমি এন্ড এগ্রিকালচারাল রিসার্চ-এ প্রকাশিত হয়েছে। এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে করা হয়েছিল।

গবেষণায় ভুট্টা, গম এবং সুদান ঘাস (ফডার)—এ তিনটি পশুখাদ্যের হাইড্রোপনিক পদ্ধতির মূল্যায়ন করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে চাষ করা ভুট্টার প্রতি কেজি বীজ মাত্র ১২-১৪ দিনের মধ্যে ৬-১০ কেজি তাজা পশুখাদ্য উৎপাদন করেছে, যা মাটিভিত্তিক চাষের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি। গমের প্রতি কেজি বীজে ৫ দশমিক ৫ থেকে ৭ কেজি পর্যন্ত ফলন হয়েছে। এতে ২০ লিটার পানি এবং ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম রাসায়নিক সারের প্রয়োজন পড়ে।

পুষ্টি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে উৎপাদিত ভুট্টার পশুখাদ্যে প্রচলিত পশুখাদ্যের তুলনায় ১৬-১৮ শতাংশ বেশি অপরিশোধিত প্রোটিন এবং ৬০-৬৫ শতাংশ বেশি হজমযোগ্য পুষ্টি রয়েছে। এছাড়া এতে উচ্চ ভিটামিনের উপস্থিতি থাকায় পশুর ফাইবার হজম ক্ষমতা উন্নত হয়েছে, যা দুধের উৎপাদন ও পশুর বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

গবেষণায় আরো দেখা গেছে, ট্রে-ভিত্তিক এ ব্যবস্থায় ন্যূনতম বিনিয়োগ ও রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয় এবং প্রতি কেজি বীজে গড়ে ৭ কেজি পশুখাদ্য উৎপাদিত হয়, যা এটিকে ছোট কৃষকদের জন্য একটি সাশ্রয়ী বিকল্প করে তোলে। উল্লম্ব স্ট্যাকিং সিস্টেমে একাধিক স্তরে পশুখাদ্য উৎপাদন করা যায়, যা কম জায়গায় ১৫-২০ শতাংশ বেশি ফলন নিশ্চিত করে। তবে এজন্য উচ্চতর প্রাথমিক বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সীমিত আবাদযোগ্য জমি, জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দেশের ঐতিহ্যবাহী পশুখাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। এছাড়া দেশে এমন অনেক অনাবাদি জমি (নন-এরাবল ল্যান্ড) রয়েছে, যেখানে ফসল উৎপাদন সম্ভব নয়। গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে, হাইড্রোপনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সবুজ পশুখাদ্য উৎপাদন একটি টেকসই বিকল্প হতে পারে। এ পদ্ধতিটি শুধু পশুখাদ্য উৎপাদনেই নয়, অন্যান্য সবজি উৎপাদনের ক্ষেত্রেও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।’

এ গবেষক আরও বলেন, ‘এ প্রযুক্তি সাশ্রয়ীভাবে পানি ব্যবহারের সুযোগ তৈরি করে, যা কৃষির ভার্টিক্যাল সম্প্রসারণে সহায়ক হয় এবং রাসায়নিক সারের ব্যবহার হ্রাস করে। এটি সম্পূর্ণ দেশীয় সরঞ্জাম দিয়ে তৈরি, ফলে খরচ তুলনামূলক কম এবং পশুপালনের জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করে। তবে পশুর স্বাস্থ্যের ওপর এর প্রভাব কতটুকু দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর, তা নির্ধারণে আরো অধিক গবেষণা প্রয়োজন।’

গবেষণা কাজে সহযোগিতা করেছেন পিএইচডি গবেষক মো. বাহারুল ইসলাম। তিনি জানান, ‘হাইড্রোপনিক পশুখাদ্য দুধ ও মাংস উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি খরচ উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে পারে এবং খাদ্যের মান উন্নত করতে সক্ষম। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি দুগ্ধ খামারিরা এ প্রযুক্তির মাধ্যমে বাণিজ্যিক খাদ্যের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আরো লাভবান হতে পারেন।’

বাজারজাতকরণের বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে কি না—জানতে চাইলে ড. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল অল্প সময়ে, বছরব্যাপী টেকসই পদ্ধতিতে গো-খাদ্যের সংকট নিরসন করা। সে লক্ষ্যে ২০২০ সাল থেকে আমরা এ গবেষণা শুরু করেছি। এই চাষ পদ্ধতিতে শিকড়সহ গো-খাদ্য ব্যবহার সম্ভব, পর্যায়ক্রমে এটি উন্নত করেছি। যদি কেউ আগ্রহী হন, আমরা কারিগরি সহায়তা ও প্রশিক্ষণ দিতে পারি। তবে আমাদের প্রধান লক্ষ্য টেকসই ও কৃষকবান্ধব সমাধান তৈরি করা।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান পশুখাদ্যের চাহিদা মেটাতে হাইড্রোপনিক প্রযুক্তি টেকসই ও কার্যকর সমাধান হতে পারে। তবে বৃহৎ পরিসরে বাস্তবায়ন ও প্রাথমিক সেটআপ খরচ এখনো বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। তা সত্ত্বেও পরিবেশবান্ধব ও খরচসাশ্রয়ী এ প্রযুক্তি কৃষি ও পশুপালন খাতকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচন কবে? মার্কিন সিনেটরকে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা

হাইড্রোপনিক প্রযুক্তিতে সাফল্য,’মাটি ছাড়াই ঘাস উৎপাদন, লাভও বেশি’

আপডেট সময় : ১১:১৭:০০ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

মাটি ছাড়াই জন্মাচ্ছে পুষ্টিকর সবুজ পশুখাদ্য। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক গবেষণায় দেখা গেছে, হাইড্রোপনিক প্রযুক্তিতে মাটির স্পর্শ ছাড়াই ন্যূনতম পানিতে পশুখাদ্য উৎপাদন সম্ভব, যা দেশের পশুপালন খাতে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে। এ পদ্ধতিতে উৎপাদিত সবুজ পশুখাদ্য বছরজুড়ে প্রাণীদের উচ্চপুষ্টি সরবরাহ করতে পারে। যা পশুখাদ্য সংকট মোকাবেলা, দুধ ও মাংস উৎপাদন বৃদ্ধি এবং জমির ওপর নির্ভরতা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোনমি অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদের তত্ত্বাবধানে হাইড্রোপনিক প্রযুক্তি (মৃত্তিকাবিহীন জল চাষ বিদ্যা) নিয়ে এ গবেষণা পরিচালিত হয়েছে। গবেষণায় সহযোগী হিসেবে ছিলেন ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক ড. আকতারুল ইসলাম, পিএইচডি গবেষক মো. বাহারুল ইসলাম এবং এমএস থিসিস শিক্ষার্থী মো. শাকিল খান। গবেষণা প্রবন্ধসমূহ ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব বায়োসায়েন্স ও ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব এগ্রোনোমি এন্ড এগ্রিকালচারাল রিসার্চ-এ প্রকাশিত হয়েছে। এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে করা হয়েছিল।

গবেষণায় ভুট্টা, গম এবং সুদান ঘাস (ফডার)—এ তিনটি পশুখাদ্যের হাইড্রোপনিক পদ্ধতির মূল্যায়ন করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে চাষ করা ভুট্টার প্রতি কেজি বীজ মাত্র ১২-১৪ দিনের মধ্যে ৬-১০ কেজি তাজা পশুখাদ্য উৎপাদন করেছে, যা মাটিভিত্তিক চাষের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি। গমের প্রতি কেজি বীজে ৫ দশমিক ৫ থেকে ৭ কেজি পর্যন্ত ফলন হয়েছে। এতে ২০ লিটার পানি এবং ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম রাসায়নিক সারের প্রয়োজন পড়ে।

পুষ্টি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে উৎপাদিত ভুট্টার পশুখাদ্যে প্রচলিত পশুখাদ্যের তুলনায় ১৬-১৮ শতাংশ বেশি অপরিশোধিত প্রোটিন এবং ৬০-৬৫ শতাংশ বেশি হজমযোগ্য পুষ্টি রয়েছে। এছাড়া এতে উচ্চ ভিটামিনের উপস্থিতি থাকায় পশুর ফাইবার হজম ক্ষমতা উন্নত হয়েছে, যা দুধের উৎপাদন ও পশুর বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

গবেষণায় আরো দেখা গেছে, ট্রে-ভিত্তিক এ ব্যবস্থায় ন্যূনতম বিনিয়োগ ও রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয় এবং প্রতি কেজি বীজে গড়ে ৭ কেজি পশুখাদ্য উৎপাদিত হয়, যা এটিকে ছোট কৃষকদের জন্য একটি সাশ্রয়ী বিকল্প করে তোলে। উল্লম্ব স্ট্যাকিং সিস্টেমে একাধিক স্তরে পশুখাদ্য উৎপাদন করা যায়, যা কম জায়গায় ১৫-২০ শতাংশ বেশি ফলন নিশ্চিত করে। তবে এজন্য উচ্চতর প্রাথমিক বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সীমিত আবাদযোগ্য জমি, জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দেশের ঐতিহ্যবাহী পশুখাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। এছাড়া দেশে এমন অনেক অনাবাদি জমি (নন-এরাবল ল্যান্ড) রয়েছে, যেখানে ফসল উৎপাদন সম্ভব নয়। গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে, হাইড্রোপনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সবুজ পশুখাদ্য উৎপাদন একটি টেকসই বিকল্প হতে পারে। এ পদ্ধতিটি শুধু পশুখাদ্য উৎপাদনেই নয়, অন্যান্য সবজি উৎপাদনের ক্ষেত্রেও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।’

এ গবেষক আরও বলেন, ‘এ প্রযুক্তি সাশ্রয়ীভাবে পানি ব্যবহারের সুযোগ তৈরি করে, যা কৃষির ভার্টিক্যাল সম্প্রসারণে সহায়ক হয় এবং রাসায়নিক সারের ব্যবহার হ্রাস করে। এটি সম্পূর্ণ দেশীয় সরঞ্জাম দিয়ে তৈরি, ফলে খরচ তুলনামূলক কম এবং পশুপালনের জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করে। তবে পশুর স্বাস্থ্যের ওপর এর প্রভাব কতটুকু দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর, তা নির্ধারণে আরো অধিক গবেষণা প্রয়োজন।’

গবেষণা কাজে সহযোগিতা করেছেন পিএইচডি গবেষক মো. বাহারুল ইসলাম। তিনি জানান, ‘হাইড্রোপনিক পশুখাদ্য দুধ ও মাংস উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি খরচ উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে পারে এবং খাদ্যের মান উন্নত করতে সক্ষম। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি দুগ্ধ খামারিরা এ প্রযুক্তির মাধ্যমে বাণিজ্যিক খাদ্যের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আরো লাভবান হতে পারেন।’

বাজারজাতকরণের বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে কি না—জানতে চাইলে ড. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল অল্প সময়ে, বছরব্যাপী টেকসই পদ্ধতিতে গো-খাদ্যের সংকট নিরসন করা। সে লক্ষ্যে ২০২০ সাল থেকে আমরা এ গবেষণা শুরু করেছি। এই চাষ পদ্ধতিতে শিকড়সহ গো-খাদ্য ব্যবহার সম্ভব, পর্যায়ক্রমে এটি উন্নত করেছি। যদি কেউ আগ্রহী হন, আমরা কারিগরি সহায়তা ও প্রশিক্ষণ দিতে পারি। তবে আমাদের প্রধান লক্ষ্য টেকসই ও কৃষকবান্ধব সমাধান তৈরি করা।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান পশুখাদ্যের চাহিদা মেটাতে হাইড্রোপনিক প্রযুক্তি টেকসই ও কার্যকর সমাধান হতে পারে। তবে বৃহৎ পরিসরে বাস্তবায়ন ও প্রাথমিক সেটআপ খরচ এখনো বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। তা সত্ত্বেও পরিবেশবান্ধব ও খরচসাশ্রয়ী এ প্রযুক্তি কৃষি ও পশুপালন খাতকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে