প্রশ্নপত্র ফাঁস: ১০ জনের কারাদণ্ড, খালাস ১১৪

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৫:১৮:৫১ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৭১১ বার পড়া হয়েছে

চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় শাহবাগ থানার মামলায় ১০ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অন্য ১১৪ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হকের আদালত এ রায় দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য জানিয়েছেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, শাহবাগ থানার মামলায় এই রায় দেওয়া হয়। কারাদণ্ড পাওয়া ১০ জনের মধ্যে সাত জনের চার বছর এবং তিন জনের দুই বছর করে সাজা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর ১১৪ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, ২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি আবাসিক হলে সিআইডি অভিযান চালিয়ে মামুন ও রানা নামে দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরদিন পরীক্ষার হল থেকে গ্রেপ্তার হয় রাফি নামে ভর্তিচ্ছু একজন শিক্ষার্থী।

ওইদিন শাহবাগ থানায় ২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৬৩ ধারা ও ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা আইনের ৯ (খ) ধারায় মামলা করেন সিআইডি।

২০১৯ সালের তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র এএসপি সুমন কুমার দাস আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। পরে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৬৩ ধারায় সব আসামিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেন। এরপর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা আইনের ৯ (খ) ধারায় ১২৪ জনের বিচার শুরু হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রশ্নপত্র ফাঁস: ১০ জনের কারাদণ্ড, খালাস ১১৪

আপডেট সময় : ০৫:১৮:৫১ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় শাহবাগ থানার মামলায় ১০ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অন্য ১১৪ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হকের আদালত এ রায় দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য জানিয়েছেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, শাহবাগ থানার মামলায় এই রায় দেওয়া হয়। কারাদণ্ড পাওয়া ১০ জনের মধ্যে সাত জনের চার বছর এবং তিন জনের দুই বছর করে সাজা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর ১১৪ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, ২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি আবাসিক হলে সিআইডি অভিযান চালিয়ে মামুন ও রানা নামে দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরদিন পরীক্ষার হল থেকে গ্রেপ্তার হয় রাফি নামে ভর্তিচ্ছু একজন শিক্ষার্থী।

ওইদিন শাহবাগ থানায় ২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৬৩ ধারা ও ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা আইনের ৯ (খ) ধারায় মামলা করেন সিআইডি।

২০১৯ সালের তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র এএসপি সুমন কুমার দাস আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। পরে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৬৩ ধারায় সব আসামিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেন। এরপর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা আইনের ৯ (খ) ধারায় ১২৪ জনের বিচার শুরু হয়।