শুক্রবার | ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo চাঁদপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের পিতার মৃত্যুতে দোয়া Logo জাতীয় ছাত্রশক্তি জাবি শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা Logo জাবিতে ইলিয়াস ও পিনাকীর কুশপুত্তলিকা দাহন Logo পদত্যাগ করলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ Logo সাতক্ষীরা-কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযানে ভারতীয় মদ ও ঔষধসহ আড়াই লক্ষাধিক টাকার চোরাচালানী মালামাল জব্দ Logo কয়রায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা Logo চাঁদপুর ভূঁইয়ার ঘাট ডিঙ্গি মাঝি সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন Logo টেকনাফে বিজিবির অভিযানে সাগর পথে মানব পাচারকালে দুই দালালসহ ৭ জন ভিকটিম উদ্ধার Logo দেশকে এগিয়ে নেয়ার ‘ডিটেইল প্ল্যানিং’ শুধু বিএনপির আছে: তারেক রহমান Logo রাশিয়াকে ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার কোনো অধিকার নেই কিয়েভের : জেলেনস্কি

মুসলিম শিশুদের জন্য স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করা আবশ্যক

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:৫২:৩৭ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭৫৩ বার পড়া হয়েছে

মুসলিম শিশুদের আধুনিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিয়েছেন ভারতের প্রখ্যাত আলেমে দ্বিন সাইয়েদ আরশাদ মাদানি। সম্প্রতি জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এই আহ্বান জানান। 

‘আমিরুল হিন্দ’ খ্যাত সাইয়েদ আরশাদ মাদানি বলেন, জমিয়ত কখনো আধুনিক শিক্ষার বিরোধী ছিল না। জাতির জন্য যেমন আলেম প্রয়োজন, তেমনি ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার ও বিজ্ঞানীও প্রয়োজন। জমিয়ত আধুনিক শিক্ষার বিরোধিতা করে না, তবে এর সঙ্গে ধর্মীয় শিক্ষাকে আবশ্যক মনে করে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের পূর্বসূরী আলেমদের কর্মপন্থাই আমাদের পথচলার পাথেয়। তাদের অনুসৃত রীতি-নীতি থেকে সরে যাওয়া আমাদের জন্য ভালো মনে করি না। আমাদের পূর্বসূরী আলেমরাও আধুনিক শিক্ষার বিরোধী ছিলেন না। তারা সবাই আলেম এবং ধর্মীয় জ্ঞানে দক্ষ হলেও তারা আধুনিক শিক্ষার বিরোধিতা করেননি। ইংরেজদের অনেক যুদ্ধ-জিহাদ করেছেন বটে, কিন্তু ইংরেজি শিক্ষার বিরোধী তারা ছিলেন না। এটাই বাস্তবতা। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর জমিয়তের নেতৃত্বে দেশব্যাপী রীতিমতো মাদরাসা ও স্কুল প্রতিষ্ঠার এক আন্দোলন শুরু হয়।

সাইয়েদ আরশাদ মাদানি অভিযোগ করে বলেন, দেশভাগের সময় ভারতের শিক্ষা ও অর্থনীতি থেকে পরিকল্পিতভাবে মুসলমানদের দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। সব রাজনৈতিক দল একমত যে, মুসলমানদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে দেওয়া যাবে না। তাই এখনই সময়, আধুনিক শিক্ষাতেও শিক্ষিত হয়ে নিজেরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি দেশের সমৃদ্ধিতে অবদান রাখার। ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করে প্রচুর স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। এটাই চলমান সমাজের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মুসলিম তরুণদের সক্ষম করে তুলবে।

অনুষ্ঠানে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সাধারণ সম্পাদক মুফতি সাইয়েদ মাসুম সাকিব, দিল্লি জমিয়তের সভাপতি মাওলানা মাওলানা মুহাম্মদ মুসলিম কাসেমি, অবিভক্ত পাঞ্জাব জমিয়তের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ হারুন কাসেমিসহ কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের পিতার মৃত্যুতে দোয়া

মুসলিম শিশুদের জন্য স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করা আবশ্যক

আপডেট সময় : ০৮:৫২:৩৭ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪

মুসলিম শিশুদের আধুনিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিয়েছেন ভারতের প্রখ্যাত আলেমে দ্বিন সাইয়েদ আরশাদ মাদানি। সম্প্রতি জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এই আহ্বান জানান। 

‘আমিরুল হিন্দ’ খ্যাত সাইয়েদ আরশাদ মাদানি বলেন, জমিয়ত কখনো আধুনিক শিক্ষার বিরোধী ছিল না। জাতির জন্য যেমন আলেম প্রয়োজন, তেমনি ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার ও বিজ্ঞানীও প্রয়োজন। জমিয়ত আধুনিক শিক্ষার বিরোধিতা করে না, তবে এর সঙ্গে ধর্মীয় শিক্ষাকে আবশ্যক মনে করে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের পূর্বসূরী আলেমদের কর্মপন্থাই আমাদের পথচলার পাথেয়। তাদের অনুসৃত রীতি-নীতি থেকে সরে যাওয়া আমাদের জন্য ভালো মনে করি না। আমাদের পূর্বসূরী আলেমরাও আধুনিক শিক্ষার বিরোধী ছিলেন না। তারা সবাই আলেম এবং ধর্মীয় জ্ঞানে দক্ষ হলেও তারা আধুনিক শিক্ষার বিরোধিতা করেননি। ইংরেজদের অনেক যুদ্ধ-জিহাদ করেছেন বটে, কিন্তু ইংরেজি শিক্ষার বিরোধী তারা ছিলেন না। এটাই বাস্তবতা। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর জমিয়তের নেতৃত্বে দেশব্যাপী রীতিমতো মাদরাসা ও স্কুল প্রতিষ্ঠার এক আন্দোলন শুরু হয়।

সাইয়েদ আরশাদ মাদানি অভিযোগ করে বলেন, দেশভাগের সময় ভারতের শিক্ষা ও অর্থনীতি থেকে পরিকল্পিতভাবে মুসলমানদের দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। সব রাজনৈতিক দল একমত যে, মুসলমানদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে দেওয়া যাবে না। তাই এখনই সময়, আধুনিক শিক্ষাতেও শিক্ষিত হয়ে নিজেরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি দেশের সমৃদ্ধিতে অবদান রাখার। ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করে প্রচুর স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। এটাই চলমান সমাজের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মুসলিম তরুণদের সক্ষম করে তুলবে।

অনুষ্ঠানে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সাধারণ সম্পাদক মুফতি সাইয়েদ মাসুম সাকিব, দিল্লি জমিয়তের সভাপতি মাওলানা মাওলানা মুহাম্মদ মুসলিম কাসেমি, অবিভক্ত পাঞ্জাব জমিয়তের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ হারুন কাসেমিসহ কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।