বায়েজিদ, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) :গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার রবিশাল ইউনিয়ন এলাকার জুনদহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাঁদ ঢালাই নির্মাণ দিনের কাজ চলছে পলাশবাড়ীতে রাতের আধারে বিদ্যালয়ের ছাদ ঢালাই! দেখার কেউ নেই আঁধারে। দেখার যেন কেউই নেই।পুরো বিষয়টি শুভঙ্করের ফাঁকি-সন্দেহজনক এবং রহস্যাবৃত।
১২ জুলাই শনিবার ঘড়ির কাটায় রাত তখন সাড়ে ৮টা ছাঁদ ঢালাইয়ের কাজ চলছে। তবে দিনের কাজ রাতে। কৈফিয়ত বলতে দিনে গরম। তাই-ই রাতের বেলায় কাজ। সরেজিমনে ওই স্থানে গিয়ে দেখা যায়, চারতলা বিশিষ্ট অত্র বিদ্যালয় ভবনের চারতলার কাজ রাতে করানো হচ্ছে। বিষয়টি পুরোপুরি দৃষ্টিকটু হলেও জবাবদিহিতা শূন্য থাকায় কার খবর কে রাখে। যেন সরকারি মে মাল দরিয়া মে ঢাল।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর গাইবান্ধার তত্ত্বাবধানে বিগত ২০১৮ সালে ভবন নির্মাণ কাজটি পান গাইবান্ধার মহিমাগঞ্জের ঠিকাদার রেজাউল ইসলাম। ভবনটির মোট প্রাক্কলিত ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার মেয়াদ ইতোপূর্বেই শেষ হয়েছে বলে জানা যায়। তবুও বর্ধিত সময়ে নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। রাতের আঁধারে এসময় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন ছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির জনৈক এক শিক্ষক-সহ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর পলাশবাড়ীর উপ-সহকারি প্রকৌশলী (সিভিল) আতিকুর রহমান উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।
এ কর্তাব্যক্তির সাথে কথা হলে তিনি জানান, দিনে গরম তাই রাতে কাজ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল আলম-এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্মাণ কাজ তদারকি আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে কি-না তা আগে জানতে হবে।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) বেলাল আহমেদ-এর সাথে ওইদিন রাতেই তার মুঠোফোনে বারংবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেনি। পরদিন দুপুরে যদিও তিনি ফোন রিসিভ করেন তারপর রাতের আধারে বিদ্যালয়ের ছাঁদ ঢালাইয়ের কাজের বিষয়ে মন্তব্যের কথা বলতেই ওই মহুর্ত্বেই তিনি ফোন কেটে দেন।
সবমিলিয়ে দিনের কাজ রাতে করার বিষয়টি নিয়ে অত্রালাকার সচেতন জনমনে নানা জল্পনা-কল্পনাসহ মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।