রাজধানীর ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালেও শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙার কাজ চলছে। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভারী যন্ত্র দিয়ে বাড়িটি ভাঙতে দেখা গেছে। এরই মধ্যে বাড়ির সামনের অংশে চারতলা পর্যন্ত অনেকটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রাত থেকে বহু ছাত্র-জনতা ভাঙার কাজ দেখছেন। মাঝে মধ্যে ভবনের বড় অংশ ভেঙে পড়লেই উল্লাস করছেন উপস্থিত জনতা।
নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ভারতে পালিয়ে থাকা সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল অধিবেশনে যোগদানের ঘোষণার প্রতিবাদে ‘লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২’ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স। ঘোষণার প্রেক্ষিতে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে শুরু হয় শেখ মুজিবুরের বাড়ি ভাঙার কাজ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাতে যারা ছিলেন তাদের মধ্যে অনেককেই সকালেও বাড়ির সামনে রয়েছেন। ফজরের নামাজের পর থেকেও অনেককেই ৩২ নম্বরের বাড়ির দিকে যেতে দেখা যায়। সেখানে জড়ো হওয়া কয়েকজন বলেছেন, স্বৈরাচারের কোনো চিহ্ন তারা রাখতে চান না।
সকালে ক্রেন ও এক্সকাভেটর দিয়ে বাড়িটির বিভিন্ন অংশ ভাঙতে দেখা গেছে। কিছু জায়গায় আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। বাড়ির বিভিন্ন অংশে লাল কালি দিয়ে লেখা ছিল, ‘স্বৈরাচার সাবধান।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট স্বৈরতান্ত্রিক আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। অভ্যুত্থানের ছয় মাস ছিল বৃহস্পতিবার। এদিন রাত ৯টায় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করা হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দিনভরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উত্তেজনা চলে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া অনেক ছাত্র-জনতা ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ফেসবুকে ধানমন্ডি ৩২ অভিমুখে ‘বুলডোজার মিছিল’ এবং ‘মার্চ টু ধানমন্ডি ৩২’ কর্মসূচির ডাক দেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছিলেন বিক্ষুব্ধ জনতা। এর পর থেকে বাড়িটি অনেকটা পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল।