এসআইবিএলের পর্ষদ ভেঙে দিতে গভর্নরকে চিঠি

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৪:২৪:৪১ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৮ আগস্ট ২০২৪
  • ৭২৯ বার পড়া হয়েছে

এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের (এসআইবিএল) পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার দাবিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দিয়েছেন সাবেক পরিচালকরা। রোববার (১৮ আগস্ট) গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বরাবর চিঠিটি জমা দেওয়া হয়।

চিঠিতে, ব্যাংকের প্রতি মানুষের আস্থা ফেরাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। এদিকে ব্যাংকটি এখনও এসআলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ থাকায় আতঙ্কে টাকা তুলে নিচ্ছেন আমানতকারীরা বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করে পর্ষদ ভেঙ্গে দিতে এর আগে গত বৃহস্পতিবার চিঠি দেন ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ব্যাংকটির উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে গভর্নর বরাবর পাঠানো চিঠিতে ব্যাংকটির বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এতে সই করেছেন, ২০১৭ সালে চাকরিচ্যুত চেয়ারম্যান মেজর (অব.) ডা. রেজাউল হক, ওই সময়ের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মো. আনিসুল হক ও তখনকার অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও একটি গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় ২০১৭ সালে ব্যাংক দু’টি দখল করে এস আলম গ্রুপ। এছাড়াও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী, ইউনিয়ন, বাংলাদেশ কমার্স ও এনবিএলের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় গ্রুপটির হাতে। এসব ব্যাংক ছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে বিপুল অংকের ঋণ নিয়েছে গ্রুপটি।

এসআইবিএল সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংকটি এখনও এসআলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ থাকায় আতঙ্কে প্রচুর টাকা তুলে নিচ্ছেন আমানতকারীরা। একজন গ্রাহক দিনে ৩ লাখ টাকার বেশি উত্তোলনের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় বেশিরভাগই ব্যাংকে এসে পে-অর্ডার নিচ্ছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

এসআইবিএলের পর্ষদ ভেঙে দিতে গভর্নরকে চিঠি

আপডেট সময় : ০৪:২৪:৪১ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৮ আগস্ট ২০২৪

এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের (এসআইবিএল) পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার দাবিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দিয়েছেন সাবেক পরিচালকরা। রোববার (১৮ আগস্ট) গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বরাবর চিঠিটি জমা দেওয়া হয়।

চিঠিতে, ব্যাংকের প্রতি মানুষের আস্থা ফেরাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। এদিকে ব্যাংকটি এখনও এসআলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ থাকায় আতঙ্কে টাকা তুলে নিচ্ছেন আমানতকারীরা বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করে পর্ষদ ভেঙ্গে দিতে এর আগে গত বৃহস্পতিবার চিঠি দেন ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ব্যাংকটির উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে গভর্নর বরাবর পাঠানো চিঠিতে ব্যাংকটির বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এতে সই করেছেন, ২০১৭ সালে চাকরিচ্যুত চেয়ারম্যান মেজর (অব.) ডা. রেজাউল হক, ওই সময়ের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মো. আনিসুল হক ও তখনকার অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও একটি গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় ২০১৭ সালে ব্যাংক দু’টি দখল করে এস আলম গ্রুপ। এছাড়াও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী, ইউনিয়ন, বাংলাদেশ কমার্স ও এনবিএলের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় গ্রুপটির হাতে। এসব ব্যাংক ছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে বিপুল অংকের ঋণ নিয়েছে গ্রুপটি।

এসআইবিএল সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংকটি এখনও এসআলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ থাকায় আতঙ্কে প্রচুর টাকা তুলে নিচ্ছেন আমানতকারীরা। একজন গ্রাহক দিনে ৩ লাখ টাকার বেশি উত্তোলনের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় বেশিরভাগই ব্যাংকে এসে পে-অর্ডার নিচ্ছেন।