শুক্রবার | ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo টেকনাফে ইঞ্জিন বিকল হওয়া যাত্রীবাহী বোটসহ ৪৫ জন যাত্রী উদ্ধার Logo খুবিতে ইউনেস্কো ও ইউজিসির উদ্যোগে পিয়ার-টু-পিয়ার ওরিয়েন্টেশন Logo সাতক্ষীরা–কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল জব্দ Logo আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo গাইবান্ধা এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত যুবক Logo খুবিতে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা: নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে মতবিনিময় সভা Logo প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠান চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির ‘হেমন্তসন্ধ্যা ও হাঁস পার্টি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo সদরপুরে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের জন্য কর্মবিরতি পালন করেছে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা

সেই আত্মঘাতী বাংলাদেশির পরিচয় নিশ্চিত করেছে পরিবার !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৭:১৪:৪৮ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০১৭
  • ৭৮০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

আমেরিকাভিত্তিক ওয়েবসাইট সাইট ইনটিলিজেন্স যে আত্মঘাতী বাংলাদেশির ছবি প্রকাশ করেছে তার পরিচয় নিশ্চিত করেছে পরিবারের সদস্যরা। ওই ব্যক্তির নাম নিয়াজ মোর্শেদ রাজা। নিয়াজ চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার খন্দকিয়া এলাকার এ কে এম কামালউদ্দিন আহমেদের ছেলে। তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে নিয়াজ সবার ছোট।

চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুল (সিজিএস) থেকে ‘এ লেভেল’ পাস করে অস্ট্রেলিয়ায় চলে যান। সেখানে ব্যবসায় প্রশাসন ও তথ্যপ্রযুক্তির ওপর পড়াশোনা করে সুইডেনে যান। গত দুই বছর তার সঙ্গে পরিবারের কোনো যোগাযোগ নেই। তবে নিয়াজ যে জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন, সে খবর তারা শুনেছেন। এ কারণে অসুস্থ মা খুব কান্নাকাটিও করতেন।

নিয়াজের বোন জান্নাতুল মাওয়া বলেন, ২০১১ সালে নিয়াজ বিয়ে করেন। তিনি দুই সন্তানের জনক। নিয়াজের স্ত্রী ও সন্তানরা এখন ঢাকায়। নিয়াজের কারণে তার স্ত্রী বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলার পর র‌্যাব নিখোঁজ ব্যক্তিদের যে তালিকা প্রকাশ করে, সেখানেও নিয়াজের নাম ছিল। হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বেলাল উদ্দীন জাহাঙ্গীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জান্নাতুল মাওয়ার জানান, নিয়াজের পার্টি খুব পছন্দ ছিল। অনেক মজা করতো। হঠাৎ করেই এক সময় বদলে যান নিয়াজ। তবে ওর বদলে যাওয়া দেখে আমাদের একবারও খারাপ কিছু মনে হয়নি। ২০১৫ সালের মার্চে এক শুক্রবার নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে সে বের হয়ে যায়। এরপর আর ফিরে আসেনি। বেশ কিছুদিন পর নিয়াজ খবর পাঠায় যে, সে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে গেছে- সে ভালো আছে এবং সুস্থ আছে। মাঝেমধ্যে ফোন করে পরিবারের খোঁজ নিতো।

ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেলেও কাউকে সেটা জানাতে পারেনি তিন বোন। জান্নাতুল মাওয়া বলেন, পরিবারের কেউ যখন জিজ্ঞেস করতো তখন বলতাম ও ব্যবসার কাজে অস্ট্রেলিয়া চলে গেছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

টেকনাফে ইঞ্জিন বিকল হওয়া যাত্রীবাহী বোটসহ ৪৫ জন যাত্রী উদ্ধার

সেই আত্মঘাতী বাংলাদেশির পরিচয় নিশ্চিত করেছে পরিবার !

আপডেট সময় : ০৭:১৪:৪৮ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

আমেরিকাভিত্তিক ওয়েবসাইট সাইট ইনটিলিজেন্স যে আত্মঘাতী বাংলাদেশির ছবি প্রকাশ করেছে তার পরিচয় নিশ্চিত করেছে পরিবারের সদস্যরা। ওই ব্যক্তির নাম নিয়াজ মোর্শেদ রাজা। নিয়াজ চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার খন্দকিয়া এলাকার এ কে এম কামালউদ্দিন আহমেদের ছেলে। তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে নিয়াজ সবার ছোট।

চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুল (সিজিএস) থেকে ‘এ লেভেল’ পাস করে অস্ট্রেলিয়ায় চলে যান। সেখানে ব্যবসায় প্রশাসন ও তথ্যপ্রযুক্তির ওপর পড়াশোনা করে সুইডেনে যান। গত দুই বছর তার সঙ্গে পরিবারের কোনো যোগাযোগ নেই। তবে নিয়াজ যে জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন, সে খবর তারা শুনেছেন। এ কারণে অসুস্থ মা খুব কান্নাকাটিও করতেন।

নিয়াজের বোন জান্নাতুল মাওয়া বলেন, ২০১১ সালে নিয়াজ বিয়ে করেন। তিনি দুই সন্তানের জনক। নিয়াজের স্ত্রী ও সন্তানরা এখন ঢাকায়। নিয়াজের কারণে তার স্ত্রী বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলার পর র‌্যাব নিখোঁজ ব্যক্তিদের যে তালিকা প্রকাশ করে, সেখানেও নিয়াজের নাম ছিল। হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বেলাল উদ্দীন জাহাঙ্গীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জান্নাতুল মাওয়ার জানান, নিয়াজের পার্টি খুব পছন্দ ছিল। অনেক মজা করতো। হঠাৎ করেই এক সময় বদলে যান নিয়াজ। তবে ওর বদলে যাওয়া দেখে আমাদের একবারও খারাপ কিছু মনে হয়নি। ২০১৫ সালের মার্চে এক শুক্রবার নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে সে বের হয়ে যায়। এরপর আর ফিরে আসেনি। বেশ কিছুদিন পর নিয়াজ খবর পাঠায় যে, সে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে গেছে- সে ভালো আছে এবং সুস্থ আছে। মাঝেমধ্যে ফোন করে পরিবারের খোঁজ নিতো।

ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেলেও কাউকে সেটা জানাতে পারেনি তিন বোন। জান্নাতুল মাওয়া বলেন, পরিবারের কেউ যখন জিজ্ঞেস করতো তখন বলতাম ও ব্যবসার কাজে অস্ট্রেলিয়া চলে গেছে।