শিরোনাম :
Logo সাতক্ষীরায় বিজিবির বিশেষ অভিযান: ৮ লাখ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ Logo রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ Logo খুবিতে গনিত ক্লাবের যাত্রা: দায়িত্ব পেয়েছে পরমা-পলাশ Logo খুবিতে ‘মাইন্ড ওভার ম্যাথ’ শীর্ষক আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান Logo  অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের তীব্র নিন্দা Logo কচুয়ায় দাড়িপাল্লার গণজোয়ার: জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর গণসংযোগে মানুষের ঢল Logo জননেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও রুমানা মাহমুদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের নিন্দা জেলা বিএনপির নেতার Logo জমকালো আয়োজনে ইবিতে নবীন বরণ  Logo ফরাজীকান্দি ইউনিয়নে গোলাপ ফুলের সমর্থনে জাকের পার্টির জনসভা Logo গাইবান্ধায় মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা কমিটি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা

প্রধান উপদেষ্টার কাছে অগ্রগতি তুলে ধরল ৬ সংস্কার কমিশন

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৬:০৮ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭৫০ বার পড়া হয়েছে

অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে যে ছয় কমিশন করেছে, সেইসব কমিশনের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টার তেজগাঁও কার্যালয়ে এ বৈঠক হয় বলে তার দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।

অধ্যাপক ইউনূস তার ভাষণে বলেন, তারা সংস্কার চান। সংস্কারের মাধ্যমে জাতি হিসেবে নতুনভাবে যাত্রা শুরু করতে চান। আর সংস্কারের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে প্রাথমিকভাবে ছয়টি কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খবর বিডিনিউজ ও বাসসের।

বৈঠকে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী জানান, তার কমিশনের কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সবার মতামত সংগ্রহ শুরু হয়েছে। কমিশনের সদস্যরা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সফর করে জনসাধারণের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, জনপ্রশাসনের বিভিন্ন ক্যাডার প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময় শুরু হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন পেশ করার বিষয়ে তারা আশাবাদী।

আরেক বৈঠকে পুলিশ সংস্কার কমিশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে অধ্যাপক ইউনূসকে জানান কমিশন প্রধান সফর রাজ হোসেন। প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর বলছে, বৈঠকে সফর রাজ জানিয়েছেন, পুলিশ সংস্কার কমিশন ইতোমধ্যে ১০টি সভা করেছে। পাশাপাশি অংশীদারদের সঙ্গে চারটি বৈঠক করেছে। জনসাধারণের মতামত চেয়ে কমিশন একটি প্রশ্নমালা প্রস্তুত করছে, যা ইতোমধ্যে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

সফর রাজ বলেছেন, কিছু আইন ও বিধি সংশোধনের প্রস্তাব এসেছে, যেগুলো যাচাই–বাছাই করে দেখা হচ্ছে। এছাড়া কয়েকটি প্রক্রিয়া সহজ করে তোলার জন্য সুপারিশ করা হবে। মব নিয়ন্ত্রণে বলপ্রয়োগ পদ্ধতি পরিবর্তন করার প্রস্তাব নিয়েও কাজ চলছে বলে জানান তিনি।

পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান জানিয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮–এর কয়েকটি ধারা পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং তা পরিবর্তন করা হবে কিনা তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে।

এদিকে আরেক বৈঠকে নির্বাচন সংস্কার কমিশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে জানান এ কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। বৈঠকে জানানো হয়, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। অনুপস্থিত ভোটারদের জন্য পোস্টাল ব্যালট নিয়ে কাজ চলছে।

জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে ভোটার তালিকা সমন্বয় করা হচ্ছে জানিয়ে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিতে জোর দিচ্ছে নির্বাচন সংস্কার কমিশন। এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অংশীদারদের পরামর্শ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এছাড়া বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন প্রধান শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন প্রধান ইফতেখারুজ্জামান এবং সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ নিজেদের কমিশনের অগ্রগতি তুলে ধরেন।

গত ৩ অক্টোবর নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুদক ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। দুদিন বাদে ৬ অক্টোবর গঠন করা হয় সংবিধান সংস্কার কমিশন। কমিশন গঠনের দিন থেকে ৯০ দিনের মধ্যে তাদেরকে সরকারপ্রধানের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাতক্ষীরায় বিজিবির বিশেষ অভিযান: ৮ লাখ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ

প্রধান উপদেষ্টার কাছে অগ্রগতি তুলে ধরল ৬ সংস্কার কমিশন

আপডেট সময় : ০৮:৫৬:০৮ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে যে ছয় কমিশন করেছে, সেইসব কমিশনের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টার তেজগাঁও কার্যালয়ে এ বৈঠক হয় বলে তার দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।

অধ্যাপক ইউনূস তার ভাষণে বলেন, তারা সংস্কার চান। সংস্কারের মাধ্যমে জাতি হিসেবে নতুনভাবে যাত্রা শুরু করতে চান। আর সংস্কারের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে প্রাথমিকভাবে ছয়টি কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খবর বিডিনিউজ ও বাসসের।

বৈঠকে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী জানান, তার কমিশনের কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সবার মতামত সংগ্রহ শুরু হয়েছে। কমিশনের সদস্যরা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সফর করে জনসাধারণের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, জনপ্রশাসনের বিভিন্ন ক্যাডার প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময় শুরু হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন পেশ করার বিষয়ে তারা আশাবাদী।

আরেক বৈঠকে পুলিশ সংস্কার কমিশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে অধ্যাপক ইউনূসকে জানান কমিশন প্রধান সফর রাজ হোসেন। প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর বলছে, বৈঠকে সফর রাজ জানিয়েছেন, পুলিশ সংস্কার কমিশন ইতোমধ্যে ১০টি সভা করেছে। পাশাপাশি অংশীদারদের সঙ্গে চারটি বৈঠক করেছে। জনসাধারণের মতামত চেয়ে কমিশন একটি প্রশ্নমালা প্রস্তুত করছে, যা ইতোমধ্যে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

সফর রাজ বলেছেন, কিছু আইন ও বিধি সংশোধনের প্রস্তাব এসেছে, যেগুলো যাচাই–বাছাই করে দেখা হচ্ছে। এছাড়া কয়েকটি প্রক্রিয়া সহজ করে তোলার জন্য সুপারিশ করা হবে। মব নিয়ন্ত্রণে বলপ্রয়োগ পদ্ধতি পরিবর্তন করার প্রস্তাব নিয়েও কাজ চলছে বলে জানান তিনি।

পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান জানিয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮–এর কয়েকটি ধারা পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং তা পরিবর্তন করা হবে কিনা তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে।

এদিকে আরেক বৈঠকে নির্বাচন সংস্কার কমিশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে জানান এ কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। বৈঠকে জানানো হয়, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। অনুপস্থিত ভোটারদের জন্য পোস্টাল ব্যালট নিয়ে কাজ চলছে।

জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে ভোটার তালিকা সমন্বয় করা হচ্ছে জানিয়ে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিতে জোর দিচ্ছে নির্বাচন সংস্কার কমিশন। এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অংশীদারদের পরামর্শ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এছাড়া বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন প্রধান শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন প্রধান ইফতেখারুজ্জামান এবং সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ নিজেদের কমিশনের অগ্রগতি তুলে ধরেন।

গত ৩ অক্টোবর নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুদক ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। দুদিন বাদে ৬ অক্টোবর গঠন করা হয় সংবিধান সংস্কার কমিশন। কমিশন গঠনের দিন থেকে ৯০ দিনের মধ্যে তাদেরকে সরকারপ্রধানের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।