সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ অফিসে মাদক ব্যবসা!
নিউজ ডেস্ক:ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দলীয় কার্যালয়ে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে মাদক ব্যবসা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি মাদকব্যবসায়ীদের। আটক করা হয় নারীসহ দুই মাদকব্যবসায়ীকে। সিসি ক্যামেরা ফাঁকি দিয়ে শহরের কালীবাড়ি মোড়ের এই অফিসটিতে অভিযান চালায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি অভিযানিক দল। এ সময় আটক করা হয় উপজেলার ফয়লা গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর বজলুর রশীদ নান্নু (৫০) ও নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের মেয়ে সোনিয়া আক্তার আকাশিকে (২১)।
ঝিনাইদহের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর গতিবিধি লক্ষ্য করতে স্বেচ্ছাসেবকলীগের দলীয় কার্যালয়ে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে মাদকব্যবসা করতো বজলুর রশীদ নান্নু। বুধবার ওই অফিসে অভিযান চালানো হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৮০ পিস ইয়াবা ও ৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। সংবাদকর্মীরা খবর পেয়ে অফিসটিতে গিয়ে দেখতে পান সাইন বোর্ডটিতে লেখা বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, প্রধান কার্যালয়, উপজেলা শাখা, কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ। সাইন বোর্ডে ঝুলানো আছে লজিটেক কোম্পানির একটি সিসি ক্যামেরা। যেটা দিয়ে সামনের রাস্তার পুরো অংশ দেখা যায়। সামনে দিয়ে কেউ অফিসে প্রবেশ করলে তিনি ঘরের মধ্যে থেকে দেখতে পারবেন। এই অফিসটির পিছনেই রয়েছে চিত্রা নদী।
কালীগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার এএসআই সাইফুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ঝিনাইদহের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৬ নভেম্বর একই দলীয় কার্যালয় থেকে বজলুর রশীদ নান্নুকে মাদকসহ আটক করে ঝিনাইদহ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। সে সময় অফিস তল্লাসি করে ৯৬পিস ইয়াবা, ১ বোতল ফেনসিডিল ও মাদক বিক্রির ২৭৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়।