শিহাব উদ্দিন সরকার, যবিপ্রবি প্রতিনিধি:পঁয়ত্রিশ একরের ছোট ক্যাম্পাস যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)। গবেষণায় এগিয়ে থাকা যবিপ্রবি ক্যাম্পাসে রয়েছে বিভিন্ন সমস্যা। তার মধ্যে একটি বহুদিন যাবৎ রাস্তাগুলো সংস্কার না হওয়া।
দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে যবিপ্রবির অভ্যন্তরীন রাস্তাগুলোর বেহাল দশা হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় অল্প বৃষ্টিতে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। ফলে যাতায়াতের সময় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবাইকে।
সরেজমিনে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, প্রধান ফটকের সামনে, মসজিদে সামনের মোড়, লাইব্রেরি ভবনের সামনে, ডরমিটরি ও উপাচার্যের বাস ভবনের যাওয়ার রাস্তায় কয়েকটি জায়গায় ছোট-বড় অনেক গর্ত হয়ে গেছে। এতে বিটুমিন, পাথর উঠে রাস্তার অবস্থা খারাপ হয়ে উঠেছে।
ছাত্রদের মুন্সী মেহেরুল্লাহ হল এবং শহীদ মসিয়ূর রহমান হলে যাওয়ার রাস্তায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। সেখানে ভবন নির্মানের দোহাই দিয়ে রাস্তার কাজে হাত না দেয়া প্রশাসন, ভবন নির্মানের কাজ অনেক আগে শেষ হলেও রাস্তা সংস্কারের কাজে মনোযোগ দিতে দেখা যায়নি।
হতাশার চিত্র বর্ণনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ো মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং (বিএমই) বিভাগের মাসুম বিল্লাহ বলেন, “আমরা যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে গর্বিত হলেও, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ রাস্তাগুলোর করুণ অবস্থা আমাদের প্রতিনিয়ত হতাশ করে।
বৃষ্টি হলে অনেক রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে—বিশেষ করে মসজিদের সামনের প্রধান রাস্তার মোড়টি অনেক ঝুকিপূর্ণের স্থায়ী চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাস্তায় অসংখ্য গর্ত ও খোয়া উঠে যাওয়ার কারণে প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়, বিশেষ করে যারা মোটরসাইকেলে চলাচল করে।
এমনকি হেঁটে চলতেও বিপদে পড়তে হয়, রাস্তার উঠে যাওয়া খোয়া বা ইটে হোঁচট খেয়ে পড়ে যাওয়া যেন এখানে সাধারণ ঘটনা। একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান শুধু একাডেমিক উৎকর্ষ দিয়ে পরিচিত হয় না, এর অবকাঠামোগত পরিবেশও একটি বড় দিক।
তাই আমাদের বিনীত অনুরোধ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন দ্রুত রাস্তা সংস্কারের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, যাতে আমরা নিরাপদ, স্বস্তিদায়ক ও মর্যাদাসম্পন্ন একটি শিক্ষাজীবন কাটাতে পারি।”
ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী তপু বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ রাস্তাগুলো অবস্থা অনেক খারাপ। দীর্ঘদিন রাস্তার সংস্কার কাজ করা হয় না বলে রাস্তার কার্পেটিং উঠে ছোট বড় অনেক গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।
বৃষ্টির সময় আরও করুণ হয়ে পড়ে, সামান্য বৃষ্টিতে বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। যা চলাচলের ক্ষেত্রে মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি করছে। সমস্যার বিষয়টি বিভিন্ন সময় উপাচার্য স্যারকে শিক্ষার্থীরা জানালেও এখনো দৃশ্যমান কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী অধ্যাপক ড. এইচ. এম. জাকির হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীন রাস্তা সংস্কারের কাজের জন্য ইতোমধ্যে ওয়ার্ক অর্ডার হয়েছে।
আগামী সপ্তাহের মধ্যে রাস্তর কাজ শুরু করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তা সংস্কারের কাজ করবো।