সোমবার | ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার ওপর আরও চাপ প্রয়োগের আহ্বান জেলেনস্কির Logo নির্বাচনে আস্থার পরিবেশ তৈরিতে অপারেশন শুরু করবে যৌথবাহিনী: ইসি সানাউল্লাহ Logo রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে Logo কুমিল্লায় আইদি পরিবহন প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা, চাঁদপুরে মানববন্ধন Logo মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন চাঁদপুর-৩ আসনে ইসলামী ফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী সাংবাদিক আহসান উল্লাহ Logo আগামী ২৭ ডিসেম্বর শনিবার চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির শীতকালীন গিটারসন্ধ্যা Logo তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা ও শুভেচ্ছা মিছিল Logo সুদানের আবেই শান্তিরক্ষা মিশনের ড্রোন হামলায় শহীদ সেনা সদস্যের রাষ্টীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন পলাশবাড়ীতে Logo ৪৭৫ কোটি টাকা ‘জলে’: খনন শেষ হতেই ভরাট সাতক্ষীরার নদী-খাল ​জলাবদ্ধতা কাটেনি, উল্টো সেচ সংকটে কৃষক ও ঘেরমালিকরা ​ Logo খুবিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য মাস্টার্স ও পিএইচডি ভর্তি শুরু

রোহিঙ্গা সংকট : ভাসানচরে কী কী ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে ?

  • আপডেট সময় : ০১:০৩:০৮ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০১৯
  • ৭৬২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

কর্মকর্তারা বলছেন, রোহিঙ্গাদের নোয়াখালীর ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষ হওয়ার পথে।তারা আশা করছেন, আগামী দেড় মাসের মধ্যে সেখানে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, আশ্রয় কেন্দ্রসহ সব ধরনের অবকাঠামোর নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে যাবে।

বঙ্গোপসাগরে ১৩ হাজার একরের এই দ্বীপটির ৩ হাজার একর জায়গার চারপাশে বাঁধ নির্মাণ করে সেখানে রোহিঙ্গাদের জন্যে একটি বসতি গড়ে তোলা হচ্ছে।লাগানো হয়েছে নারকেল সুপারিসহ বহু গাছপালাও। এসব অবকাঠামো নির্মাণে উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন আহমেদ মুক্তা।তিনি জানান, ভাসানচরের এই প্রকল্পটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। প্রকল্পে যত রাস্তা ও অবকাঠামো আছে সেগুলোর নির্মাণ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।নকশা অনুযায়ী ১ হাজার ৪৪০টি ঘর বানানো হয়েছে, যার প্রতিটি ঘরে ১৬টা করে পরিবারের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।প্রতিটা পরিবারে যদি ৪ জন করে সদস্য হয় তাহলে তাদের আলাদা একটা কক্ষ দেয়া হবে এবং তাদের জন্য আলাদা রান্নাবান্না ও টয়লেটের সুবিধাও রাখা হয়েছে।বন্যা বা জলোচ্ছ্বাসের পানি ঠেকাতে বাড়িগুলো মাটি থেকে চার ফুট উঁচু করে বানানো হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন । সব মিলিয়ে ঘরগুলোর কাজ প্রায় ৮৫% শেষ হয়েছে বলে তিনি জানান।আহমেদ মুক্তা আশা করেন, ‘তাদের [প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্টদের] সময়সীমা বেধে দেয়া হয়েছে, তার আগেই মানে এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই পুরো প্রকল্পের শতভাগ কাজ শেষ হয়ে যাবে।’পরিবেশবান্ধব প্রকল্প
এই প্রকল্পটির আরেকটি লক্ষ্যণীয় বিষয় হল এখানে সব ধরণের সেবা দেয়া হচ্ছে পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে। যেমন এখানে মানুষের উচ্ছিষ্ট থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদন ও ব্যবহারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেই গ্যাস দিয়েই চলবে রান্নাবান্না। এছাড়া বিদ্যুতের জন্য সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে।

প্রতিটি স্থানে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের জন্য তিনটি বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেগুলো হলো- ভূমি থেকে ৭২০ ফুট গভীর থেকে পানি উত্তোলন, বৃষ্টির পানি ধরে রাখা এবং পর্যাপ্ত পুকুর।আহমেদ মুক্তা বলেন, ‘প্রত্যেক বাড়ির টিন থেকে পড়া বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করা হবে যেন মানুষ তাদের দৈনন্দিন কাজে সেই পানি ব্যবহার করতে পারে। এছাড়া প্রতিটা ক্লাস্টারে ১২০টা পুকুর তৈরি করা হয়েছে।’দুর্যোগ মোকাবিলায় কী করা হয়েছে?
তবে রোহিঙ্গাসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার মনে বড় ধরণের আশঙ্কা রয়েছে যে এই অঞ্চলটিতে বড় ধরনের ঘূর্ণিঝড় বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।এ ব্যাপারে আহমেদ মুক্তা বলেন, যে কোনো দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি থেকে মানুষকে রক্ষায় ১২০টি সাইক্লোন সেন্টার বানানো হয়েছে। এগুলোর একেকটি চার তলা ভবন।যার নিচতলা পুরো খালি থাকবে এবং প্রতিটি শিবিরে ১ হাজার মানুষ জরুরি অবস্থায় আশ্রয় নিতে পারবে।তা ছাড়া আশ্রয় কেন্দ্রগুলোও ভূমি থেকে ৪ ফুট উঁচু করে বানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে ভূমি থেকে ভবনটির নিচতলার ছাদ ১৪ ফুট ওপরে। অর্থাৎ যদি কোনো জলোচ্ছ্বাস ১৪ ফুটের ওপরে না আসে তা হলে কেউই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।জলোচ্ছ্বাস বা জোয়ারের সময় আগে ভাসানচরের অনেকাংশই ডুবে যেতো। সেটা থেকে পরিত্রাণেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান তিনি।আহমেদ মুক্তা বলেন, ‘এই প্রকল্পটি শুরু করার আগে ভাসানচর বড় ঢেউ বা বন্যায় দুই থেকে তিন ফুট পানির নিচে চলে যেতো। কিন্তু এখন এমনটা হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। কেননা এ প্রকল্পের আওতায় ১৩ ফুট দীর্ঘ, ৯ ফুটের এমব্যাঙ্কমেন্ট বানানো হয়েছে বা পাড় বাঁধানো হয়েছে। যে অঞ্চলে এই মানুষগুলোর পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে সেখানে তাই পানি প্রবেশের কোন সুযোগ নেই।’

শিক্ষা, চিকিৎসা ও নিরাপত্তা
এ ছাড়া এতগুলো মানুষের শিক্ষা, চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সার্বিক সেবা সরবরাহের কথাও তিনি জানান।মূলত, যে ১২০টি সাইক্লোন সেন্টার বানানো হয়েছে তার মধ্যে কয়েকটি বিকল্প কাজে ব্যবহারযোগ্য সাইক্লোন সেন্টার আছে।এই সেন্টারগুলো বাড়তি সেবার জন্য যেমন, প্রশাসন, পুলিশ, হাসপাতাল, কমিউনিটি ক্লিনিক, স্কুল, কলেজ ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে।কবে নাগাদ স্থানান্তর করা হবে
কবে নাগাদ এবং কতজন রোহিঙ্গাদের ভাসানচরের এই প্রকল্পে স্থানান্তর করা হবে, সে বিষয়ে আহমেদ মুক্তা বলেন, ‘আমরা যে নির্দেশনা পেয়েছি যে তাদের খুব শিগগিরই সেখানে নেয়া হবে। তার জন্য আমাদের দিক থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি প্রায় শেষের পর্যায়ে আছে। এ ছাড়া নেভির [নৌবাহিনী] একটি ধারণা অনুযায়ী প্রতিদিন ৫০০জন করে রোহিঙ্গাকে ধাপে ধাপে এখানে আনা হবে।’কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, ‘তাদের কক্সবাজার-চট্টগ্রাম-ভাসানচর এই রুটে আনা হবে। তাই একসঙ্গে সবাইকে স্থানান্তর সম্ভব না। তাই বলা যেতে পারে যে এক লাখ রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করতে দুই থেকে ৩ মাস সময় লেগে যেতে পারে।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার ওপর আরও চাপ প্রয়োগের আহ্বান জেলেনস্কির

রোহিঙ্গা সংকট : ভাসানচরে কী কী ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে ?

আপডেট সময় : ০১:০৩:০৮ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০১৯

নিউজ ডেস্ক:

কর্মকর্তারা বলছেন, রোহিঙ্গাদের নোয়াখালীর ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষ হওয়ার পথে।তারা আশা করছেন, আগামী দেড় মাসের মধ্যে সেখানে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, আশ্রয় কেন্দ্রসহ সব ধরনের অবকাঠামোর নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে যাবে।

বঙ্গোপসাগরে ১৩ হাজার একরের এই দ্বীপটির ৩ হাজার একর জায়গার চারপাশে বাঁধ নির্মাণ করে সেখানে রোহিঙ্গাদের জন্যে একটি বসতি গড়ে তোলা হচ্ছে।লাগানো হয়েছে নারকেল সুপারিসহ বহু গাছপালাও। এসব অবকাঠামো নির্মাণে উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন আহমেদ মুক্তা।তিনি জানান, ভাসানচরের এই প্রকল্পটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। প্রকল্পে যত রাস্তা ও অবকাঠামো আছে সেগুলোর নির্মাণ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।নকশা অনুযায়ী ১ হাজার ৪৪০টি ঘর বানানো হয়েছে, যার প্রতিটি ঘরে ১৬টা করে পরিবারের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।প্রতিটা পরিবারে যদি ৪ জন করে সদস্য হয় তাহলে তাদের আলাদা একটা কক্ষ দেয়া হবে এবং তাদের জন্য আলাদা রান্নাবান্না ও টয়লেটের সুবিধাও রাখা হয়েছে।বন্যা বা জলোচ্ছ্বাসের পানি ঠেকাতে বাড়িগুলো মাটি থেকে চার ফুট উঁচু করে বানানো হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন । সব মিলিয়ে ঘরগুলোর কাজ প্রায় ৮৫% শেষ হয়েছে বলে তিনি জানান।আহমেদ মুক্তা আশা করেন, ‘তাদের [প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্টদের] সময়সীমা বেধে দেয়া হয়েছে, তার আগেই মানে এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই পুরো প্রকল্পের শতভাগ কাজ শেষ হয়ে যাবে।’পরিবেশবান্ধব প্রকল্প
এই প্রকল্পটির আরেকটি লক্ষ্যণীয় বিষয় হল এখানে সব ধরণের সেবা দেয়া হচ্ছে পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে। যেমন এখানে মানুষের উচ্ছিষ্ট থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদন ও ব্যবহারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেই গ্যাস দিয়েই চলবে রান্নাবান্না। এছাড়া বিদ্যুতের জন্য সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে।

প্রতিটি স্থানে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের জন্য তিনটি বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেগুলো হলো- ভূমি থেকে ৭২০ ফুট গভীর থেকে পানি উত্তোলন, বৃষ্টির পানি ধরে রাখা এবং পর্যাপ্ত পুকুর।আহমেদ মুক্তা বলেন, ‘প্রত্যেক বাড়ির টিন থেকে পড়া বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করা হবে যেন মানুষ তাদের দৈনন্দিন কাজে সেই পানি ব্যবহার করতে পারে। এছাড়া প্রতিটা ক্লাস্টারে ১২০টা পুকুর তৈরি করা হয়েছে।’দুর্যোগ মোকাবিলায় কী করা হয়েছে?
তবে রোহিঙ্গাসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার মনে বড় ধরণের আশঙ্কা রয়েছে যে এই অঞ্চলটিতে বড় ধরনের ঘূর্ণিঝড় বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।এ ব্যাপারে আহমেদ মুক্তা বলেন, যে কোনো দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি থেকে মানুষকে রক্ষায় ১২০টি সাইক্লোন সেন্টার বানানো হয়েছে। এগুলোর একেকটি চার তলা ভবন।যার নিচতলা পুরো খালি থাকবে এবং প্রতিটি শিবিরে ১ হাজার মানুষ জরুরি অবস্থায় আশ্রয় নিতে পারবে।তা ছাড়া আশ্রয় কেন্দ্রগুলোও ভূমি থেকে ৪ ফুট উঁচু করে বানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে ভূমি থেকে ভবনটির নিচতলার ছাদ ১৪ ফুট ওপরে। অর্থাৎ যদি কোনো জলোচ্ছ্বাস ১৪ ফুটের ওপরে না আসে তা হলে কেউই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।জলোচ্ছ্বাস বা জোয়ারের সময় আগে ভাসানচরের অনেকাংশই ডুবে যেতো। সেটা থেকে পরিত্রাণেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান তিনি।আহমেদ মুক্তা বলেন, ‘এই প্রকল্পটি শুরু করার আগে ভাসানচর বড় ঢেউ বা বন্যায় দুই থেকে তিন ফুট পানির নিচে চলে যেতো। কিন্তু এখন এমনটা হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। কেননা এ প্রকল্পের আওতায় ১৩ ফুট দীর্ঘ, ৯ ফুটের এমব্যাঙ্কমেন্ট বানানো হয়েছে বা পাড় বাঁধানো হয়েছে। যে অঞ্চলে এই মানুষগুলোর পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে সেখানে তাই পানি প্রবেশের কোন সুযোগ নেই।’

শিক্ষা, চিকিৎসা ও নিরাপত্তা
এ ছাড়া এতগুলো মানুষের শিক্ষা, চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সার্বিক সেবা সরবরাহের কথাও তিনি জানান।মূলত, যে ১২০টি সাইক্লোন সেন্টার বানানো হয়েছে তার মধ্যে কয়েকটি বিকল্প কাজে ব্যবহারযোগ্য সাইক্লোন সেন্টার আছে।এই সেন্টারগুলো বাড়তি সেবার জন্য যেমন, প্রশাসন, পুলিশ, হাসপাতাল, কমিউনিটি ক্লিনিক, স্কুল, কলেজ ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে।কবে নাগাদ স্থানান্তর করা হবে
কবে নাগাদ এবং কতজন রোহিঙ্গাদের ভাসানচরের এই প্রকল্পে স্থানান্তর করা হবে, সে বিষয়ে আহমেদ মুক্তা বলেন, ‘আমরা যে নির্দেশনা পেয়েছি যে তাদের খুব শিগগিরই সেখানে নেয়া হবে। তার জন্য আমাদের দিক থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি প্রায় শেষের পর্যায়ে আছে। এ ছাড়া নেভির [নৌবাহিনী] একটি ধারণা অনুযায়ী প্রতিদিন ৫০০জন করে রোহিঙ্গাকে ধাপে ধাপে এখানে আনা হবে।’কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, ‘তাদের কক্সবাজার-চট্টগ্রাম-ভাসানচর এই রুটে আনা হবে। তাই একসঙ্গে সবাইকে স্থানান্তর সম্ভব না। তাই বলা যেতে পারে যে এক লাখ রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করতে দুই থেকে ৩ মাস সময় লেগে যেতে পারে।’