নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের অ্যানেসথেসিয়া কনসালট্যান্ট ডা. গোলাম মোর্শেদ ডালিমের বিরুদ্ধে ডিউটি ফাঁকি দিয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকে যেয়ে অপারেশন করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের পেছনে নিরাময় নাসিং হোম নামের একটি ক্লিনিকে ডিউটি ফাঁকি দিয়ে এক রোগীর অপারেশন করেন। ডিউটি ফাঁকি দিয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকে অপারেশন করার ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে তিনি দ্রুত ঘটনাস্তল ত্যাগ করেন।
জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর কর্মসময় সকাল ৮টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত। কেবল জরুরি কোনো প্রয়োজনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মস্থল ছেড়ে যেতে পারবেন, এমন নিয়ম থাকলেও তা মানেননি হাসপাতালের অ্যানেসথেসিয়া কনসালট্যান্ট ডা. গোলাম মোর্শেদ ডালিম। গতকাল বেলা ১২টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে নিজ কর্মসময় ফাঁকি দিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের পেছনে নিরাময় নর্সিং হোম নামের একটি ক্লিনিকে পলি খাতুন নামের এক রোগীর অ্যানেসথেসিয়া করেন ডা. গোলাম মোর্শেদ ডালিম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের অ্যানেসথেসিয়া কনসালট্যান্ট ডা. গোলাম মোর্শেদ ডালিম বলেন, ‘খুব জরুরি একটি অপারেশন হওয়ায় নিরাময় নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষের অনুরোধেই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শামীম কবিরকে বিষয়টি জানিয়ে অপারেশনটিতে গিয়েছিলাম।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. শামীম কবিরের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ ঘটনার কিছুই জানেন না বলে এ প্রতিবেদককে জানান।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পর্কে আমি অবগত হয়েছি। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সেখানে প্রতিনিধি পাঠানো হয়েছিল, সেখান থেকে ঘটনাটির সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ডা. গোলাম মোর্শেদ ডালিমের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আগামীকাল (আজ) তাঁকে একটি কারণ দর্শানোর নোটিশও প্রেরণ করা হবে।’
এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের অ্যানেসথেসিয়া কনসালট্যান্ট ডা. গোলাম মোর্শেদ ডালিমের বিরুদ্ধে মদিনা ক্লিনিকসহ হাসপাতাল এলাকায় অবস্থিত ক্লিনিকগুলোতে ডিউটি ফাঁকি দিয়ে অপারেশনে অংশ নেওয়ার অভিযোগ অনেক আগে থেকেই আছে। তা ছাড়া কয়েকদিন আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া আঁখি তারা ক্লিনিকেও তিনি অপারেশন করতে যেতেন বলে াভিযোগ রয়েছে।