শুক্রবার | ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo চাঁদপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের পিতার মৃত্যুতে দোয়া Logo জাতীয় ছাত্রশক্তি জাবি শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা Logo জাবিতে ইলিয়াস ও পিনাকীর কুশপুত্তলিকা দাহন Logo পদত্যাগ করলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ Logo সাতক্ষীরা-কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযানে ভারতীয় মদ ও ঔষধসহ আড়াই লক্ষাধিক টাকার চোরাচালানী মালামাল জব্দ Logo কয়রায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা Logo চাঁদপুর ভূঁইয়ার ঘাট ডিঙ্গি মাঝি সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন Logo টেকনাফে বিজিবির অভিযানে সাগর পথে মানব পাচারকালে দুই দালালসহ ৭ জন ভিকটিম উদ্ধার Logo দেশকে এগিয়ে নেয়ার ‘ডিটেইল প্ল্যানিং’ শুধু বিএনপির আছে: তারেক রহমান Logo রাশিয়াকে ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার কোনো অধিকার নেই কিয়েভের : জেলেনস্কি

খনিজ সম্পদের উন্নয়নে মুসলমানদের অবদান

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০২:১৪:৫৫ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭৫০ বার পড়া হয়েছে

মুসলিম সম্রাজ্যের বিস্তৃত সীমানার নিরাপত্তা, জীবনাযাত্রার মানোন্নয়ন ও গতি স্বাভাবিক রাখা, জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চার জন্য মুসলিম শাসকরা খনিজ পদার্থের অনুসন্ধান ও তার উন্নয়নে বিশেষ মনোযোগ দেন। তার আন্তরিক প্রচেষ্টায় এই শিল্পের বিশেষ উন্নয়ন সাধিত হয়। ইসলাম আগমনের পূর্ব থেকে আরব উপদ্বীপের ইয়ামান লৌহ শিল্পের জন্য বিখ্যাত ছিল। পারস্যের খাওরিজম, ফারগানা, সমরকান্দের খনিজ পদার্থ ও খনিজ শিল্পের বিশেষ কদর ছিল বিশ্ব বাজারে। তবে তার বেশির ভাগই ব্যবহূত হতো সরমাস্ত্র শিল্পে। মুসলিম শাসকরা রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে এই শিল্পে বিপুল বিনিয়োগ ও পৃষ্ঠপোষকতা করেন। ফলে সম্রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে নতুন নতুন খনিজ শিল্প কেন্দ্র গড়ে ওঠে।

মুসলিম শাসকদের অনুদানে আরবের মসুল, হারান ও নাসিবাইন বৃহত্ লৌহ ও ইস্পাত কারখানা গড়ে ওঠে। যেখানে উন্নতমানের চেইন, ছুড়ি, কিরিস, পরিমাপ যন্ত্র, রোলার, প্রকৌশল বিদ্যা-চিকিত্সা বিদ্যা-বিজ্ঞানগবেষণা উপকরণ তৈরি হতো। (আল মাকদিসি, পৃষ্ঠা ১৪১ ও ১৪৫; আল হাদারাতুল ইসলামিয়া ফি করনির রাবে আল হিজরি, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা ২৩০)

মসুলে চীনা মাটির পাত্র, মুদ্রা ও তামার শিল্পের বিকাশ হয়। দামেস্কে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ধাতব মুদ্রার কারখানা ছিল। সিজিস্তান ও সমরকান্দ উন্নতমানের তৈজসপত্র তৈরিতে মানুষের আস্থা অর্জন করে। উন্নত মানের প্রদীপ তৈরি জন্য ফিলিস্তিন এবং তালা তৈরি জন্য খাওরিজম, ইস্পাহান, নিশাপুরের বিশেষ খ্যাতি ছিল। তত্কালীন পারস্যের ফারগানা শহরে স্থাপিত হয় খনিজ পদার্থের বৃহত্ শোধনাগার। যেখানে সোনা, রুপা, খনিজ তেল, লোহাসহ অন্যান্য খনিজ দ্রব্য শোধন করা হতো। (তুরাসুল ইসলাম, পৃষ্ঠা ১৮১; হামদানি, মুখতাসারু কিতাবিল বুলদান, পৃষ্ঠা ২৫৪)

মুসলিম শাসকরা খনিজ পদার্থ অনুসন্ধানে শক্তিশালী দল গঠন করেন। তারা জায়হুন নদীর উপকূলে ও সমরকান্দের খাসনাক উপত্যকায় স্বর্ণ এবং বলখের বামিয়ান উপত্যকায় তামা ও সীসা অনুসন্ধান করতো। বুজখুশান অঞ্চলে হীরা, স্ফটিক, লাজওয়ার্ড, বেলে পাথর ও কঠিন পাথর খনি আবিস্কৃত হয় মুসলিম শাসনামলে। এছাড়াও কিরমান, ইয়ামান, বৈরুত, হারব, রিহাব ও মিসরেও গুরুত্বপূর্ণ খনি আবিস্কৃত হয়। (ইয়াকুবি, আল বুলদান, পৃষ্ঠা ২৯২)

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের পিতার মৃত্যুতে দোয়া

খনিজ সম্পদের উন্নয়নে মুসলমানদের অবদান

আপডেট সময় : ০২:১৪:৫৫ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

মুসলিম সম্রাজ্যের বিস্তৃত সীমানার নিরাপত্তা, জীবনাযাত্রার মানোন্নয়ন ও গতি স্বাভাবিক রাখা, জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চার জন্য মুসলিম শাসকরা খনিজ পদার্থের অনুসন্ধান ও তার উন্নয়নে বিশেষ মনোযোগ দেন। তার আন্তরিক প্রচেষ্টায় এই শিল্পের বিশেষ উন্নয়ন সাধিত হয়। ইসলাম আগমনের পূর্ব থেকে আরব উপদ্বীপের ইয়ামান লৌহ শিল্পের জন্য বিখ্যাত ছিল। পারস্যের খাওরিজম, ফারগানা, সমরকান্দের খনিজ পদার্থ ও খনিজ শিল্পের বিশেষ কদর ছিল বিশ্ব বাজারে। তবে তার বেশির ভাগই ব্যবহূত হতো সরমাস্ত্র শিল্পে। মুসলিম শাসকরা রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে এই শিল্পে বিপুল বিনিয়োগ ও পৃষ্ঠপোষকতা করেন। ফলে সম্রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে নতুন নতুন খনিজ শিল্প কেন্দ্র গড়ে ওঠে।

মুসলিম শাসকদের অনুদানে আরবের মসুল, হারান ও নাসিবাইন বৃহত্ লৌহ ও ইস্পাত কারখানা গড়ে ওঠে। যেখানে উন্নতমানের চেইন, ছুড়ি, কিরিস, পরিমাপ যন্ত্র, রোলার, প্রকৌশল বিদ্যা-চিকিত্সা বিদ্যা-বিজ্ঞানগবেষণা উপকরণ তৈরি হতো। (আল মাকদিসি, পৃষ্ঠা ১৪১ ও ১৪৫; আল হাদারাতুল ইসলামিয়া ফি করনির রাবে আল হিজরি, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা ২৩০)

মসুলে চীনা মাটির পাত্র, মুদ্রা ও তামার শিল্পের বিকাশ হয়। দামেস্কে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ধাতব মুদ্রার কারখানা ছিল। সিজিস্তান ও সমরকান্দ উন্নতমানের তৈজসপত্র তৈরিতে মানুষের আস্থা অর্জন করে। উন্নত মানের প্রদীপ তৈরি জন্য ফিলিস্তিন এবং তালা তৈরি জন্য খাওরিজম, ইস্পাহান, নিশাপুরের বিশেষ খ্যাতি ছিল। তত্কালীন পারস্যের ফারগানা শহরে স্থাপিত হয় খনিজ পদার্থের বৃহত্ শোধনাগার। যেখানে সোনা, রুপা, খনিজ তেল, লোহাসহ অন্যান্য খনিজ দ্রব্য শোধন করা হতো। (তুরাসুল ইসলাম, পৃষ্ঠা ১৮১; হামদানি, মুখতাসারু কিতাবিল বুলদান, পৃষ্ঠা ২৫৪)

মুসলিম শাসকরা খনিজ পদার্থ অনুসন্ধানে শক্তিশালী দল গঠন করেন। তারা জায়হুন নদীর উপকূলে ও সমরকান্দের খাসনাক উপত্যকায় স্বর্ণ এবং বলখের বামিয়ান উপত্যকায় তামা ও সীসা অনুসন্ধান করতো। বুজখুশান অঞ্চলে হীরা, স্ফটিক, লাজওয়ার্ড, বেলে পাথর ও কঠিন পাথর খনি আবিস্কৃত হয় মুসলিম শাসনামলে। এছাড়াও কিরমান, ইয়ামান, বৈরুত, হারব, রিহাব ও মিসরেও গুরুত্বপূর্ণ খনি আবিস্কৃত হয়। (ইয়াকুবি, আল বুলদান, পৃষ্ঠা ২৯২)