নিউজ ডেস্ক:
আগে দেখা যেত, বিদেশি কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বাংলাদেশ সফরে এলে দেশের প্রধান দুই দলের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন। কিন্তু বর্তমানে রাজনৈতিকভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুরুত্বহীন হয়ে পড়ায় এখন বিদেশি অতিথিরা এলে তারা আর বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতে উৎসাহী হন না।
বিএনপি’র দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের পর বিএনপি নেতারা কূটনৈতিক সহযোগিতা চেয়েছিলেন এবং দুই দফায় কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন। কিন্তু ওইসব বৈঠকে বিএনপির বক্তব্যে খুব একটা আগ্রহ দেখায়নি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকরা। এ বিষয়গুলো থেকে স্পষ্ট হয় যে, বিভিন্ন কারণে বিএনপির প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে আন্তর্জাতিক মহল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবীরা মনে করেন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্রসহ সব দেশই তারেক জিয়ার ব্যাপারে অভিন্ন ধারণা পোষণ করে। তারা জানে, তারেক রহমান দুর্নীতিবাজ এবং সন্ত্রাসবাদের মদদদাতা।
গত ১০ বছরে বিএনপি কূটনীতিকদের সঙ্গে যত বৈঠক করেছে সবগুলো বৈঠকেই তারেক কিভাবে নেতৃত্বে আছেন সেই প্রশ্ন একাধিক কূটনৈতিক মহল করেছেন এবং বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো উত্তর তারা পাননি।
আরেকটি বিষয় নিয়ে কূটনৈতিক মহল অসন্তুষ্ট। তা হলো- যুদ্ধাপরাধী বা জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক। পশ্চিমা ও পার্শ্ববর্তী দেশগুলো মনে করে, জামায়াত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল নয়। তারা সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদে বিশ্বাসী।
আন্তর্জাতিক মহল মনে করে যে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল এবং অনেক ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। আর সে কারণেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে নিয়ামক শক্তি হিসেবে শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগকেই বোঝেন কূটনৈতিক মহল। বিএনপিকে এখন তেমন গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন না কূটনীতিকরা।