ফরহাদ হোসাইন কয়রা (খুলনা):
খুলনার কয়রায় একটি বাজারের দোকান থেকে অবৈধভাবে টাকা আদায়ে বাঁধা দেওয়ায় যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতাকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
রোববার(১৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার দেউলিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আজ সোমবার এ ঘটনায় ৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে কয়রা থানায় মামলা হয়েছে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আকবর হোসেন (৪৪) ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জামাল হোসেন (৩৫)। তাদেরকে প্রথমে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে জামাল হোসেনকে উন্নত চিকিসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শি ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, মোস্তফা কামাল ওরফে রাজু, কয়রা উপজেলা ছাত্রদলের যগ্ন আহবায়ক আলমগীর হোসেন, দেউলিয়া বাজারের চায়ের দোকানদার আবুল কালাম ও শাহরিয়ার নাজিমসহ ৬-৭ জন যুবক রোববার সকালে দেউলিয়া বাজারের দোকান থেকে টাকা আদায় করছিলেন। স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জামাল হোসেন সেখানে টাকা আদায়ের কারণ জানতে চাইলে দু’পক্ষের মধ্যে বাক-বিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে ওই যুবকরা জামাল হোসেনকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। এ সময় যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আকবর হোসেন সেখানে উপস্থিত হলে তাকেও মারপিট করা হয়। পরে আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
দেউলিয়া বাজার মৎস্য ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি আকবর হোসেন বলেন, হামলাকারি যুবকরা উপজেলা যুবদলের আহবায়ক শরিফুল ইসলামের অনুসারি। তারা বেশ কয়েকদিন ধরে দেউলিয়া বাজারের দোকান থেকে অবৈধভাবে টাকা আদায় করছিল। এতে বাঁধা দেওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা করেছে।
জানতে চাইলে কয়রা উপজেলা যুবদলের আহবায়ক শরিফুল ইসলাম বলেন, তারা কিছুদিন আমার সঙ্গে ছিল। খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারি তারা মাদকাসক্ত। পরে তাদেরকে আর প্রশ্রয় দেয়নি। তিনি এ হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।
কয়রা থানার ওসি ইমদাদুল হক বলেন, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতাকে মারপিটের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্তদের আটক করতে চেষ্ট চলছে।