জামায়াতের সাবেক আমির প্রয়াত গোলাম আজমের ছেলে সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী ও ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ছেলে মীর আহমাদ বিন কাসেম কথিত ‘আয়নাঘর’ থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকালে জামায়াতে ইসলামীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়।
এদিকে দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ‘নিখোঁজ’ বিএনপির প্রভাবশালী নেতা এম ইলিয়াস আলীর সহধমির্ণী তাহসিনা রুশদীর লুনা বলেছেন, ‘আমার স্বামীকে ফেরত দিন। আয়নাঘরের অনেকে ফেরত আসছে। দয়া করে আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দিন। আমরা আর কিছুই চাই না। ’
মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক আইডিতে ইলিয়াস আলীকে ফেরত চেয়ে এক স্ট্যাটাসে এসব কথা বলেন তিনি।
২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে নিখোঁজ হন বিএনপির তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক, প্রভাবশালী রাজনীতিবীদ এম ইলিয়াস আলী ও তার গাড়িচালক আনসার আলী। পরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায়, নিখোঁজ এ দুজনকে তারা তুলে নেয়নি। এভাবেই অমীমাংসিত থেকে যায় ‘ইলিয়াস অন্তর্ধান’ রহস্য।
২০১৬ সালে গুমের স্বীকার হন সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।
আর মীর আহমাদ বিন কাসেমকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবশ্য তাকে আটকের কথা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অস্বীকার করে।
২০২২ সালে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চেভেলে ‘আয়নাঘর’ নামে এক গোপন বন্দিশালা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
























































