মঙ্গলবার | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশে গেছে ১১ লাখ ১৬ হাজারের বেশি কর্মী, রেমিট্যান্স এসেছে ১৫,৭৯১ মিলিয়ন ডলার Logo চাঁদপুর-৩ আসনে গনফোরাম মনোনীত প্রার্থী অ্যাড. সেলিম আকবরের মনোনয়ন দাখিল Logo চাঁদপুর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী নুরুল ইসলাম বেপারী Logo চাঁদপুর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী শেখ মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন Logo চুয়াডাঙ্গা ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে কাপছে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৬ ডিগ্রি Logo চুয়াডাঙ্গা -১ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী জনাব, মো: শরীফুজ্জামান শরীফ এর মনোনয়ন ফর্ম জমা Logo চাঁদপুর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন অ্যাড. শাহজাহান মিয়া Logo ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, মতলব উত্তর উপজেলা শাখার শপথ অনুষ্ঠান Logo আসন্ন নির্বাচন আয়োজনে ‘আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত’ : প্রধান উপদেষ্টা Logo পলাশবাড়ী চৌমাথায় সৌন্দর্যহীন ফাঁকা জায়গা, নান্দনিক উন্নয়নের দাবি স্থানীয়দের

ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার : আতঙ্ক : প্রশ্নবিদ্ধ পুলিশ

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১১:৫৪:১৩ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৯
  • ৭৪৭ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে ইসিজি টেকনিশিয়ান শহিদুলকে তুলে নিয়ে মারপিট
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে ইসিজি টেকনিশিয়ান শহিদুলকে তুলে নিয়ে মারপিট করার অভিযোগ উঠেছে পৌর এলাকার রেলপাড়ার সেন্টুর বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় সদর হাসপাতালে আতঙ্ক বিরাজ করে। এ ঘটনায় সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের সামনে থেকে কিভাবে তুলে নিয়ে গিয়ে গেলো এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আহত শহিদুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বেলগাছি গ্রামের ঈদপাড়ার খোদাবক্সের ছেলে ও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ইসিজি টেকনিশিয়ান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত সূত্রে জানা যায়, গত মাসখানেক আগে সদর থানা পুলিশ চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার রেলপাড়ার সেন্টু নামের এক যুবককে আটক করে সদর হাসপাতালে ওয়াশের জন্য নেয়। পরে তাকে ওয়াশ করার সময় স্বেচ্ছাসেবক রাজ্জাকের সাথে সেন্টুর সাথে বাকবিতন্ডা হয়। এরই জের ধরে সোমবার রাত ৯টার দিকে সেন্টুসহ একদল যুবক হাসপাতালের জরুরী বিভাগ থেকে রাজ্জাক ভেবে শহিদুলকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলযোগে তুলে নিয়ে যায়। এসময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকসহ স্বেচ্ছাসেবকরা বাধা দিলেও তারা সংখ্যায় বেশি থাকায় জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। পরে অনেক খোঁজাখুজির পরেও শহিদুলকে পাওয়া যায়নি। পরে চুয়াডাঙ্গা পুরাতন স্টেডিয়ামের নিকট নিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুচিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে ক্ষতবিক্ষত করে সেন্টুসহ তার সহযোগীরা। প্রায় ঘন্টা খানেক পর একটি ভ্যানযোগে অভিযুক্তরা আহত শহিদুলকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। পরে তাকে চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের সার্জারী সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এহসানুল হক তন্ময় বলেন, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে মনে হচ্ছে। শরীরের বিভিন্নস্থানে ক্ষতের আঘাত রয়েছে। একটি পা ওপেন ফ্যাকচার হয়েছে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি।
এদিকে, এ ঘটনার পর চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডিউটিরত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ ওঠে। জরুরী বিভাগের ২০ গজ দূরে পুলিশ থাকলেও কিভাবে জরুরী বিভাগ থেকে শহিদুলকে তুলে নিয়ে গেলো, এ নিয়ে হাসপাতালে সবার কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয় পুলিশ। তবে পুলিশ এ অভিযোগকে সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থালে ছুটে এসেছি। ততক্ষণে তারা তুলে নিয়ে গেছে। আর আমরা হাসপাতালের ভিতর এবং বাইরে হেটে হেটে ডিউটি করি। খবর পেয়ে দুই মিনিটের মধ্যে জরুরী বিভাগে এসে দেখি শহিদুলকে তুলে নিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামীম কবির বলেন, আমি শুনেছি সদর হাসপাতালের ইসিজি টেকনিশিয়ানকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা। ইতিমধ্যে আমরা পুলিশকে ঘটনা জানিয়েছি। এঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এদিকে, ঘটনার পূর্বে সদর হাসপাতালে অভিযুক্ত সেন্টু চিকিৎসা নেয় এবং শহিদুলকে দেখে ঘটনার মিশন চালায়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশে গেছে ১১ লাখ ১৬ হাজারের বেশি কর্মী, রেমিট্যান্স এসেছে ১৫,৭৯১ মিলিয়ন ডলার

ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার : আতঙ্ক : প্রশ্নবিদ্ধ পুলিশ

আপডেট সময় : ১১:৫৪:১৩ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৯

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে ইসিজি টেকনিশিয়ান শহিদুলকে তুলে নিয়ে মারপিট
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে ইসিজি টেকনিশিয়ান শহিদুলকে তুলে নিয়ে মারপিট করার অভিযোগ উঠেছে পৌর এলাকার রেলপাড়ার সেন্টুর বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় সদর হাসপাতালে আতঙ্ক বিরাজ করে। এ ঘটনায় সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের সামনে থেকে কিভাবে তুলে নিয়ে গিয়ে গেলো এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আহত শহিদুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বেলগাছি গ্রামের ঈদপাড়ার খোদাবক্সের ছেলে ও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ইসিজি টেকনিশিয়ান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত সূত্রে জানা যায়, গত মাসখানেক আগে সদর থানা পুলিশ চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার রেলপাড়ার সেন্টু নামের এক যুবককে আটক করে সদর হাসপাতালে ওয়াশের জন্য নেয়। পরে তাকে ওয়াশ করার সময় স্বেচ্ছাসেবক রাজ্জাকের সাথে সেন্টুর সাথে বাকবিতন্ডা হয়। এরই জের ধরে সোমবার রাত ৯টার দিকে সেন্টুসহ একদল যুবক হাসপাতালের জরুরী বিভাগ থেকে রাজ্জাক ভেবে শহিদুলকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলযোগে তুলে নিয়ে যায়। এসময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকসহ স্বেচ্ছাসেবকরা বাধা দিলেও তারা সংখ্যায় বেশি থাকায় জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। পরে অনেক খোঁজাখুজির পরেও শহিদুলকে পাওয়া যায়নি। পরে চুয়াডাঙ্গা পুরাতন স্টেডিয়ামের নিকট নিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুচিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে ক্ষতবিক্ষত করে সেন্টুসহ তার সহযোগীরা। প্রায় ঘন্টা খানেক পর একটি ভ্যানযোগে অভিযুক্তরা আহত শহিদুলকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। পরে তাকে চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের সার্জারী সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এহসানুল হক তন্ময় বলেন, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে মনে হচ্ছে। শরীরের বিভিন্নস্থানে ক্ষতের আঘাত রয়েছে। একটি পা ওপেন ফ্যাকচার হয়েছে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি।
এদিকে, এ ঘটনার পর চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডিউটিরত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ ওঠে। জরুরী বিভাগের ২০ গজ দূরে পুলিশ থাকলেও কিভাবে জরুরী বিভাগ থেকে শহিদুলকে তুলে নিয়ে গেলো, এ নিয়ে হাসপাতালে সবার কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয় পুলিশ। তবে পুলিশ এ অভিযোগকে সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থালে ছুটে এসেছি। ততক্ষণে তারা তুলে নিয়ে গেছে। আর আমরা হাসপাতালের ভিতর এবং বাইরে হেটে হেটে ডিউটি করি। খবর পেয়ে দুই মিনিটের মধ্যে জরুরী বিভাগে এসে দেখি শহিদুলকে তুলে নিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামীম কবির বলেন, আমি শুনেছি সদর হাসপাতালের ইসিজি টেকনিশিয়ানকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা। ইতিমধ্যে আমরা পুলিশকে ঘটনা জানিয়েছি। এঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এদিকে, ঘটনার পূর্বে সদর হাসপাতালে অভিযুক্ত সেন্টু চিকিৎসা নেয় এবং শহিদুলকে দেখে ঘটনার মিশন চালায়।