জাকের আলির লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরিতে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে জয়ের জন্য ১৩৪ রানের টার্গেট দিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ১৩৩ রানে গুটিয়ে যায় টাইগাররা। জাকের ১টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৪৮ বলে ৫৫ রান করেন।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতে ২৯ রানে ৪ উইকেট হারায় টাইগাররা।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে পেসার ফাহিম আশরাফের বলে স্কুপ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তানজিদ হাসানের জায়গায় একাদশে সুযোগ পাওয়া ওপেনার মোহাম্মদ নাইম। ৭ বলে ৩ রান করেন তিনি।
দলীয় ৫ রানে নাইম ফেরার পর বাংলাদেশের রানের চাকা সচল করে ৪ ওভারে দলের রান ২৫’এ নেন আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও অধিনায়ক লিটন দাস। পঞ্চম ওভারের শুরুতে সালমান মির্জার বলে ডিপ মিড উইকেটে হাসান নাওয়াজকে ক্যাচ দেন লিটন। ১টি বাউন্ডারিতে ৯ বলে ৮ রান করেন তিনি।
একই ওভারে সাজঘরের পথ ধরেন লিটনের বিদায়ে ক্রিজে আসা তাওহিদ হৃদয়। মিড অফে বল পাঠিয়ে রান নিতে গিয়ে রান আউট হন ৩ বল খেলে রানের খাতা খুলতে না পারা হৃদয়।
পাওয়ার প্লের এক বল বাকী থাকতে বাংলাদেশের বিপদ বাড়িয়ে দেন আগের ম্যাচে ৩৯ বলে ৫৬ রান করে সেরা খেলোয়াড় হওয়া পারভেজ। অভিষিক্ত পেসার আহমেদ দানিয়ালের বলে ফাহিমের ক্যাচে পরিণত হন ১টি করে চার-ছক্কায় ১৪ বলে ১৩ রান করা পারভেজ।
২৮ রানে চতুর্থ উইকেট পতনে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফেরান পাঁচ নম্বরে নামা জাকের ও মাহেদি হাসান। দশম ওভারে মাহেদির ব্যাটে ১টি করে চার-ছক্কায় ১২ রান আসায় হাফ-সেঞ্চুরিতে পৌঁছায় বাংলাদেশের স্কোর।
১৪তম ওভারের পঞ্চম বলে স্পিনার মোহাম্মদ নাওয়াজের বলে স্লগ সুইপে লং অনের উপর দিয়ে ছক্কা মেরে জাকেরের সাথে জুটিতে পঞ্চাশ পূর্ণ করেন মাহেদি। পরের ডেলিভারিতে বিদায় ঘন্টা বাজে মাহেদির। ক্রিজ ছেড়ে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অফে হাসানকে ক্যাচ দেন তিনি। ২টি করে চার-ছক্কায় ২৫ বলে ৩৩ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন মাহেদি।
পঞ্চম উইকেটে জাকেরের সাথে ৪৯ বলে ৫৩ রান যোগ করেন মাহেদি। টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে পঞ্চম উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি।
দলীয় ৮১ রানে মাহেদি ফেরার পর বাংলাদেশের রানের চাকা একাই ঘুড়িয়েছেন জাকের। পেসার আব্বাস আফ্রিদির করা ইনিংসের শেষ ওভারের চতুর্থ বলে ছক্কা মেরে টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন ৪৬ বল খেলা জাকের।
শেষ পর্যন্ত জাকেরের লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরিতে ২০ ওভার খেলে সব উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান করে বাংলাদেশ। ১ চার ও ৫ ছক্কায় ৪৮ বলে ৫৫ রান করেন জাকের।
সালমান-দানিয়েল ও আব্বাস ২টি করে উইকেট নেন।