শিরোনাম :
Logo খুবিতে ইনোভেশন ক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো “ইনভেনটাম ৪.০” Logo সিরাজগঞ্জে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর পক্ষে ধানের শীষে ভোট চেয়ে অমর কৃষ্ণ দাসের গণসংযোগ Logo জুলাই সনদে এনসিপির পরেও অংশগ্রহণের সুযোগ আছে : ধর্ম উপদেষ্টা Logo নারী টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম সেঞ্চুরির বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন নাভগির Logo দক্ষিণ কোরিয়ায় এপেক সম্মেলনে ট্রাম্প-শি বৈঠক হবে Logo তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রচিন্তার নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে : মনিরুল হক চৌধুরী Logo মুন্সিগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীরের সঙ্গে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo প্রতিবন্ধী ধর্ষণ মামলার এক পলাতক আসামী গ্রেফতার Logo একদিনের সফরে কাল চাঁদপুর আসছেন মুফতি ফয়জুল করীম! Logo ধর্ষণের ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ !

মাথার ওপর ছিল না সেনাছায়া, তাই পতন হয় শেখ হাসিনার

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৫:০৬:১৯ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৭ আগস্ট ২০২৪
  • ৭৭৬ বার পড়া হয়েছে

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনা হঠাৎ করে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়ার আগের রাতে সেনাপ্রধান তার জেনারেলদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। সেখানে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়– কারফিউ বলবৎ থাকা অবস্থায় বেসামরিক লোকদের ওপর গুলি চালাবেন না সেনারা।

বৈঠকের আলোচনা সম্পর্কে জানেন, এমন দুজন সেনা কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন। আজ বুধবার (৭ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এমনটা জানায় বার্তাসংস্থাটি।

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান পরদিন সকালে শেখ হাসিনার সরকারি আবাস গণভবনে যান। প্রধানমন্ত্রীকে তিনি জানান, দেশজুড়ে যে কারফিউ ডাকা হয়েছে, তা বাস্তবায়নে তার সেনারা অপারগ।

বিষয়টি সম্পর্কে ব্রিফ করা হয়েছে, এমন এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন– বার্তাটি পরিষ্কার ছিল, শেখ হাসিনার প্রতি তখন আর সেনাবাহিনীর সমর্থন ছিল না। সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যকার অনলাইন বৈঠক এবং শেখ হাসিনার কাছে দেয়া বার্তায় ফুটে উঠেছিল– সেনাবাহিনীর সমর্থন হারিয়েছেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রতিবেদনে বলা হয়– এসব বিষয়ের ব্যাখ্যা থেকে বোঝা যায়, শেখ হাসিনা তার ১৫ বছরের শাসনকালে খুব কমই ভিন্নমত সহ্য করেছেন। গত সোমবার (৫ আগস্ট) তিনি বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর শেষ হয়ে যায় তার এমন ‘বিশৃঙ্খল’ শাসনকাল।

গত রোববার (৮ আগস্ট) সংঘর্ষে অন্তত ৯১ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হওয়ার পরে দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের কারফিউ জারি করা হয়। জুলাইয়ে ছাত্রদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর এটিই ছিল সবচেয়ে প্রাণঘাতী দিন।

রোববারের রাতের আলোচনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি উদ দৌলা চৌধুরী। তিনি এটিকে যেকোনো বিশৃঙ্খলার পর হালনাগাদ তথ্য নিতে নিয়মিত বৈঠক হিসেবে বর্ণনা করেন।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স শেখ হাসিনার শাসনের শেষ ৪৮ ঘণ্টার পরিস্থিতি বোঝার জন্য গত সপ্তাহের ঘটনাবলি সম্পর্কে অবগত চারজন সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছে। খুব কাছ থেকে দেখেছে এসব ঘটনা, এমন দুটি সূত্রসহ আরও ১০ জনের সঙ্গেও কথা বলেছে বলে জানায় রয়টার্স।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবিতে ইনোভেশন ক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো “ইনভেনটাম ৪.০”

মাথার ওপর ছিল না সেনাছায়া, তাই পতন হয় শেখ হাসিনার

আপডেট সময় : ০৫:০৬:১৯ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৭ আগস্ট ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনা হঠাৎ করে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়ার আগের রাতে সেনাপ্রধান তার জেনারেলদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। সেখানে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়– কারফিউ বলবৎ থাকা অবস্থায় বেসামরিক লোকদের ওপর গুলি চালাবেন না সেনারা।

বৈঠকের আলোচনা সম্পর্কে জানেন, এমন দুজন সেনা কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন। আজ বুধবার (৭ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এমনটা জানায় বার্তাসংস্থাটি।

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান পরদিন সকালে শেখ হাসিনার সরকারি আবাস গণভবনে যান। প্রধানমন্ত্রীকে তিনি জানান, দেশজুড়ে যে কারফিউ ডাকা হয়েছে, তা বাস্তবায়নে তার সেনারা অপারগ।

বিষয়টি সম্পর্কে ব্রিফ করা হয়েছে, এমন এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন– বার্তাটি পরিষ্কার ছিল, শেখ হাসিনার প্রতি তখন আর সেনাবাহিনীর সমর্থন ছিল না। সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যকার অনলাইন বৈঠক এবং শেখ হাসিনার কাছে দেয়া বার্তায় ফুটে উঠেছিল– সেনাবাহিনীর সমর্থন হারিয়েছেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রতিবেদনে বলা হয়– এসব বিষয়ের ব্যাখ্যা থেকে বোঝা যায়, শেখ হাসিনা তার ১৫ বছরের শাসনকালে খুব কমই ভিন্নমত সহ্য করেছেন। গত সোমবার (৫ আগস্ট) তিনি বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর শেষ হয়ে যায় তার এমন ‘বিশৃঙ্খল’ শাসনকাল।

গত রোববার (৮ আগস্ট) সংঘর্ষে অন্তত ৯১ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হওয়ার পরে দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের কারফিউ জারি করা হয়। জুলাইয়ে ছাত্রদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর এটিই ছিল সবচেয়ে প্রাণঘাতী দিন।

রোববারের রাতের আলোচনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি উদ দৌলা চৌধুরী। তিনি এটিকে যেকোনো বিশৃঙ্খলার পর হালনাগাদ তথ্য নিতে নিয়মিত বৈঠক হিসেবে বর্ণনা করেন।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স শেখ হাসিনার শাসনের শেষ ৪৮ ঘণ্টার পরিস্থিতি বোঝার জন্য গত সপ্তাহের ঘটনাবলি সম্পর্কে অবগত চারজন সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছে। খুব কাছ থেকে দেখেছে এসব ঘটনা, এমন দুটি সূত্রসহ আরও ১০ জনের সঙ্গেও কথা বলেছে বলে জানায় রয়টার্স।