জাবি প্রতিনিধি:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার শৃংখলা রক্ষা ও নিরাপত্তা কমিটিতে রাজনৈতিক প্রভাবে অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ উঠেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃংখলা রক্ষার উদ্দেশ্যই কাজ করে শৃংখলা রক্ষা ও নিরাপত্তা কমিটি। এই কমিটিতে প্রক্টরিয়াল বডি, নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তা, আইন অফিসারকে রাখার পাশাপাশি প্রয়োজন অনুযায়ী যে কাউকে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব।
তবে এবারের ভর্তি পরীক্ষার শৃংখলা রক্ষা ও নিরাপত্তা কমিটিতে রাজনৈতিক প্রভাবে অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ উঠেছে। কমিটিতে বেশ কয়েকজন বিএনপিপন্থী কর্মকর্তাকে অন্তর্ভুক্তের পাশাপাশি ভারসাম্য রক্ষার জন্য কয়েকজন আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তাকেও অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশাসনিক ভবনের এক কর্মকর্তা বলেন, ” নিরাপত্তা শৃংখলা কমিটিতে প্রক্টরিয়াল বডির পাশাপাশি নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তারা থাকতে পারে। কিন্তু এর বাইরে যারা আছে তাদেরকে কোন বিবেচনায় রাখা হয়েছে সেই বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ধারণা নেই।”
গতবছরের ভর্তি পরীক্ষার শৃংখলা রক্ষা ও নিরাপত্তা কমিটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সেখানে মোট সদস্য ছিলো ৩৭ জন। তবে গতবছরের থেকে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য সংখ্যা কম হওয়া সত্ত্বেও এবারের কমিটিতে ৪৭ জনকে রাখা হয়েছে।
এবারের কমিটিতে ১৪ জন শিক্ষক, ২৯ জন কর্মকর্তা এবং ৪ জন কর্মচারী রয়েছেন। এই কমিটিতে থাকা শিক্ষকদেরকে একজন শিক্ষক ভর্তি পরীক্ষায় পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করলে যে টাকা পায় তার সমপরিমাণ টাকা দেওয়া হয়। কর্মকর্তাদের দেওয়া হয় ওই টাকার অর্ধেক এবং কর্মচারীদের দেওয়া হয় ওই টাকার এক-তৃতীয়াংশ। ধারণা করা হচ্ছে এই টাকার জন্যই রাজনৈতিক বিবেচনায় নিজের কাছের লোকদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সার্বিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সভাপতি এবং উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ” এই প্রশাসনের একটি অঙ্গিকার হচ্ছে দলীয় আনুগত্য থেকে বেরিয়ে এসে কাজ করা। যদি এ ধরনের কাজের সাথে কেউ জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধে আমরা সবসময় সোচ্চার ছিলাম এবং আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো। এখানে কোনো দলীয় বিবেচনা নেই, এখানে সবকিছু হবে জ্ঞান ও যোগ্যতার ভিত্তিতে। “