বৃহস্পতিবার | ১ জানুয়ারি ২০২৬ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo রাতে হাসপাতাল ও এতিমখানায় গিয়ে কম্বল বিতরণ করলেন ইউএনও Logo জন্মদিন পালন না করে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়ার আয়োজন জাবি ছাত্রদল নেতার Logo পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বেগম খালেদা জিয়ার দাফন সম্পন্ন Logo তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে চাঁদপুরে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত Logo অস্ত্র কিনতে এসে খাগড়াছড়িতে আটক রাঙ্গুনিয়ার আইয়ুব Logo ২০২৫ সালে বিশ্বজুড়ে ভাঙল তাপমাত্রার রেকর্ড Logo বিশ্বব্যাপী ‘বিভাজন’ বিশ্বের সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলছে : জাতিসংঘের শরণার্থী প্রধান Logo সারাদেশে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে শীতের অনুভূতি বিরাজমান থাকতে পারে Logo বেগম জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের স্পিকার Logo বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন আপসহীন নেত্রী ও দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণ

রোগীর উত্তেজিত বন্ধুরা ভাঙলো জানালার কাচ

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১১:০১:১৪ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৯ জুন ২০১৯
  • ৭৪৮ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দিতে বিলম্ব
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রোগীকে চিকিৎসা দিতে বিলম্ব হওয়ায় জানালার কাচ ভাঙল রোগীর বন্ধুরা। গতকাল শনিবার রাত নয়টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। হাসপাতালে কর্তব্যরত পুলিশের সামনে এমন ঘটনা ঘটায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে।
জরুরি বিভাগের অবস্থানরত কয়েকজন রোগীর স্বজনরা জানান, তড়িঘড়ি করে কয়েকজন যুবক সাদমান নামের একটি ছেলেকে নিয়ে জরুরি বিভাগে আসেন এবং ডাক্তারকে তখনই তাঁর চিকিৎসার জন্য বলেন। এ সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মধ্যে অনেক ভিড় থাকায় কর্তব্যরত চিকিৎসক অন্য রোগীদের চিকিৎসা দিতে ব্যস্ত ছিলেন। পরে সাদমানের বন্ধুরা জরুরি বিভাগের মধ্যে ডাক্তারের ওপর চিকিৎসা দিতে চাপ সৃষ্টি করেন।
এ সময় চিকিৎসক সাদমানের কাছে তাঁর অসুস্থতার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি এক্সিডেন্ট করেছেন। ডাক্তার আবার সঠিকভাবে বিষয়টি জানতে চাইলে সাদমানের বন্ধুরা রাগান্বিত হয়ে ডাক্তারের নিকট থেকে প্রেসক্রিপশনটি নিয়ে বাইরে চলে যান। যাওয়ার সময় তাঁরা জরুরি বিভাগের একটি জানালার কাচে ধাক্কা মারলে জানালার কাচগুলো ঝরে পড়ে এবং তখনই সাদমানকে নিয়ে তাঁর বন্ধুকে নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জাকির হোসেন বলেন, কয়েকজন যুবক জরুরী বিভাগে একটি আহত ছেলেকে নিয়ে আসেন। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়ার সময়টুকু না দিয়েই বিশৃঙ্খলা ঘটিয়ে তাঁরা চলে যায় যান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বলেন, ‘জানতে পেরেছি তিন-চারজন যুবক সাদমান নামের একটি আহত ছেলেকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য জরুরি বিভাগে যায়। চিকিৎসা দিতে সামান্য দেরি হওয়ায় তাঁরা যাওয়ার সময় তাঁদের মধ্যে থেকে একজন জানালায় ধাক্কা মারলে জানালার কাঁচ ভেঙে যায়। এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাতে হাসপাতাল ও এতিমখানায় গিয়ে কম্বল বিতরণ করলেন ইউএনও

রোগীর উত্তেজিত বন্ধুরা ভাঙলো জানালার কাচ

আপডেট সময় : ১১:০১:১৪ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৯ জুন ২০১৯

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দিতে বিলম্ব
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রোগীকে চিকিৎসা দিতে বিলম্ব হওয়ায় জানালার কাচ ভাঙল রোগীর বন্ধুরা। গতকাল শনিবার রাত নয়টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। হাসপাতালে কর্তব্যরত পুলিশের সামনে এমন ঘটনা ঘটায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে।
জরুরি বিভাগের অবস্থানরত কয়েকজন রোগীর স্বজনরা জানান, তড়িঘড়ি করে কয়েকজন যুবক সাদমান নামের একটি ছেলেকে নিয়ে জরুরি বিভাগে আসেন এবং ডাক্তারকে তখনই তাঁর চিকিৎসার জন্য বলেন। এ সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মধ্যে অনেক ভিড় থাকায় কর্তব্যরত চিকিৎসক অন্য রোগীদের চিকিৎসা দিতে ব্যস্ত ছিলেন। পরে সাদমানের বন্ধুরা জরুরি বিভাগের মধ্যে ডাক্তারের ওপর চিকিৎসা দিতে চাপ সৃষ্টি করেন।
এ সময় চিকিৎসক সাদমানের কাছে তাঁর অসুস্থতার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি এক্সিডেন্ট করেছেন। ডাক্তার আবার সঠিকভাবে বিষয়টি জানতে চাইলে সাদমানের বন্ধুরা রাগান্বিত হয়ে ডাক্তারের নিকট থেকে প্রেসক্রিপশনটি নিয়ে বাইরে চলে যান। যাওয়ার সময় তাঁরা জরুরি বিভাগের একটি জানালার কাচে ধাক্কা মারলে জানালার কাচগুলো ঝরে পড়ে এবং তখনই সাদমানকে নিয়ে তাঁর বন্ধুকে নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জাকির হোসেন বলেন, কয়েকজন যুবক জরুরী বিভাগে একটি আহত ছেলেকে নিয়ে আসেন। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়ার সময়টুকু না দিয়েই বিশৃঙ্খলা ঘটিয়ে তাঁরা চলে যায় যান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বলেন, ‘জানতে পেরেছি তিন-চারজন যুবক সাদমান নামের একটি আহত ছেলেকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য জরুরি বিভাগে যায়। চিকিৎসা দিতে সামান্য দেরি হওয়ায় তাঁরা যাওয়ার সময় তাঁদের মধ্যে থেকে একজন জানালায় ধাক্কা মারলে জানালার কাঁচ ভেঙে যায়। এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’