বৃহস্পতিবার | ৪ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo গাইবান্ধা এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত যুবক Logo খুবিতে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা: নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে মতবিনিময় সভা Logo প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠান চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির ‘হেমন্তসন্ধ্যা ও হাঁস পার্টি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo সদরপুরে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের জন্য কর্মবিরতি পালন করেছে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা Logo কয়রায় আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি দিবস পালিত Logo খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়ীজ এসোসিয়েশন সিবি’এর দোয়া মাহফিল

মাথার ওপর ছিল না সেনাছায়া, তাই পতন হয় শেখ হাসিনার

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৫:০৬:১৯ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৭ আগস্ট ২০২৪
  • ৭৯৬ বার পড়া হয়েছে

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনা হঠাৎ করে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়ার আগের রাতে সেনাপ্রধান তার জেনারেলদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। সেখানে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়– কারফিউ বলবৎ থাকা অবস্থায় বেসামরিক লোকদের ওপর গুলি চালাবেন না সেনারা।

বৈঠকের আলোচনা সম্পর্কে জানেন, এমন দুজন সেনা কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন। আজ বুধবার (৭ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এমনটা জানায় বার্তাসংস্থাটি।

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান পরদিন সকালে শেখ হাসিনার সরকারি আবাস গণভবনে যান। প্রধানমন্ত্রীকে তিনি জানান, দেশজুড়ে যে কারফিউ ডাকা হয়েছে, তা বাস্তবায়নে তার সেনারা অপারগ।

বিষয়টি সম্পর্কে ব্রিফ করা হয়েছে, এমন এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন– বার্তাটি পরিষ্কার ছিল, শেখ হাসিনার প্রতি তখন আর সেনাবাহিনীর সমর্থন ছিল না। সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যকার অনলাইন বৈঠক এবং শেখ হাসিনার কাছে দেয়া বার্তায় ফুটে উঠেছিল– সেনাবাহিনীর সমর্থন হারিয়েছেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রতিবেদনে বলা হয়– এসব বিষয়ের ব্যাখ্যা থেকে বোঝা যায়, শেখ হাসিনা তার ১৫ বছরের শাসনকালে খুব কমই ভিন্নমত সহ্য করেছেন। গত সোমবার (৫ আগস্ট) তিনি বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর শেষ হয়ে যায় তার এমন ‘বিশৃঙ্খল’ শাসনকাল।

গত রোববার (৮ আগস্ট) সংঘর্ষে অন্তত ৯১ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হওয়ার পরে দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের কারফিউ জারি করা হয়। জুলাইয়ে ছাত্রদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর এটিই ছিল সবচেয়ে প্রাণঘাতী দিন।

রোববারের রাতের আলোচনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি উদ দৌলা চৌধুরী। তিনি এটিকে যেকোনো বিশৃঙ্খলার পর হালনাগাদ তথ্য নিতে নিয়মিত বৈঠক হিসেবে বর্ণনা করেন।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স শেখ হাসিনার শাসনের শেষ ৪৮ ঘণ্টার পরিস্থিতি বোঝার জন্য গত সপ্তাহের ঘটনাবলি সম্পর্কে অবগত চারজন সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছে। খুব কাছ থেকে দেখেছে এসব ঘটনা, এমন দুটি সূত্রসহ আরও ১০ জনের সঙ্গেও কথা বলেছে বলে জানায় রয়টার্স।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

মাথার ওপর ছিল না সেনাছায়া, তাই পতন হয় শেখ হাসিনার

আপডেট সময় : ০৫:০৬:১৯ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৭ আগস্ট ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনা হঠাৎ করে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়ার আগের রাতে সেনাপ্রধান তার জেনারেলদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। সেখানে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়– কারফিউ বলবৎ থাকা অবস্থায় বেসামরিক লোকদের ওপর গুলি চালাবেন না সেনারা।

বৈঠকের আলোচনা সম্পর্কে জানেন, এমন দুজন সেনা কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন। আজ বুধবার (৭ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এমনটা জানায় বার্তাসংস্থাটি।

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান পরদিন সকালে শেখ হাসিনার সরকারি আবাস গণভবনে যান। প্রধানমন্ত্রীকে তিনি জানান, দেশজুড়ে যে কারফিউ ডাকা হয়েছে, তা বাস্তবায়নে তার সেনারা অপারগ।

বিষয়টি সম্পর্কে ব্রিফ করা হয়েছে, এমন এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন– বার্তাটি পরিষ্কার ছিল, শেখ হাসিনার প্রতি তখন আর সেনাবাহিনীর সমর্থন ছিল না। সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যকার অনলাইন বৈঠক এবং শেখ হাসিনার কাছে দেয়া বার্তায় ফুটে উঠেছিল– সেনাবাহিনীর সমর্থন হারিয়েছেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রতিবেদনে বলা হয়– এসব বিষয়ের ব্যাখ্যা থেকে বোঝা যায়, শেখ হাসিনা তার ১৫ বছরের শাসনকালে খুব কমই ভিন্নমত সহ্য করেছেন। গত সোমবার (৫ আগস্ট) তিনি বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর শেষ হয়ে যায় তার এমন ‘বিশৃঙ্খল’ শাসনকাল।

গত রোববার (৮ আগস্ট) সংঘর্ষে অন্তত ৯১ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হওয়ার পরে দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের কারফিউ জারি করা হয়। জুলাইয়ে ছাত্রদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর এটিই ছিল সবচেয়ে প্রাণঘাতী দিন।

রোববারের রাতের আলোচনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি উদ দৌলা চৌধুরী। তিনি এটিকে যেকোনো বিশৃঙ্খলার পর হালনাগাদ তথ্য নিতে নিয়মিত বৈঠক হিসেবে বর্ণনা করেন।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স শেখ হাসিনার শাসনের শেষ ৪৮ ঘণ্টার পরিস্থিতি বোঝার জন্য গত সপ্তাহের ঘটনাবলি সম্পর্কে অবগত চারজন সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছে। খুব কাছ থেকে দেখেছে এসব ঘটনা, এমন দুটি সূত্রসহ আরও ১০ জনের সঙ্গেও কথা বলেছে বলে জানায় রয়টার্স।