শিরোনাম :
Logo কাজিপুরে কৃষক হত্যা মামলায় দুই আসামি গ্রেফতার! Logo বাংলাদেশের গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণ ও ফল রপ্তানিতে সহায়তার আশ্বাস এফএও মহাপরিচালকের Logo ভোমরায় বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন আগামী ১৭ অক্টোবর Logo সিরাজগঞ্জে ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে মতবিনিময় সভা Logo সুন্দরবনে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর অভিযানে ছোটন বাহিনীর সহযোগী আটক Logo বীরগঞ্জে ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ডিপিইও নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববন্ধন। Logo টাকার জন্য হরিদাস বাবু’কে হয়রানী তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার অনুসন্ধানে প্রমাণ। Logo খুবির সঙ্গে গবেষণা সহযোগিতায় আগ্রহ জাপানি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের Logo শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে ট্রাকের ধাক্কায় এনজিও কর্মীর মৃত্যু Logo সাতক্ষীরায় রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ তরুণী, থানায় সাধারণ ডায়েরি

খনিজ সম্পদের উন্নয়নে মুসলমানদের অবদান

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০২:১৪:৫৫ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭৩৮ বার পড়া হয়েছে

মুসলিম সম্রাজ্যের বিস্তৃত সীমানার নিরাপত্তা, জীবনাযাত্রার মানোন্নয়ন ও গতি স্বাভাবিক রাখা, জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চার জন্য মুসলিম শাসকরা খনিজ পদার্থের অনুসন্ধান ও তার উন্নয়নে বিশেষ মনোযোগ দেন। তার আন্তরিক প্রচেষ্টায় এই শিল্পের বিশেষ উন্নয়ন সাধিত হয়। ইসলাম আগমনের পূর্ব থেকে আরব উপদ্বীপের ইয়ামান লৌহ শিল্পের জন্য বিখ্যাত ছিল। পারস্যের খাওরিজম, ফারগানা, সমরকান্দের খনিজ পদার্থ ও খনিজ শিল্পের বিশেষ কদর ছিল বিশ্ব বাজারে। তবে তার বেশির ভাগই ব্যবহূত হতো সরমাস্ত্র শিল্পে। মুসলিম শাসকরা রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে এই শিল্পে বিপুল বিনিয়োগ ও পৃষ্ঠপোষকতা করেন। ফলে সম্রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে নতুন নতুন খনিজ শিল্প কেন্দ্র গড়ে ওঠে।

মুসলিম শাসকদের অনুদানে আরবের মসুল, হারান ও নাসিবাইন বৃহত্ লৌহ ও ইস্পাত কারখানা গড়ে ওঠে। যেখানে উন্নতমানের চেইন, ছুড়ি, কিরিস, পরিমাপ যন্ত্র, রোলার, প্রকৌশল বিদ্যা-চিকিত্সা বিদ্যা-বিজ্ঞানগবেষণা উপকরণ তৈরি হতো। (আল মাকদিসি, পৃষ্ঠা ১৪১ ও ১৪৫; আল হাদারাতুল ইসলামিয়া ফি করনির রাবে আল হিজরি, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা ২৩০)

মসুলে চীনা মাটির পাত্র, মুদ্রা ও তামার শিল্পের বিকাশ হয়। দামেস্কে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ধাতব মুদ্রার কারখানা ছিল। সিজিস্তান ও সমরকান্দ উন্নতমানের তৈজসপত্র তৈরিতে মানুষের আস্থা অর্জন করে। উন্নত মানের প্রদীপ তৈরি জন্য ফিলিস্তিন এবং তালা তৈরি জন্য খাওরিজম, ইস্পাহান, নিশাপুরের বিশেষ খ্যাতি ছিল। তত্কালীন পারস্যের ফারগানা শহরে স্থাপিত হয় খনিজ পদার্থের বৃহত্ শোধনাগার। যেখানে সোনা, রুপা, খনিজ তেল, লোহাসহ অন্যান্য খনিজ দ্রব্য শোধন করা হতো। (তুরাসুল ইসলাম, পৃষ্ঠা ১৮১; হামদানি, মুখতাসারু কিতাবিল বুলদান, পৃষ্ঠা ২৫৪)

মুসলিম শাসকরা খনিজ পদার্থ অনুসন্ধানে শক্তিশালী দল গঠন করেন। তারা জায়হুন নদীর উপকূলে ও সমরকান্দের খাসনাক উপত্যকায় স্বর্ণ এবং বলখের বামিয়ান উপত্যকায় তামা ও সীসা অনুসন্ধান করতো। বুজখুশান অঞ্চলে হীরা, স্ফটিক, লাজওয়ার্ড, বেলে পাথর ও কঠিন পাথর খনি আবিস্কৃত হয় মুসলিম শাসনামলে। এছাড়াও কিরমান, ইয়ামান, বৈরুত, হারব, রিহাব ও মিসরেও গুরুত্বপূর্ণ খনি আবিস্কৃত হয়। (ইয়াকুবি, আল বুলদান, পৃষ্ঠা ২৯২)

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কাজিপুরে কৃষক হত্যা মামলায় দুই আসামি গ্রেফতার!

খনিজ সম্পদের উন্নয়নে মুসলমানদের অবদান

আপডেট সময় : ০২:১৪:৫৫ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

মুসলিম সম্রাজ্যের বিস্তৃত সীমানার নিরাপত্তা, জীবনাযাত্রার মানোন্নয়ন ও গতি স্বাভাবিক রাখা, জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চার জন্য মুসলিম শাসকরা খনিজ পদার্থের অনুসন্ধান ও তার উন্নয়নে বিশেষ মনোযোগ দেন। তার আন্তরিক প্রচেষ্টায় এই শিল্পের বিশেষ উন্নয়ন সাধিত হয়। ইসলাম আগমনের পূর্ব থেকে আরব উপদ্বীপের ইয়ামান লৌহ শিল্পের জন্য বিখ্যাত ছিল। পারস্যের খাওরিজম, ফারগানা, সমরকান্দের খনিজ পদার্থ ও খনিজ শিল্পের বিশেষ কদর ছিল বিশ্ব বাজারে। তবে তার বেশির ভাগই ব্যবহূত হতো সরমাস্ত্র শিল্পে। মুসলিম শাসকরা রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে এই শিল্পে বিপুল বিনিয়োগ ও পৃষ্ঠপোষকতা করেন। ফলে সম্রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে নতুন নতুন খনিজ শিল্প কেন্দ্র গড়ে ওঠে।

মুসলিম শাসকদের অনুদানে আরবের মসুল, হারান ও নাসিবাইন বৃহত্ লৌহ ও ইস্পাত কারখানা গড়ে ওঠে। যেখানে উন্নতমানের চেইন, ছুড়ি, কিরিস, পরিমাপ যন্ত্র, রোলার, প্রকৌশল বিদ্যা-চিকিত্সা বিদ্যা-বিজ্ঞানগবেষণা উপকরণ তৈরি হতো। (আল মাকদিসি, পৃষ্ঠা ১৪১ ও ১৪৫; আল হাদারাতুল ইসলামিয়া ফি করনির রাবে আল হিজরি, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা ২৩০)

মসুলে চীনা মাটির পাত্র, মুদ্রা ও তামার শিল্পের বিকাশ হয়। দামেস্কে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ধাতব মুদ্রার কারখানা ছিল। সিজিস্তান ও সমরকান্দ উন্নতমানের তৈজসপত্র তৈরিতে মানুষের আস্থা অর্জন করে। উন্নত মানের প্রদীপ তৈরি জন্য ফিলিস্তিন এবং তালা তৈরি জন্য খাওরিজম, ইস্পাহান, নিশাপুরের বিশেষ খ্যাতি ছিল। তত্কালীন পারস্যের ফারগানা শহরে স্থাপিত হয় খনিজ পদার্থের বৃহত্ শোধনাগার। যেখানে সোনা, রুপা, খনিজ তেল, লোহাসহ অন্যান্য খনিজ দ্রব্য শোধন করা হতো। (তুরাসুল ইসলাম, পৃষ্ঠা ১৮১; হামদানি, মুখতাসারু কিতাবিল বুলদান, পৃষ্ঠা ২৫৪)

মুসলিম শাসকরা খনিজ পদার্থ অনুসন্ধানে শক্তিশালী দল গঠন করেন। তারা জায়হুন নদীর উপকূলে ও সমরকান্দের খাসনাক উপত্যকায় স্বর্ণ এবং বলখের বামিয়ান উপত্যকায় তামা ও সীসা অনুসন্ধান করতো। বুজখুশান অঞ্চলে হীরা, স্ফটিক, লাজওয়ার্ড, বেলে পাথর ও কঠিন পাথর খনি আবিস্কৃত হয় মুসলিম শাসনামলে। এছাড়াও কিরমান, ইয়ামান, বৈরুত, হারব, রিহাব ও মিসরেও গুরুত্বপূর্ণ খনি আবিস্কৃত হয়। (ইয়াকুবি, আল বুলদান, পৃষ্ঠা ২৯২)