বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ।
বুধবার আদালত প্রাঙ্গণে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও সাবেক এমপি নানক এই হত্যাকাণ্ডের মধ্যস্থতাকারী। সরকার চাইলে এই হত্যাকাণ্ড ঠেকাতে পারতো।
এ আইনজীবী বলেন, ২০০৮ সাল থেকে বিডিআর বিদ্রোহের পরিকল্পনা ছিল, এর পর থেকে বহুবার বিদ্রোহের চেষ্টা করা হয়।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের নেতৃত্বে ডিএডি তোরাব আলীর বাসায় বৈঠক হয়। এর পর কয়েক দফায় তার বাসায় আওয়ামী লীগ নেত্রীবৃন্দ, শেখ তাপস, জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ কয়েকজন বিডিআর সদস্য ও বহিরাগত কিছু লোক বৈঠক করেন।
সুলতান মাহমুদ বলেন, ঐ বৈঠকে থাকা কয়েকজন হিন্দিতে কথা বলেছে। অভিযোগ করেন, বিদ্রোহের নামে বিডিআর জোয়ানদের হত্যার ষড়যন্ত্র করতে দফায় দফায় বৈঠক হলেও কোনো গোয়েন্দা সংস্থা কিছুই জানায়নি।
এই ঘটনার পুনরায় তদন্তের আহ্বান জানান তিনি। বলেন, বিডিআর মামলা নিয়ে কথা বলা বন্ধ রাখতে সরকার পতনের আগ পর্যন্ত প্রতিনিয়ত গোয়েন্দা সংস্থা ফোন দিয়ে আমাকে ভীতি প্রদর্শন করতো। প্রাণ ভয়ে কোনো কাজ করতে পারতাম না। বিগত ৬ বছরে এই আইনজীবী ৩৪ বার বাসা পরিবর্তন করেছেন বলেও জানান।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সাবেক সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদ তার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা অফিসার হত্যাকাণ্ড নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন।
ভিডিওতে বিডিআর বিদ্রোহের বিভিন্ন কাহিনী তুলে ধরেন তিনি। ভিডিওতে তিনি দাবি করেন, হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করতে সরকারের কাছ থেকে যে সাহায্য প্রয়োজন তা আমরা পাইনি।
ভিডিও বার্তায় মঈন ইউ আহমেদ আরও বলেন, টেলিভিশন লাইভে সাংবাদিক মুন্নী সাহার ভুল তথ্য বিডিআর বিদ্রোহ আরও উসকে দিয়েছিলো। মুন্নী সাহা টেলিকাস্ট করছিল লাইভ এবং বিদ্রোহীরা অফিসার সম্বন্ধে বিভিন্ন ভুল বক্তব্য, মিথ্যা বক্তব্য তুলে ধরছিল জনগণের সামনে। এর মাধ্যমে একটি ভুল ধারণা সৃষ্টি হচ্ছিল অফিসার সম্বন্ধে। এ ছাড়াও বিডিআরের অন্যান্য ক্যাম্পেও এই বিদ্রোহ ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করছে।