শুক্রবার | ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo চাঁদপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের পিতার মৃত্যুতে দোয়া Logo জাতীয় ছাত্রশক্তি জাবি শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা Logo জাবিতে ইলিয়াস ও পিনাকীর কুশপুত্তলিকা দাহন Logo পদত্যাগ করলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ Logo সাতক্ষীরা-কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযানে ভারতীয় মদ ও ঔষধসহ আড়াই লক্ষাধিক টাকার চোরাচালানী মালামাল জব্দ Logo কয়রায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা Logo চাঁদপুর ভূঁইয়ার ঘাট ডিঙ্গি মাঝি সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন Logo টেকনাফে বিজিবির অভিযানে সাগর পথে মানব পাচারকালে দুই দালালসহ ৭ জন ভিকটিম উদ্ধার Logo দেশকে এগিয়ে নেয়ার ‘ডিটেইল প্ল্যানিং’ শুধু বিএনপির আছে: তারেক রহমান Logo রাশিয়াকে ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার কোনো অধিকার নেই কিয়েভের : জেলেনস্কি

ইসলামের দৃষ্টিতে চুরির মাল কেনাবেচা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১২:০৪:৫৮ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭৬৮ বার পড়া হয়েছে

চুরি করা জঘন্য ও দণ্ডনীয় অপরাধ। চোর চুরির মাধ্যমে বস্তুর মালিক হয় না। বরং তা মূল মালিকের কাছে হস্তান্তর করা আবশ্যক। মূল মালিকের কাছে হস্তান্তর সম্ভব না হলে সওয়াবের নিয়ত ব্যতীত তা সদকা করে দেওয়া ওয়াজিব।

সুতরাং কোনো মার্কেটের ব্যাপারে যদি নিশ্চিত জ্ঞান থাকে অথবা প্রবল ধারণা হয় যে, ওই মার্কেটে যা বিক্রি করা হয় তা চোরাইকৃত তাহলে কারো জন্য সেই মার্কেট থেকে কোনো জিনিস ক্রয় করা জায়েজ হবে না।

ক্রয় করে নিয়ে আসলে তা ব্যবহার করা জায়েজ হবে না বরং ফেরত দেওয়া জরুরি। ফেরত দেওয়া সম্ভব না হলে তা সদকা করে দেওয়া জরুরি।

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি চোরাইকৃত বস্তু জানা সত্ত্বেও তা ক্রয় করল সে চুরির গুনাহ এবং লাঞ্ছনার ক্ষেত্রে অংশীদার হলো’। [সুনানে বায়হাকী-হাদিস নম্বর: ১১১৪১, মুসতাদরাকে হাকেম-হাদিস নম্বর: ২২৫৩]

হাদীস শরিফে আছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি জেনেশুনে চুরিকৃত বস্তু ক্রয় করল সে-ও চুরির অপরাধে শরিক হয়ে গেল। [মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা, হাদীস ২২৪৯৫; আততারগিব ওয়াত তারহিব ২/৫৪৮]

বিখ্যাত তাবেয়ি মুহাম্মাদ ইবনে সিরিন রহ. বলেন, আমি আবিদা আসসালমানি রহ.-কে জিজ্ঞাসা করলাম, আমি কি চুরিকৃত বস্তু কিনতে পারব, অথচ আমি জানি এটা চুরিকৃত? তিনি বললেন, না, তুমি তা কিনতে পারবে না। (প্রাগুক্ত)-শরহুল মাজাল্লাহ ১/২৬২; ইতরুল হেদায়া পৃ. ৬০

এছাড়া চুরির পণ্য ক্রয় করলে এতে করে চুরিকে উৎসাহিত করা হয়। এমন নয় যে আমি তো টাকা দিয়ে জিনিস কিনছি, গুনাহ হলে তারই হবে। কিন্তু এই ধারণা ভুল। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা খারাপ কাজে সহযোগিতা করতেও নিষেধ করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, তোমরা গুনাহ ও সীমালঙ্ঘনের ক্ষেত্রে কারো সহায়তা করো না। [সুরা মায়েদা: ২]

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের পিতার মৃত্যুতে দোয়া

ইসলামের দৃষ্টিতে চুরির মাল কেনাবেচা

আপডেট সময় : ১২:০৪:৫৮ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

চুরি করা জঘন্য ও দণ্ডনীয় অপরাধ। চোর চুরির মাধ্যমে বস্তুর মালিক হয় না। বরং তা মূল মালিকের কাছে হস্তান্তর করা আবশ্যক। মূল মালিকের কাছে হস্তান্তর সম্ভব না হলে সওয়াবের নিয়ত ব্যতীত তা সদকা করে দেওয়া ওয়াজিব।

সুতরাং কোনো মার্কেটের ব্যাপারে যদি নিশ্চিত জ্ঞান থাকে অথবা প্রবল ধারণা হয় যে, ওই মার্কেটে যা বিক্রি করা হয় তা চোরাইকৃত তাহলে কারো জন্য সেই মার্কেট থেকে কোনো জিনিস ক্রয় করা জায়েজ হবে না।

ক্রয় করে নিয়ে আসলে তা ব্যবহার করা জায়েজ হবে না বরং ফেরত দেওয়া জরুরি। ফেরত দেওয়া সম্ভব না হলে তা সদকা করে দেওয়া জরুরি।

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি চোরাইকৃত বস্তু জানা সত্ত্বেও তা ক্রয় করল সে চুরির গুনাহ এবং লাঞ্ছনার ক্ষেত্রে অংশীদার হলো’। [সুনানে বায়হাকী-হাদিস নম্বর: ১১১৪১, মুসতাদরাকে হাকেম-হাদিস নম্বর: ২২৫৩]

হাদীস শরিফে আছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি জেনেশুনে চুরিকৃত বস্তু ক্রয় করল সে-ও চুরির অপরাধে শরিক হয়ে গেল। [মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা, হাদীস ২২৪৯৫; আততারগিব ওয়াত তারহিব ২/৫৪৮]

বিখ্যাত তাবেয়ি মুহাম্মাদ ইবনে সিরিন রহ. বলেন, আমি আবিদা আসসালমানি রহ.-কে জিজ্ঞাসা করলাম, আমি কি চুরিকৃত বস্তু কিনতে পারব, অথচ আমি জানি এটা চুরিকৃত? তিনি বললেন, না, তুমি তা কিনতে পারবে না। (প্রাগুক্ত)-শরহুল মাজাল্লাহ ১/২৬২; ইতরুল হেদায়া পৃ. ৬০

এছাড়া চুরির পণ্য ক্রয় করলে এতে করে চুরিকে উৎসাহিত করা হয়। এমন নয় যে আমি তো টাকা দিয়ে জিনিস কিনছি, গুনাহ হলে তারই হবে। কিন্তু এই ধারণা ভুল। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা খারাপ কাজে সহযোগিতা করতেও নিষেধ করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, তোমরা গুনাহ ও সীমালঙ্ঘনের ক্ষেত্রে কারো সহায়তা করো না। [সুরা মায়েদা: ২]