শিরোনাম :
Logo আগামীকাল খুবিতে বায়স্কোপের ‘প্রাণময় লোকসন্ধ্যা মাটির টান পর্ব-২’ Logo খুবিতে শিক্ষা ডিসিপ্লিনের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত! Logo সাংবাদিকদের টাকা-মোবাইল দেয় শিক্ষকরা’- কুবি উপাচার্য Logo যমুনা রেল সেতুর পিলারে  ফাটল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল Logo সমন্বয়ক পরিচয়ে প্রাণনাশের হুমকির’ অভিযোগ- অভিযুক্তের অস্বীকার Logo শেরপুরে নলকূপ খননে গ্যাসের সন্ধান, আগুনে রান্না করছেন স্থানীয়রা! Logo ধৈর্যের মূর্ত প্রতীক: শাহাদত হোসেন বিপ্লব Logo কালিবাড়ি মোড়ে ‘কাশমিরী সুইটস এন্ড লাইভ বেকারী’র শুভ উদ্বোধন! Logo জলবায়ু পরিবর্তন, এসআরএইচআর ও সেবার চ্যালেঞ্জ নিয়ে চাঁদপুরে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা Logo ইবিতে দুইদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘ক্যাম্পাস ২০২৫’

ঝিনাইদহে এক বীরাঙ্গনার দুই জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে তোলপাড়!

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ০২:৩৪:৪২ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৪ নভেম্বর ২০২০
  • ৭৭৪ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
বীরাঙ্গনা খেতাব প্রাপ্ত ফাতেমা বেগম নামে এক মুক্তিযোদ্ধার দুইটি জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। শক্তিশালী তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে কি ভাবে ফাতেমা বেগম দুইটি জাতীয় পরিচয়পত্র করতে সক্ষম হলেন এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন ব্যক্তি বিশেষের দায় নির্বাচন কমিশন নিবে না। তার বিরুদ্ধে মামলা ও দুইটি পরিচয়পত্র বাতিল হতে পারে। তবে বিভিন্ন সময় কাজের প্রয়োজনে যে ফাতেমা বেগম জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন সেটা সন্দেহ করছেন নির্বাচন কর্মকর্তারা। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনের সার্ভায়ারে ফাতেমা বেগমের রয়েছে দুই জাতীয় পরিচয়পত্র। এসব জাতীয় পরিচয়পত্রে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন ঠিকানা, জন্ম তারিখ ও রক্তের গ্রুপ। অভিযোগ উঠেছে তিনি নিজের প্রয়োজনে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ঠিকানায় এসব জাতীয় পরিচয়পত্র করেছেন। এসব জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সরকারী বিভিন্ন দপ্তর থেকে নানা সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ফাতেমা খাতুন ঝিনাইদহের কামারকুন্ডু গ্রামের ঠিকানায় ভোটার কার্ড করেন। জাতীয় পরিচয়পত্রে মোছাঃ ফাতেমা বেগম, পিতার নাম লালু মন্ডল ও মাতার নাম রহিমা বেগম ও শাবানা কাতুন লেখা হয়েছে। সেখানে জন্ম তারিখ লেখা হয়েছে ১১/০৮/১৯৬৯। রক্তের গ্রুপ এ পজিটিভ। ভোটার আইডি নম্বর ১৯৬৯৪৪২১৯০৩১২১১২৫। দ্বিতীয় নম্বর জাতীয়পত্রে লেখা হয়েছে মোছাঃ ফাতেমা বেগম, পিতা লালু মন্ডল ও স্বামী শুকুর আলী।, রক্তের গ্রুপ বি পজিটিভ, জন্ম তারিখ লেখা হয়েছে ৭/০২/১৯৪৯। জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ১৯৪৯৪৪১৩৩৮১০০০০০৫। এখানে ঠিকানা লেখা হয়েছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মোল্ল্যাকুয়া গ্রাম। শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম এবং ভোটার নম্বর ৪৪১৩৫৭০০০০৯৯। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ফাতেমা খাতুনের প্রথম বিয়ে হয় কালীগঞ্জ উপজেলার বানুড়িয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের সাথে। এখানে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। এরপর দ্বিতীয় বিয়ে হয় একই উপজেলার হাসানহাটি গ্রামের সাখাওয়াত হোসেনের সাথে। তৃতীয় বিয়ে হয় কালীগঞ্জ উপজেলা মোল্ল্যাকুয়া গ্রামের শুকুর আলীর সাথে। তিনি শুকুর আলী দ্বিতীয় স্ত্রী। এখানে একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ধরেই ফাতেমা বেগম ঝিনাইদহে বসবাস করছে। ফাতেমা বেগম জানান, কালীগঞ্জ উপজেলার বানুড়িয়া গ্রাম থেকে পিতার বাড়ি যশোরের চৌগাছা উপজেলার চন্ডিপাড়া যাওয়ার পথে মাহমুদপুর এলাকায় পৌছালে পাক-হানাদার বাহিনীরা তাকে ধরে নিয়ে যায়। সেখানে আটকে রেখে তার উপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। পাক বাহিনীর হাত থেকে তিনি ফিরে আসলেও স্বামী সিরাজুল তাকে গ্রহণ করেনি। পরবর্তীতে কালীগঞ্জ উপজেলার মোল্লাকোয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা শুকুর আলী তাকে বিয়ে করেন। তবে তিনি দুইটি পরিচয়পত্র নিয়ে কিছুই বলেননি। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা নির্বাচন অফিসার রোকনুজ্জামান জানান, এমন অভিযোগ আমার কাছে নেই। তবে ফাতেমা খাতুনের দুইডি পরিচয়পত্রের নাম্বার পেলে মন্তব্য করা যাবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আগামীকাল খুবিতে বায়স্কোপের ‘প্রাণময় লোকসন্ধ্যা মাটির টান পর্ব-২’

ঝিনাইদহে এক বীরাঙ্গনার দুই জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে তোলপাড়!

আপডেট সময় : ০২:৩৪:৪২ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৪ নভেম্বর ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
বীরাঙ্গনা খেতাব প্রাপ্ত ফাতেমা বেগম নামে এক মুক্তিযোদ্ধার দুইটি জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। শক্তিশালী তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে কি ভাবে ফাতেমা বেগম দুইটি জাতীয় পরিচয়পত্র করতে সক্ষম হলেন এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন ব্যক্তি বিশেষের দায় নির্বাচন কমিশন নিবে না। তার বিরুদ্ধে মামলা ও দুইটি পরিচয়পত্র বাতিল হতে পারে। তবে বিভিন্ন সময় কাজের প্রয়োজনে যে ফাতেমা বেগম জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন সেটা সন্দেহ করছেন নির্বাচন কর্মকর্তারা। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনের সার্ভায়ারে ফাতেমা বেগমের রয়েছে দুই জাতীয় পরিচয়পত্র। এসব জাতীয় পরিচয়পত্রে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন ঠিকানা, জন্ম তারিখ ও রক্তের গ্রুপ। অভিযোগ উঠেছে তিনি নিজের প্রয়োজনে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ঠিকানায় এসব জাতীয় পরিচয়পত্র করেছেন। এসব জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সরকারী বিভিন্ন দপ্তর থেকে নানা সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ফাতেমা খাতুন ঝিনাইদহের কামারকুন্ডু গ্রামের ঠিকানায় ভোটার কার্ড করেন। জাতীয় পরিচয়পত্রে মোছাঃ ফাতেমা বেগম, পিতার নাম লালু মন্ডল ও মাতার নাম রহিমা বেগম ও শাবানা কাতুন লেখা হয়েছে। সেখানে জন্ম তারিখ লেখা হয়েছে ১১/০৮/১৯৬৯। রক্তের গ্রুপ এ পজিটিভ। ভোটার আইডি নম্বর ১৯৬৯৪৪২১৯০৩১২১১২৫। দ্বিতীয় নম্বর জাতীয়পত্রে লেখা হয়েছে মোছাঃ ফাতেমা বেগম, পিতা লালু মন্ডল ও স্বামী শুকুর আলী।, রক্তের গ্রুপ বি পজিটিভ, জন্ম তারিখ লেখা হয়েছে ৭/০২/১৯৪৯। জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ১৯৪৯৪৪১৩৩৮১০০০০০৫। এখানে ঠিকানা লেখা হয়েছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মোল্ল্যাকুয়া গ্রাম। শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম এবং ভোটার নম্বর ৪৪১৩৫৭০০০০৯৯। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ফাতেমা খাতুনের প্রথম বিয়ে হয় কালীগঞ্জ উপজেলার বানুড়িয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের সাথে। এখানে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। এরপর দ্বিতীয় বিয়ে হয় একই উপজেলার হাসানহাটি গ্রামের সাখাওয়াত হোসেনের সাথে। তৃতীয় বিয়ে হয় কালীগঞ্জ উপজেলা মোল্ল্যাকুয়া গ্রামের শুকুর আলীর সাথে। তিনি শুকুর আলী দ্বিতীয় স্ত্রী। এখানে একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ধরেই ফাতেমা বেগম ঝিনাইদহে বসবাস করছে। ফাতেমা বেগম জানান, কালীগঞ্জ উপজেলার বানুড়িয়া গ্রাম থেকে পিতার বাড়ি যশোরের চৌগাছা উপজেলার চন্ডিপাড়া যাওয়ার পথে মাহমুদপুর এলাকায় পৌছালে পাক-হানাদার বাহিনীরা তাকে ধরে নিয়ে যায়। সেখানে আটকে রেখে তার উপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। পাক বাহিনীর হাত থেকে তিনি ফিরে আসলেও স্বামী সিরাজুল তাকে গ্রহণ করেনি। পরবর্তীতে কালীগঞ্জ উপজেলার মোল্লাকোয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা শুকুর আলী তাকে বিয়ে করেন। তবে তিনি দুইটি পরিচয়পত্র নিয়ে কিছুই বলেননি। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা নির্বাচন অফিসার রোকনুজ্জামান জানান, এমন অভিযোগ আমার কাছে নেই। তবে ফাতেমা খাতুনের দুইডি পরিচয়পত্রের নাম্বার পেলে মন্তব্য করা যাবে।