১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, হাবিপ্রবি, দিনাজপুর: হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে ৩য় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর চুড়ান্ত পর্ব ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সকাল ১০ টায় প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা, এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির। সভাপতিত্ব করেন প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর এবং কেন্দ্রীয় ক্রীড়া কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার, সঞ্চালনা করেন সহকারী প্রক্টর প্রফেসর ড. আবুল কালাম, সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন শরীর চর্চা শিক্ষা বিভাগের পরিচালক মো. মাহবুব উল হাসান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডীনবৃন্দ, চেয়ারম্যানবৃন্দ, প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. শামসুজ্জোহা, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. এস. এম. এমদাদুল হাসান, বিভিন্ন হলের হল সুপারগন, প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ এবং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীবৃন্দ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত ও গীতাপাঠ করা হয়। এরপর অতিথিবৃন্দ জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা, বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা ও ক্রীড়া পতাকা উত্তোলন করেন। পতাকা উত্তোলন শেষে অংশগ্রহণকারী ক্রীড়াবিদদের শপথ পাঠ করানো হয়, শপথ পাঠ শেষে মার্চ পাস্ট ও মশাল প্রজ্বলন করা হয়। অতঃপর বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে ৩য় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন করেন মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত বিভিন্ন ইভেন্টের চুড়ান্ত প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সকলেই অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে বিকেল ৫ টায় পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করেন ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতেই ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা বলেন, ” এই প্রতিযোগিতাকে ঘিরে তোমরা এক সপ্তাহ আগে থেকেই অনেক পরিশ্রম করেছো এবং তোমাদের ক্রীড়া নৈপুণ্য দিয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজনকে সাফল্যমন্ডিত করেছো। এদিকে সময় দিতে গিয়ে পড়াশুনার কিছুটা ব্যাঘাত হলেও মনে রাখতে হবে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য বিকাশে এবং চরিত্রগঠনে খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই। এটা পড়ালেখারই একটা অংশ। পরবর্তী জীবনে এর সুফল তোমরা পাবে। “
তিনি আরো বলেন, “বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে খেলাধুলা গুরুত্বপ‚র্ণ ভ‚মিকা পালন করে, কারণ খেলার মাঠে সবাই সমান। কারো জন্য এক্সট্রা কোন সুবিধা নেই। তিনি আরও বলেন, শরীর চর্চা শিক্ষা বিভাগের দক্ষতা ও অত্যন্ত বলিষ্ঠ ভ‚মিকার কারণে অল্প সময়ের মধ্যেই এমন একটি সুন্দর প্রতিযোগিতার আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে, এজন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাই।”
উল্লেখ্য, বক্তব্য শেষে তিনি বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন