চুয়াডাঙ্গায় ফেসবুক স্ট্যাটাসে মন্তব্য প্রকাশ : স্কুল-কলেজ পড়–য়া দুটি গ্রুপের দ্বন্দ্ব
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা শহরে বেপরোয়া হয়েছে উঠেছে স্কুল-কলেজ পড়–য়া কিছু ছাত্র। ছোটখাটো বিষয় নিয়ে তারা তৈরি করছে গ্রুপিং। অমুক ভাইয়ের লোক, তমুক ভাইয়ের লোক পরিচয়ে এই সব ছাত্ররা শহরজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ছোট ছোট অপরাধ করতেও ভয় করছে না। নিজেকে একজন ছাত্র পরিচয়ের চেয়ে, কোন রাজনৈতিক দলের নেতা বা কর্মি পরিচয় দিতে এরা বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করছে। এর প্রমাণ হিসেবে বলা যেতে পারে, ফেসবুক স্ট্যাটাসে নিজের মন্তব্য প্রকাশ করায় হামলার শিকার হয়ে আল রাফি নামের এক স্কুলছাত্রের জখম ও একই ঘটনার সংবাদ সংগ্রহকালে বখাটেদের হাতে শারীরিকভাবে স্থানীয় পত্রিকার এক সংবাদকর্মী লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনা। গতকাল বুধবার রাত ৭টার দিকে প্রথমে চুয়াডাঙ্গা ভিজে স্কুলের সামনে স্কুলছাত্রকে পিটিয়ে জখম ও পরে রাত সাড়ে ৭টার দিকে সদর হাসপাতাল চত্বরে সংবাদকর্মীকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে স্কুল-কলেজ পড়–য়া বখাটের দল।
আহত আল রাফি জানায়, গত কয়েকদিন আগে শীতল নামের এক যুবক ফেসবুকে একটি ছবি ছাড়ে। এই ছবিতে আমি একটি মন্তব্য প্রকাশ করি। এতে বুধবার বিকালে শীতল আমাকে ফোন করে চুয়াডাঙ্গা ভি জে স্কুলের সামনে মিষ্টি মুখের ছাদের উপরে আসতে বলে। পরে আমি ওখানে গেলে শীতল, সন্ধি, সিয়াম ও শিশিরসহ কয়েকজন বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে জখম করে আমাকে। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এদিকে, এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে স্থানীয় পত্রিকার সংবাদকর্মী মুন্না রহমানকে লাঞ্চিত করেন চুয়াডাঙ্গা বাগানপাড়ার মুমিনুলের ছেলে লিওন। সাংবাদিক মুন্না রহমান বলেন, এ ঘটনার পরই আমি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে আহত রাফির প্রতিপক্ষ লিওন এসে আমাকে হুমকি-ধামকি প্রদান করে নিউজ প্রকাশ না করার জন্য। এতে এক পর্যায়ে আমাকে লাঞ্চিত করে লিওন নামের এক যুবক।