শিরোনাম :
Logo জামিনে মুক্তি পেলেন সা’দপন্থী আলেম মুফতি মুয়াজ বিন নূর Logo জনগণকে নির্বাচন কমিশন তথ্য না দিলে আইনের লঙ্ঘন: বদিউল আলম Logo পাকিস্তান-আফগানিস্তান সংঘর্ষ থামছেই না Logo যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘যেকোনো ধরনের যুদ্ধের’ জন্য প্রস্তুত চীন Logo তথ্য কমিশন কার্যকর করতে অন্তর্বর্তী সরকার উদাসীন: তথ্য অধিকার ফোরাম Logo ঈদযাত্রায় লঞ্চে অনিয়ম করলেই গ্রেপ্তার Logo নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ডিসেম্বর থেকে মার্চের মধ্যে : ড. ইউনূস Logo আগুনে পুড়ছে গারো পাহাড়: জীববৈচিত্র্য হুমকিতে Logo হাবিপ্রবিতে ফুড এন্ড প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির গ্র্যান্ড ইফতার Logo এক বিভাগের পরিক্ষার্থীর সিট অন্য বিভাগে ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

এক বিভাগের পরিক্ষার্থীর সিট অন্য বিভাগে ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা ভেবে বিভাগীয় শহরগুলোতে পরিক্ষা নেওয়া হলেও। উত্তরবঙ্গের শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে দক্ষিণবঙ্গে।

বুধবার (৫ মার্চ) বিকেলে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র দেওয়া হলে সেখানে দেখা যায় এ চিত্র।

আইসিটি সেন্টারের তথ্য মতে, এবছর এ, বি, সি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘এ’ ইউনিটে ৯৬ হাজার ১৬২, ‘বি’ ইউনিটে ৪২ হাজার ৪৩৩, ‘সি’ ইউনিটে ৯৮ হাজার ৮২০ জন চূড়ান্ত আবেদন করেছে। তবে অভিন্ন পরীক্ষার্থী সংখ্যা ২ লাখ ৩০ হাজার ৯৪ জন। পাঁচ বিভাগীয় শহরে পরীক্ষার কেন্দ্র রয়েছে ৮টি। এদের মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ হাজার ৭০০টি, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অগ্রণী স্কুলে শুধু ‘সি’ ইউনিটের জন্য অতিরিক্ত আসন ১ হাজার ৮০৮টি, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ হাজার ২৬৩টি, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ হাজার ৫০টি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৩ হাজার ৮০টি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭ হাজার ২০০টি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ হাজার ৪১৯টি ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ হাজার ৩০০টি পরীক্ষা নেওয়ার আসন রয়েছে।

ভোগান্তির কথা জানিয়ে রংপুর বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন বলেন,আমরা ভেবেছিলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সুবিধার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু এখন সিট প্লান দেখে মনে হচ্ছে সুবিধা থেকে অসুবিধাই বেশি। আগে যেখানে আমার অর্ধেক টাকা হয়ে যেত এখন সেখানে দ্বিগুন টাকা লাগবে। আমি রংপুর বিভাগের শিক্ষার্থী আমার আসেন বিন্যাস হয়েছে চট্টগ্রামে। যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিভাগিয়ই করবে তাহলে নিজ নিজ বিভাগেই দিল না কেন? বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এই সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহনের অনুরোধ জানাই।

এ বিষয়ে রাজশাহী বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমার বাসা রাজশাহীর দুর্গাপুরে,, আমি এ ইউনিটে এবং বি ইউনিটে আবেদন করি। কিন্তু এ ইউনিটে আমার সেন্টার পড়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকাতে। প্রথম পছন্দ রাজশাহী সিলেক্ট করার পরেও এসেছে ঢাকাতে।

তিনি আরও বলেন, আমার ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড খুব ভালো না ভাইয়া,, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই দুইটা ইউনিটের আবেদন খুব সহজে করতে পারি নাই। এখন বাড়ির পাশে ক্যাম্পাস রেখে এক্সট্রা টাকা দিয়ে ঢাকা গিয়ে পরীক্ষা দেয়া সম্ভব কোনোভাবেই হয়ে উঠবে না। এখন প্রশাসনের কাছে বিষয়টি নিয়ে ভাবার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, “ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিভাগীয় শহরের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আসনসংখ্যা ও আবেদনকারীর অসমতার কারণে মেরিট অনুযায়ী সিট নির্ধারণ করা হয়েছে, ফলে কিছু পরীক্ষার্থী দূরের কেন্দ্রে পড়েছে। এক শিফটে পরীক্ষা নেওয়ার কারণে বিকল্প ব্যবস্থা কঠিন, তবে ভবিষ্যতে বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হবে।”

সার্বিক ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহা. মাঈন উদ্দীন জানান, “বিষয়টি জেনেছি। আইসিটি সেন্টারের পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে কীভাবে সমস্যাটা সমাধান করা যায়, সেটা নিয়ে কাজ করছি।”

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জামিনে মুক্তি পেলেন সা’দপন্থী আলেম মুফতি মুয়াজ বিন নূর

এক বিভাগের পরিক্ষার্থীর সিট অন্য বিভাগে ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় : ০৯:৪৮:২০ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা ভেবে বিভাগীয় শহরগুলোতে পরিক্ষা নেওয়া হলেও। উত্তরবঙ্গের শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে দক্ষিণবঙ্গে।

বুধবার (৫ মার্চ) বিকেলে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র দেওয়া হলে সেখানে দেখা যায় এ চিত্র।

আইসিটি সেন্টারের তথ্য মতে, এবছর এ, বি, সি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘এ’ ইউনিটে ৯৬ হাজার ১৬২, ‘বি’ ইউনিটে ৪২ হাজার ৪৩৩, ‘সি’ ইউনিটে ৯৮ হাজার ৮২০ জন চূড়ান্ত আবেদন করেছে। তবে অভিন্ন পরীক্ষার্থী সংখ্যা ২ লাখ ৩০ হাজার ৯৪ জন। পাঁচ বিভাগীয় শহরে পরীক্ষার কেন্দ্র রয়েছে ৮টি। এদের মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ হাজার ৭০০টি, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অগ্রণী স্কুলে শুধু ‘সি’ ইউনিটের জন্য অতিরিক্ত আসন ১ হাজার ৮০৮টি, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ হাজার ২৬৩টি, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ হাজার ৫০টি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৩ হাজার ৮০টি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭ হাজার ২০০টি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ হাজার ৪১৯টি ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ হাজার ৩০০টি পরীক্ষা নেওয়ার আসন রয়েছে।

ভোগান্তির কথা জানিয়ে রংপুর বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন বলেন,আমরা ভেবেছিলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সুবিধার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু এখন সিট প্লান দেখে মনে হচ্ছে সুবিধা থেকে অসুবিধাই বেশি। আগে যেখানে আমার অর্ধেক টাকা হয়ে যেত এখন সেখানে দ্বিগুন টাকা লাগবে। আমি রংপুর বিভাগের শিক্ষার্থী আমার আসেন বিন্যাস হয়েছে চট্টগ্রামে। যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিভাগিয়ই করবে তাহলে নিজ নিজ বিভাগেই দিল না কেন? বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এই সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহনের অনুরোধ জানাই।

এ বিষয়ে রাজশাহী বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমার বাসা রাজশাহীর দুর্গাপুরে,, আমি এ ইউনিটে এবং বি ইউনিটে আবেদন করি। কিন্তু এ ইউনিটে আমার সেন্টার পড়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকাতে। প্রথম পছন্দ রাজশাহী সিলেক্ট করার পরেও এসেছে ঢাকাতে।

তিনি আরও বলেন, আমার ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড খুব ভালো না ভাইয়া,, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই দুইটা ইউনিটের আবেদন খুব সহজে করতে পারি নাই। এখন বাড়ির পাশে ক্যাম্পাস রেখে এক্সট্রা টাকা দিয়ে ঢাকা গিয়ে পরীক্ষা দেয়া সম্ভব কোনোভাবেই হয়ে উঠবে না। এখন প্রশাসনের কাছে বিষয়টি নিয়ে ভাবার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, “ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিভাগীয় শহরের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আসনসংখ্যা ও আবেদনকারীর অসমতার কারণে মেরিট অনুযায়ী সিট নির্ধারণ করা হয়েছে, ফলে কিছু পরীক্ষার্থী দূরের কেন্দ্রে পড়েছে। এক শিফটে পরীক্ষা নেওয়ার কারণে বিকল্প ব্যবস্থা কঠিন, তবে ভবিষ্যতে বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হবে।”

সার্বিক ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহা. মাঈন উদ্দীন জানান, “বিষয়টি জেনেছি। আইসিটি সেন্টারের পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে কীভাবে সমস্যাটা সমাধান করা যায়, সেটা নিয়ে কাজ করছি।”