শিরোনাম :
Logo  ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ  Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নিহত, চারজন আহত Logo ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি  Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo ইবিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত 

শরীর ম্যাসাজে সাপের ব্যবহার, দূর হবে ব্যাথা !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:৫৩:২২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০১৭
  • ৭৬৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

শরীর ম্যাসাজে ব্যবহার হচ্ছে সাপ। ভাবতে অবাক লাগলেও ইন্দোনেশিয়ার একটি স্পা-এ কিন্তু অজগরের সেবা নেন অনেকেই। শুধু ইন্দোনেশিয়া নয়, ব্রিটেন আর ফিলিপিন্সেও সাপ দিয়ে ম্যাসাজ করানো হয়। অজগর দিয়ে যেভাবে ম্যাসাজ করানো হয়, তাতে নাকি ভয়ের কিছু নেই। কারণ প্রথমত, ম্যাসাজ শুরুর আগে অজগরকে পেট পুরে খাওয়ানো হয়। পেটে ক্ষিদে না থাকলে অজগর মানুষকে গিলতে যাবে কেন? দ্বিতীয়ত, ম্যাসাজ আগে অজগরের মুখও বন্ধ করে দেয়া হয়, সুতরাং চাইলেও সে কাউকে কামড়াতে বা গিলতে পারে না।

অজগর কীভাবে বড় বড় প্রাণী শিকার করে, জানেন? কাছাকাছি পেলে প্রথমে শিকারকে সারা শরীর দিয়ে জড়িয়ে ধরে অজগর। তারপর যত জোরে সম্ভব চেপে ধরে। বড় ভয়ানক সেই চাপ। ফলে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই দম বন্ধ হয়ে মারা যায় সেই প্রাণী। তারপর ধীরে ধীরে প্রাণীটিকে গিলে ফেলে অজগর। তবে এমন ভয়ংকর এক সাপকে দিয়ে কেন মানুষের শরীর মালিশ করানো হয় বালি দ্বীপের ওই স্পােতে? এর উত্তর এখনো অনেকেরই অজানা।

ম্যাসাজের সময় কোনো মানুষকে কখনোই জলজ্যান্ত অজগরের কাছে একা ছেড়ে দেয়া হয় না। সবসময়ই একজন সুপারভাইজার কাছে থাকেন। তার কাজই হলো, অজগর কখনো থেমে যাচ্ছে কিনা, কোনো বিপদ ঘটাতে চাচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখা। বিশ্বে এমন মানুষের অভাব নেই, যাঁরা বিপদ ভালোওবাসেন। অন্যরকম কিছু করে বাড়তি আনন্দ পান তারা। এমন অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় মানুষদের জন্য নাকি অজগরের মেসেজ আরো বেশি উপকারী। অজগর পিঠে চড়লে নাকি তাদের হরমোনের নিউট্রোট্রান্সমিটার ডোপামিনের মাত্রা বেড়ে যায়।

যত অভয়ই দেয়া হোক না কেন, গায়ের ওপরে যখন প্রায় তিন মিটার লম্বা আর আট কেজির মতো ওজনের একটা সাপ ছেড়ে দেয়া হয়, ভয় তো লাগেই। সাপের পিচ্ছিল শরীর পিঠে যত নড়াচড়া করে, ততই ভয়ের মাত্রা বাড়তে থাকে। সেই ভয়ের কারণে অ্যাড্রেনালিন নিঃসরণের মাত্রা বেড়ে যায়। তাতে নাকি শরীরের অনেক উপকার! অজগরকে কে না ভয় পায়! মেসেজ শেষ হলে সেই ভয়ের জায়গায় মনে ঠাঁই নেয় এক ধরনের মুক্তির আনন্দ। কেউ কেউ জানিয়েছেন, ম্যাসাজ নেয়ার আগে তারা সাপের নাম শুনলেই ভয় পেতেন। কিন্তু ম্যাসাজ নেয়ার পরে নাকি সেই ভয় কেটে গেছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

 ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার

শরীর ম্যাসাজে সাপের ব্যবহার, দূর হবে ব্যাথা !

আপডেট সময় : ১২:৫৩:২২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

শরীর ম্যাসাজে ব্যবহার হচ্ছে সাপ। ভাবতে অবাক লাগলেও ইন্দোনেশিয়ার একটি স্পা-এ কিন্তু অজগরের সেবা নেন অনেকেই। শুধু ইন্দোনেশিয়া নয়, ব্রিটেন আর ফিলিপিন্সেও সাপ দিয়ে ম্যাসাজ করানো হয়। অজগর দিয়ে যেভাবে ম্যাসাজ করানো হয়, তাতে নাকি ভয়ের কিছু নেই। কারণ প্রথমত, ম্যাসাজ শুরুর আগে অজগরকে পেট পুরে খাওয়ানো হয়। পেটে ক্ষিদে না থাকলে অজগর মানুষকে গিলতে যাবে কেন? দ্বিতীয়ত, ম্যাসাজ আগে অজগরের মুখও বন্ধ করে দেয়া হয়, সুতরাং চাইলেও সে কাউকে কামড়াতে বা গিলতে পারে না।

অজগর কীভাবে বড় বড় প্রাণী শিকার করে, জানেন? কাছাকাছি পেলে প্রথমে শিকারকে সারা শরীর দিয়ে জড়িয়ে ধরে অজগর। তারপর যত জোরে সম্ভব চেপে ধরে। বড় ভয়ানক সেই চাপ। ফলে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই দম বন্ধ হয়ে মারা যায় সেই প্রাণী। তারপর ধীরে ধীরে প্রাণীটিকে গিলে ফেলে অজগর। তবে এমন ভয়ংকর এক সাপকে দিয়ে কেন মানুষের শরীর মালিশ করানো হয় বালি দ্বীপের ওই স্পােতে? এর উত্তর এখনো অনেকেরই অজানা।

ম্যাসাজের সময় কোনো মানুষকে কখনোই জলজ্যান্ত অজগরের কাছে একা ছেড়ে দেয়া হয় না। সবসময়ই একজন সুপারভাইজার কাছে থাকেন। তার কাজই হলো, অজগর কখনো থেমে যাচ্ছে কিনা, কোনো বিপদ ঘটাতে চাচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখা। বিশ্বে এমন মানুষের অভাব নেই, যাঁরা বিপদ ভালোওবাসেন। অন্যরকম কিছু করে বাড়তি আনন্দ পান তারা। এমন অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় মানুষদের জন্য নাকি অজগরের মেসেজ আরো বেশি উপকারী। অজগর পিঠে চড়লে নাকি তাদের হরমোনের নিউট্রোট্রান্সমিটার ডোপামিনের মাত্রা বেড়ে যায়।

যত অভয়ই দেয়া হোক না কেন, গায়ের ওপরে যখন প্রায় তিন মিটার লম্বা আর আট কেজির মতো ওজনের একটা সাপ ছেড়ে দেয়া হয়, ভয় তো লাগেই। সাপের পিচ্ছিল শরীর পিঠে যত নড়াচড়া করে, ততই ভয়ের মাত্রা বাড়তে থাকে। সেই ভয়ের কারণে অ্যাড্রেনালিন নিঃসরণের মাত্রা বেড়ে যায়। তাতে নাকি শরীরের অনেক উপকার! অজগরকে কে না ভয় পায়! মেসেজ শেষ হলে সেই ভয়ের জায়গায় মনে ঠাঁই নেয় এক ধরনের মুক্তির আনন্দ। কেউ কেউ জানিয়েছেন, ম্যাসাজ নেয়ার আগে তারা সাপের নাম শুনলেই ভয় পেতেন। কিন্তু ম্যাসাজ নেয়ার পরে নাকি সেই ভয় কেটে গেছে।