নিউজ ডেস্ক:
শুক্রবার ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কার্যালয়ে গ্রেনেড হামলার ১৬তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, একাত্তরের লাখো শহীদের রক্তে যে মাটি ভিজেছিল, যে মাটি বঙ্গবন্ধুর রক্তে ভিজেছিল পঁচাত্তরে, সেই মাটিতে আবারো রক্তস্রোত, যা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিশ্ব অবাক বিস্ময়ে দেখেছে। ২০০৪ সালের বিএনপির জামায়াতের সরকারের টার্গেট ছিল বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। পঁচাত্তরের বুলেট ২০০৪ সালে ফিরে আসে প্রাণঘাতী গ্রেনেড হয়ে। নেতাকর্মীরা প্রাণপণ নেত্রীর সুরক্ষায় গড়ে তোলে মানবঢাল। আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে বেঁচে যান শেখ হাসিনা।
বিএনপির জামায়াত জোট সরকার গ্রেনেড হামলা বিচার বাধ্যগ্রস্ত করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গ্রেনেড হামলার হত্যাকাণ্ডের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে যা দরকার ছিলো তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকার সবই করেছিল। বিচারব্যবস্থাকে প্রহসনে রূপান্তরের অপচেষ্টা চালানো হয়। বিএনপি সেদিন যাকে টার্গেট করেছিল তার হাত (শেখ হাসিনা) দিয়েই নির্মমতার বিচার শুরু হয়েছে। মামলাটি এখন উচ্চ আদালতে আপিল নিষ্পত্তির আশায় রয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা দেশে-বিদেশে গুজব, ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার আর মিথ্যাচারের বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে। দেশের মানুষের ভাগ্য বদলের যখন চেষ্টা করার হচ্ছে তখন ষড়যন্ত্রকারীরা দেশে-বিদেশে গুজব, ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার আর মিথ্যাচারের বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে।
সততা ও ত্যাগের প্রতীক বঙ্গবন্ধু পরিবার উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে পঁচাত্তরে এ দেশে হত্যার রাজনীতি শুরু হয়। জাতির পিতার কন্যা হয়েও শেখ হাসিনার যে সংগ্রামী জীবন তা সমসাময়িক বিশ্বে বিরল। স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে শেখ হাসিনা বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে কাজ করে যাচ্ছেন। তার মতো সৎ নিষ্ঠাবান ত্যাগের প্রতীক অন্য কেউ নেই। বঙ্গবন্ধু পরিবার হলো এ দেশের সততার প্রতীক।