শিরোনাম :
Logo সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান ৯৮ বোতল ভারতীয় মদসহ ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল জব্দ Logo মায়ের হাতেই সন্তানের সুশিক্ষার ভিত — ইঞ্জিনিয়ার মোঃ হাবিবুর রহমান  Logo কয়রায় পানি প্রাপ্তি বিষয়ক অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত Logo সোনালী সুদিন সমাজকল‍্যান সংস্থার উদ্যোগে দুস্থদের মাঝে সাইকেল ও নগদ অর্থ বিতরণ Logo কচুয়ায় বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত অন্তত ১০ Logo সিরাজগঞ্জে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন Logo রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের প্রথম ক্যাশলেস ক্যাম্পাস Logo ইবি উপাচার্যের বক্তৃতায় মুখরিত মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক সেমিনার Logo শেখ হাসিনা তরুনদের শরীরে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ভ্যাকসিন দিয়ে গেছেন: ফারুক ওয়াসিফ Logo বিশ্ব বাণিজ্যে রূপান্তর ঘটাবে এআই: ডাব্লিউটিও

ধর্ষককে গ্রেফতারের দাবীতে আলমডাঙ্গা প্রসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৭:১৬ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৪ আগস্ট ২০২৪
  • ৭৩৯ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গা উপজেলার খাস বাগুন্দা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে ধর্ষক আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে লিখিত সংবাদ সম্মেলন করেন ধর্ষিতার পক্ষে মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এ্যাডঃ মানি খন্দকার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মানবতা ফাউন্ডেশনের গন সংযোগ কর্মকর্তা হাফিজ উদ্দিন হাবলু,অপারেশন অফিসার এ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জালাল,মোটিভেশন অফিসার জাকিয়া সুলতানা ঝুমুর।

বেলা বারোটার দিকে আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে ফাতেমা খাতুনের পক্ষে মানি খন্দকার লিখিত বক্তব্য বলেছেন আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী মোসাম্মৎ ফাতেমা খাতুন (২০) পিতা মৃত খেদের আলী মাতা মোসাম্মৎ মর্জিনা খাতুন শংকরচন্দ্র, থানা চুয়াডাঙ্গা সদর, জেলা চুয়াডাঙ্গা, এপি বাসা নম্বর ২৭৪ ( ছাপাখানা মোড়) থানা মিরপুর মডেল ঢাকা জন্ম নিবন্ধন নম্বর ২০০৪১৮১২৩৭১১২৭২৯৬,মোবাইল নাম্বার ০১৯৯৯৫৬১৪১৪,আমার মা ও ভাবিকে সঙ্গে নিয়ে থানায় আসিয়া আসামি ১। আলাউদ্দিন (৪৩) পিতা মোহাম্মদ রমজান আলী  মাতা সাহিদা বেগম, সাং খাস বাগুন্দা,থানা আলমডাঙ্গা জেলা চুয়াডাঙ্গা জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর ৬৪৫৮২৯৩৬৫৮ এর বিরুদ্ধে এই মর্মে এজাহার দায়ের করিতেছে যে,আমার বাবা মারা যাওয়ার পর সাংসারিক অভাব অনটনের কারণে আমার মা আমাকে আমার চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী মোসাম্মৎ সুলতানা ইভা এর বাসায় রাখেন। আমি প্রায় ১৩ বছর ধরে আমার ভাবি মোছাম্মৎ ইসমাত সুলতানার সাথে তার বাসায় বসবাস করিয়া আসতেছি।চাকরির সুবাদে আমি ভাবির সাথে মিরপুর মডেল থানাধীন (ছাপাখানা মোড়)বাসা নম্বর ২৭৪ তে বসবাস করি। আসামি মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ৪৩, আমার ভাবি মোসাম্মৎ কিসমত সুলতানা এর আমেরিকান প্রবাসী আপন শাশুড়ি

মোছাম্মদ নাদিরা বেগমের দ্বিতীয় স্বামী হাওয়াই প্রায়ই উক্ত বাসায় যাওয়া আশা করতে থাকেন। আসামি বাসায় আসিয়া প্রায়ই অবস্থান করিতেন। আমার ভাবি উপজেলা কৃষি অফিস নারায়ণগঞ্জ, ঢাকায় কর্মরত এবং তাহার স্বামী বেসরকারি চাকরির সুবাদে প্রতিনিয়ত আমাকে বাসায় একা রেখে যেতেন। তার স্ত্রী সরকারি চাকরির সুবাদে প্রতিনিয়ত আমাকে বাসায় একা রেখে কর্মস্থলে যাইতেন। প্রতিদিনের ন্যায় ১৫/২/২০২৪ তারিখ সকাল অনুমান ৮ ঘটিকার  সময় ভাবি ও তার স্বামী আমাকে ও তার সৎপিতা আসামিকে ঢাকা মিরপুর থানাধীন ছাপাখানা মোড় বাসা নম্বর ২৭৪(৬তলায়) এর বাসায় রাখিয়া তাদের দুই সন্তানকে দিয়ে অফিসে যান। একই তারিখ বেলা অনুমান ১১ টার সময় আমি বারান্দায় বসে থাকা অবস্থায় আসামি আমাকে কাজের কথা বলিয়া রুমে ডেকে নিয়ে যায়।

একপর্যায়ে স্ত্রী আমেরিকার প্রবাসী হাওয়াই, আসামির স্ত্রী তাহাকে আমেরিকায় নিয়ে যাবে বলে প্রলভন দেই,বলেন আমি বিদেশ চলে গেলে তোমাকে আমেরিকায় নিয়ে যাওয়া সহ আমার নামের সম্পত্তি দিয়া ও আমাকে বিবাহ করবে বলিয়া বিভিন্ন  প্রলোভন  দেখাইয়া আমার পরণে থাকা সালোয়ার কামিজ খুলিয়া ধর্ষণ করেন। এরপর হইতে আসামি বিভিন্ন সময় উক্ত সময় আসিয়া আমাকে বিবাহের প্রলভন দেখাইয় ধর্ষণ করতে থাকেন। আসামি সর্বশেষ গত ৮/ ৫/ ২০২৪ তারিখে বেলা অনুমান ১১ ঘটিকার সময় আমাকে উক্ত বাসার আসামির স্বয়ন কক্ষের মধ্যে ধর্ষণ করে।পরবর্তীতে আমি অন্তঃসত্তা হইলে বিষয়টি আমার ভাবিকে বিস্তারিত জানালে ভাবি ঘটনার বিবরণ শুনিয়া আমার মা ও ভাই সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সাথে আলোচনা করেন ঘটনার বিস্তারিত আমার মা ভাই ও পরিবারের সাথে আলোচনা করিয়া তাহাদের সহায়তায় মিরপুর মডেল থানায় আসিয়া এজাহার দাখিল করি।মীরপুর মডেল থানার শিশু নির্যাতন  মামলা নং২৬ তারিখ ৯/৬/২৪।বাদী মোছা ফাতেমা খাতুন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান ৯৮ বোতল ভারতীয় মদসহ ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল জব্দ

ধর্ষককে গ্রেফতারের দাবীতে আলমডাঙ্গা প্রসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন

আপডেট সময় : ০৮:৪৭:১৬ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৪ আগস্ট ২০২৪

আলমডাঙ্গা উপজেলার খাস বাগুন্দা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে ধর্ষক আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে লিখিত সংবাদ সম্মেলন করেন ধর্ষিতার পক্ষে মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এ্যাডঃ মানি খন্দকার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মানবতা ফাউন্ডেশনের গন সংযোগ কর্মকর্তা হাফিজ উদ্দিন হাবলু,অপারেশন অফিসার এ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জালাল,মোটিভেশন অফিসার জাকিয়া সুলতানা ঝুমুর।

বেলা বারোটার দিকে আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে ফাতেমা খাতুনের পক্ষে মানি খন্দকার লিখিত বক্তব্য বলেছেন আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী মোসাম্মৎ ফাতেমা খাতুন (২০) পিতা মৃত খেদের আলী মাতা মোসাম্মৎ মর্জিনা খাতুন শংকরচন্দ্র, থানা চুয়াডাঙ্গা সদর, জেলা চুয়াডাঙ্গা, এপি বাসা নম্বর ২৭৪ ( ছাপাখানা মোড়) থানা মিরপুর মডেল ঢাকা জন্ম নিবন্ধন নম্বর ২০০৪১৮১২৩৭১১২৭২৯৬,মোবাইল নাম্বার ০১৯৯৯৫৬১৪১৪,আমার মা ও ভাবিকে সঙ্গে নিয়ে থানায় আসিয়া আসামি ১। আলাউদ্দিন (৪৩) পিতা মোহাম্মদ রমজান আলী  মাতা সাহিদা বেগম, সাং খাস বাগুন্দা,থানা আলমডাঙ্গা জেলা চুয়াডাঙ্গা জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর ৬৪৫৮২৯৩৬৫৮ এর বিরুদ্ধে এই মর্মে এজাহার দায়ের করিতেছে যে,আমার বাবা মারা যাওয়ার পর সাংসারিক অভাব অনটনের কারণে আমার মা আমাকে আমার চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী মোসাম্মৎ সুলতানা ইভা এর বাসায় রাখেন। আমি প্রায় ১৩ বছর ধরে আমার ভাবি মোছাম্মৎ ইসমাত সুলতানার সাথে তার বাসায় বসবাস করিয়া আসতেছি।চাকরির সুবাদে আমি ভাবির সাথে মিরপুর মডেল থানাধীন (ছাপাখানা মোড়)বাসা নম্বর ২৭৪ তে বসবাস করি। আসামি মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ৪৩, আমার ভাবি মোসাম্মৎ কিসমত সুলতানা এর আমেরিকান প্রবাসী আপন শাশুড়ি

মোছাম্মদ নাদিরা বেগমের দ্বিতীয় স্বামী হাওয়াই প্রায়ই উক্ত বাসায় যাওয়া আশা করতে থাকেন। আসামি বাসায় আসিয়া প্রায়ই অবস্থান করিতেন। আমার ভাবি উপজেলা কৃষি অফিস নারায়ণগঞ্জ, ঢাকায় কর্মরত এবং তাহার স্বামী বেসরকারি চাকরির সুবাদে প্রতিনিয়ত আমাকে বাসায় একা রেখে যেতেন। তার স্ত্রী সরকারি চাকরির সুবাদে প্রতিনিয়ত আমাকে বাসায় একা রেখে কর্মস্থলে যাইতেন। প্রতিদিনের ন্যায় ১৫/২/২০২৪ তারিখ সকাল অনুমান ৮ ঘটিকার  সময় ভাবি ও তার স্বামী আমাকে ও তার সৎপিতা আসামিকে ঢাকা মিরপুর থানাধীন ছাপাখানা মোড় বাসা নম্বর ২৭৪(৬তলায়) এর বাসায় রাখিয়া তাদের দুই সন্তানকে দিয়ে অফিসে যান। একই তারিখ বেলা অনুমান ১১ টার সময় আমি বারান্দায় বসে থাকা অবস্থায় আসামি আমাকে কাজের কথা বলিয়া রুমে ডেকে নিয়ে যায়।

একপর্যায়ে স্ত্রী আমেরিকার প্রবাসী হাওয়াই, আসামির স্ত্রী তাহাকে আমেরিকায় নিয়ে যাবে বলে প্রলভন দেই,বলেন আমি বিদেশ চলে গেলে তোমাকে আমেরিকায় নিয়ে যাওয়া সহ আমার নামের সম্পত্তি দিয়া ও আমাকে বিবাহ করবে বলিয়া বিভিন্ন  প্রলোভন  দেখাইয়া আমার পরণে থাকা সালোয়ার কামিজ খুলিয়া ধর্ষণ করেন। এরপর হইতে আসামি বিভিন্ন সময় উক্ত সময় আসিয়া আমাকে বিবাহের প্রলভন দেখাইয় ধর্ষণ করতে থাকেন। আসামি সর্বশেষ গত ৮/ ৫/ ২০২৪ তারিখে বেলা অনুমান ১১ ঘটিকার সময় আমাকে উক্ত বাসার আসামির স্বয়ন কক্ষের মধ্যে ধর্ষণ করে।পরবর্তীতে আমি অন্তঃসত্তা হইলে বিষয়টি আমার ভাবিকে বিস্তারিত জানালে ভাবি ঘটনার বিবরণ শুনিয়া আমার মা ও ভাই সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সাথে আলোচনা করেন ঘটনার বিস্তারিত আমার মা ভাই ও পরিবারের সাথে আলোচনা করিয়া তাহাদের সহায়তায় মিরপুর মডেল থানায় আসিয়া এজাহার দাখিল করি।মীরপুর মডেল থানার শিশু নির্যাতন  মামলা নং২৬ তারিখ ৯/৬/২৪।বাদী মোছা ফাতেমা খাতুন।