শিরোনাম :
Logo বীরগঞ্জে ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ডিপিইও নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববন্ধন। Logo টাকার জন্য হরিদাস বাবু’কে হয়রানী তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার অনুসন্ধানে প্রমাণ। Logo খুবির সঙ্গে গবেষণা সহযোগিতায় আগ্রহ জাপানি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের Logo শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে ট্রাকের ধাক্কায় এনজিও কর্মীর মৃত্যু Logo সাতক্ষীরায় রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ তরুণী, থানায় সাধারণ ডায়েরি Logo আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০২৫ উপলক্ষে কয়রায় র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo দর্শনা থানা পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযান, ৪ কেজি গাঁজাসহ আটক ১ Logo জীবননগরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২৫ উদযাপন Logo আইএফএডিকে বাংলাদেশের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার Logo চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ এলাকায় বিষাক্ত মদপানে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।

১০৮ দিনে কোরআনের হাফেজ ৮ বছরের তামিম

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০১:৩৮:৪৩ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৭৬১ বার পড়া হয়েছে

মাত্র ১০৮ দিনে পবিত্র কোরআনের হাফেজ হয়েছে আট বছরের বিস্ময় শিশু তামিম চৌধুরী। দ্রুত সময়ে ৩০ পারা কোরআন হিফজ (মুখস্থ) করায় শিশুর পরিবার ও শিক্ষকরা আনন্দিত।

তামিম চৌধুরী নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার কড়িহাটি গ্রামের বাহার চৌধুরী ও মারজাহান আক্তার দম্পত্তির একমাত্র ছেলে সন্তান। সে মারকাজুন নাযাত ইন্টারন্যাশনাল হিফজুল কোরআন মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।

জানা গেছে, আমেরিকা প্রবাসী মো. বাহার চৌধুরীর তিন মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান। হাফেজ তামিমের জন্ম ২০১৭ সালের ২৭ জানুয়ারি। বাবার স্বপ্ন পূরণে তামিমকে মাদরাসায় হেফজ বিভাগে ভর্তি করানো হয়। নাজরানা বিভাগে পড়ার মাত্র ১০৮ দিনে পবিত্র কুরআন হিফজ করেছে সে।

এ বিষয়ে শিশু তামিম বলেছে, ‘আলহামদুলিল্লাহ! অল্প সময়ে হাফেজ হতে পেরে আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। আমার ওস্তাদরা আমাকে অনেক বেশি সহায়তা করেছেন। ওস্তাদদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি প্রথম ভেবেছিলাম অনেক কঠিন হবে। কিন্তু আল্লাহ আমাকে সহজ করে দিয়েছেন। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন ভবিষ্যতে বড় একজন আলেম হতে পারি।’

তামিমের সহপাঠী মো. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমার বন্ধু তামিম মাত্র ১০৮ দিনে হিফজ শেষ করেছে, এ জন্য আমরা খুব আনন্দিত। তার মাধ্যমে আমাদের মাদরাসার নাম উজ্জ্বল হয়েছে। আমরা দোয়া করি যেন এমন আরও অনেকেই হাফেজ হতে পারে। আল্লাহ যেন সবাইকে কবুল করেন।’

তামিমের বাবা বাহার চৌধুরী ও মা মারজান আক্তার বলেন, ‘কোরআনের হাফেজ হয়ে তামিম আমাদের স্বপ্ন পূরণ করেছে। আমরা মাদরাসার সব শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তার জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি। আল্লাহ যেন আমাদের ছেলেকে ইসলামের জন্য কবুল করে।’

তামিমের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মারকাজুন নাযাত ইন্টারন্যাশনাল হিফজুল কোরআন মাদরাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা সিফাতুল ইসলাম উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘শিশুটি মাত্র ছয় মাস নাজেরানা পড়ে হেফজ বিভাগে ছবক শুরু করে। ছবক শুরু থেকে ৩ মাস ১০ দিনে অর্থাৎ মাত্র ১০৮ দিনে কোরআনে হেফজ সম্পন্ন করে। আমি আশা করছি, তামিম আন্তর্জাতিকভাবে কোরআনের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আমাদের মাদরাসা, পরিবার, দেশ ও জাতির জন্য সম্মান বয়ে আনবে।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বীরগঞ্জে ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ডিপিইও নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববন্ধন।

১০৮ দিনে কোরআনের হাফেজ ৮ বছরের তামিম

আপডেট সময় : ০১:৩৮:৪৩ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫

মাত্র ১০৮ দিনে পবিত্র কোরআনের হাফেজ হয়েছে আট বছরের বিস্ময় শিশু তামিম চৌধুরী। দ্রুত সময়ে ৩০ পারা কোরআন হিফজ (মুখস্থ) করায় শিশুর পরিবার ও শিক্ষকরা আনন্দিত।

তামিম চৌধুরী নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার কড়িহাটি গ্রামের বাহার চৌধুরী ও মারজাহান আক্তার দম্পত্তির একমাত্র ছেলে সন্তান। সে মারকাজুন নাযাত ইন্টারন্যাশনাল হিফজুল কোরআন মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।

জানা গেছে, আমেরিকা প্রবাসী মো. বাহার চৌধুরীর তিন মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান। হাফেজ তামিমের জন্ম ২০১৭ সালের ২৭ জানুয়ারি। বাবার স্বপ্ন পূরণে তামিমকে মাদরাসায় হেফজ বিভাগে ভর্তি করানো হয়। নাজরানা বিভাগে পড়ার মাত্র ১০৮ দিনে পবিত্র কুরআন হিফজ করেছে সে।

এ বিষয়ে শিশু তামিম বলেছে, ‘আলহামদুলিল্লাহ! অল্প সময়ে হাফেজ হতে পেরে আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। আমার ওস্তাদরা আমাকে অনেক বেশি সহায়তা করেছেন। ওস্তাদদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি প্রথম ভেবেছিলাম অনেক কঠিন হবে। কিন্তু আল্লাহ আমাকে সহজ করে দিয়েছেন। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন ভবিষ্যতে বড় একজন আলেম হতে পারি।’

তামিমের সহপাঠী মো. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমার বন্ধু তামিম মাত্র ১০৮ দিনে হিফজ শেষ করেছে, এ জন্য আমরা খুব আনন্দিত। তার মাধ্যমে আমাদের মাদরাসার নাম উজ্জ্বল হয়েছে। আমরা দোয়া করি যেন এমন আরও অনেকেই হাফেজ হতে পারে। আল্লাহ যেন সবাইকে কবুল করেন।’

তামিমের বাবা বাহার চৌধুরী ও মা মারজান আক্তার বলেন, ‘কোরআনের হাফেজ হয়ে তামিম আমাদের স্বপ্ন পূরণ করেছে। আমরা মাদরাসার সব শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তার জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি। আল্লাহ যেন আমাদের ছেলেকে ইসলামের জন্য কবুল করে।’

তামিমের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মারকাজুন নাযাত ইন্টারন্যাশনাল হিফজুল কোরআন মাদরাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা সিফাতুল ইসলাম উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘শিশুটি মাত্র ছয় মাস নাজেরানা পড়ে হেফজ বিভাগে ছবক শুরু করে। ছবক শুরু থেকে ৩ মাস ১০ দিনে অর্থাৎ মাত্র ১০৮ দিনে কোরআনে হেফজ সম্পন্ন করে। আমি আশা করছি, তামিম আন্তর্জাতিকভাবে কোরআনের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আমাদের মাদরাসা, পরিবার, দেশ ও জাতির জন্য সম্মান বয়ে আনবে।’