পাসপোর্টে ‘এক্সেপ্ট ইসরায়েল’ পুনর্বহালসহ ৪ দফা দাবি

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৫:৪৯ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭৩৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘এক্সেপ্ট ইসরায়েল’ লেখা পুনরায় বহাল এবং ফিলিস্তিনে মুসলিম গণহত্যা বন্ধে চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে।

শুক্রবার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশে এ দাবি জানায় মুসল্লিরা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইসরায়েল ফিলিস্তিনে নির্বিচারে গণহত্যা চালাচ্ছে। অথচ বিশ্বের মোড়ল দেশগুলো চুপচাপ বসে আছে। তাদের চলমান সহিংসতায় হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। বিশ্বজুড়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের পাশাপাশি মানবাধিকার সংস্থাগুলোরও এই সহিংসতার বিরুদ্ধে কথা বলা উচিত। ইসরায়েলকে তার আগ্রাসন বন্ধ করতে এবং ফিলিস্তিনিদের অধিকার রক্ষার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক নেতাদের আহ্বান জানাচ্ছি।

বক্তরা আরও বলেন, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে গণবিক্ষোভ ও সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে। কিন্তু তারা এ বিষয়ে কোনো কর্ণপাত করছে না। আমরা এই মানবিক সংকট সমাধানের জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

এ সময় সরকারের কাছে চার দফা দাবি তুলে ধরেন বক্তারা।

সেগুলো হচ্ছে-

১. পাসপোর্টে ইসরায়েলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা সংবলিত পূর্ববর্তী পয়েন্টটি পুনর্বহাল করতে হবে।

২. ফিলিস্তিনিদের সাহায্যের জন্য সরকারি তহবিল গঠন করতে হবে।

৩. রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসরায়েল ও তার সহযোগীদের পণ্য বয়কট করতে হবে।

৪. আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে।

সমাবেশের পর একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি বাইতুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় গিয়ে শেষ হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পাসপোর্টে ‘এক্সেপ্ট ইসরায়েল’ পুনর্বহালসহ ৪ দফা দাবি

আপডেট সময় : ০৮:৩৫:৪৯ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘এক্সেপ্ট ইসরায়েল’ লেখা পুনরায় বহাল এবং ফিলিস্তিনে মুসলিম গণহত্যা বন্ধে চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে।

শুক্রবার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশে এ দাবি জানায় মুসল্লিরা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইসরায়েল ফিলিস্তিনে নির্বিচারে গণহত্যা চালাচ্ছে। অথচ বিশ্বের মোড়ল দেশগুলো চুপচাপ বসে আছে। তাদের চলমান সহিংসতায় হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। বিশ্বজুড়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের পাশাপাশি মানবাধিকার সংস্থাগুলোরও এই সহিংসতার বিরুদ্ধে কথা বলা উচিত। ইসরায়েলকে তার আগ্রাসন বন্ধ করতে এবং ফিলিস্তিনিদের অধিকার রক্ষার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক নেতাদের আহ্বান জানাচ্ছি।

বক্তরা আরও বলেন, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে গণবিক্ষোভ ও সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে। কিন্তু তারা এ বিষয়ে কোনো কর্ণপাত করছে না। আমরা এই মানবিক সংকট সমাধানের জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

এ সময় সরকারের কাছে চার দফা দাবি তুলে ধরেন বক্তারা।

সেগুলো হচ্ছে-

১. পাসপোর্টে ইসরায়েলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা সংবলিত পূর্ববর্তী পয়েন্টটি পুনর্বহাল করতে হবে।

২. ফিলিস্তিনিদের সাহায্যের জন্য সরকারি তহবিল গঠন করতে হবে।

৩. রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসরায়েল ও তার সহযোগীদের পণ্য বয়কট করতে হবে।

৪. আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে।

সমাবেশের পর একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি বাইতুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় গিয়ে শেষ হয়েছে।