শিরোনাম :
Logo বীরগঞ্জে ৪টি ইউনিয়ন বাল্যবিবাহ ও ১টি ইউনিয়ন শিশু শ্রম মুক্ত ঘোষণা Logo ৭৮ তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে চাঁদপুর এলজিইডির অবহিতকরন সভা Logo পিয়াস আফ্রিদির উদ্যোগে চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব অফিসিয়াল ফ্যান ক্লাবের পথচলা Logo প্রান্তিক মানুষের আস্থার নাম সরাইলকান্দি কমিউনিটি ক্লিনিক Logo ইবিতে সিরাতুন নবি (সা.) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী Logo ইবি ক্যাম্পাসে তালিকাভুক্ত নয় এমন  সংগঠনের সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা Logo সুন্দরবনের বিনা পাশে প্রবেশ করায় তিন জেলা কটক  Logo খুবি রিসার্চ সোসাইটির নতুন নেতৃত্বে বকসী-গৌর Logo চাঁদপুরে কল্যাণ ট্রাস্টের চেক পেয়েছেন ১৯ সাংবাদিক Logo কাল চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ

দাফনের আট মাস পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১০:৫৫:০২ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
  • ৭৫২ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুরে আপোষ-মিমাংসার টাকা না পেয়ে আদালতে মামলার ঘটনা

নিউজ ডেস্ক:প্রতিবেশির সজনে গাছের ডাঁটা পাড়তে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত কামরুলের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশক্রমে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুল ইসলামের উপস্থিতিতে রাজনগর মল্লিকপাড়া কবরস্থান থেকে কামরুলের লাশ উত্তোলন করা হয়।
জানা যায়, গত বছরের ৪ঠা এপ্রিল প্রতিবেশী শামসুল কশাইয়ের স্ত্রী হাসিনা খাতুন তার সজনে গাছের ডাঁটাপাড়ার জন্য কামরুলকে গাছে তুলে দেয়। ডাল কাটতে গিয়ে পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পল্লী বিদ্যুতের তারের উপর ডাল পড়লে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় কামরুল। নিহত কামরুলের পরিবারের লোকজন হত্যার আপত্তি তুললে সামাজিকভাবে আপোষ মীমাংসা মামলা না করার শর্তে দেড় লাখ টাকা দিতে রাজি হয় শামসুল কশাই। তাৎক্ষনিক নগদ ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করে দশ দিনের সময় নিয়ে বাকী টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতিতে থানায় অবহিত করে ময়না তদন্ত ছাড়াই গ্রাম্য কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়। পরবর্তীতে শামসুল কশাই বাকী টাকা দিতে গড়িমসি করতে থাকলে নিহত কামরুলের পিতা আজিবার বাদী হয়ে মেহেরপুর জেলা আদালতে শামসুল কশাইয়ের ছেলে হাবিল, শামসুল কশাই ও তার স্ত্রী হাসিনা খাতুনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ প্রসঙ্গে মেহেরপুর জেলার সিআইডি ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক হাসান ইমাম বলেন, ‘প্রতিবেশীর গাছের সজনের ডাঁটা পাড়তে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত কামরুলের মামলা সিআইডির কাছে আসে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নজরুল দেখেন লাশের ময়না তদন্ত করা হয়নি। পরবর্তীতে তার আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশক্রমে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করে হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।’
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশক্রমে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের আদেশে মামলা তদন্তের স্বার্থে লাশ উত্তোলন করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মামলার পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।’
এ সময় সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বারাদী ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই আব্বাস আলী ও এএসআই কামরুল উপস্থিত ছিলেন। নিহত কামরুল মেহেরপুর সদরের রাজনগর বেলেপাড়ার দিনমজুর আজিবারের বড় ছেলে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বীরগঞ্জে ৪টি ইউনিয়ন বাল্যবিবাহ ও ১টি ইউনিয়ন শিশু শ্রম মুক্ত ঘোষণা

দাফনের আট মাস পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন

আপডেট সময় : ১০:৫৫:০২ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

মেহেরপুরে আপোষ-মিমাংসার টাকা না পেয়ে আদালতে মামলার ঘটনা

নিউজ ডেস্ক:প্রতিবেশির সজনে গাছের ডাঁটা পাড়তে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত কামরুলের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশক্রমে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুল ইসলামের উপস্থিতিতে রাজনগর মল্লিকপাড়া কবরস্থান থেকে কামরুলের লাশ উত্তোলন করা হয়।
জানা যায়, গত বছরের ৪ঠা এপ্রিল প্রতিবেশী শামসুল কশাইয়ের স্ত্রী হাসিনা খাতুন তার সজনে গাছের ডাঁটাপাড়ার জন্য কামরুলকে গাছে তুলে দেয়। ডাল কাটতে গিয়ে পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পল্লী বিদ্যুতের তারের উপর ডাল পড়লে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় কামরুল। নিহত কামরুলের পরিবারের লোকজন হত্যার আপত্তি তুললে সামাজিকভাবে আপোষ মীমাংসা মামলা না করার শর্তে দেড় লাখ টাকা দিতে রাজি হয় শামসুল কশাই। তাৎক্ষনিক নগদ ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করে দশ দিনের সময় নিয়ে বাকী টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতিতে থানায় অবহিত করে ময়না তদন্ত ছাড়াই গ্রাম্য কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়। পরবর্তীতে শামসুল কশাই বাকী টাকা দিতে গড়িমসি করতে থাকলে নিহত কামরুলের পিতা আজিবার বাদী হয়ে মেহেরপুর জেলা আদালতে শামসুল কশাইয়ের ছেলে হাবিল, শামসুল কশাই ও তার স্ত্রী হাসিনা খাতুনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ প্রসঙ্গে মেহেরপুর জেলার সিআইডি ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক হাসান ইমাম বলেন, ‘প্রতিবেশীর গাছের সজনের ডাঁটা পাড়তে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত কামরুলের মামলা সিআইডির কাছে আসে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নজরুল দেখেন লাশের ময়না তদন্ত করা হয়নি। পরবর্তীতে তার আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশক্রমে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করে হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।’
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশক্রমে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের আদেশে মামলা তদন্তের স্বার্থে লাশ উত্তোলন করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মামলার পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।’
এ সময় সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বারাদী ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই আব্বাস আলী ও এএসআই কামরুল উপস্থিত ছিলেন। নিহত কামরুল মেহেরপুর সদরের রাজনগর বেলেপাড়ার দিনমজুর আজিবারের বড় ছেলে।