শিরোনাম :
Logo কয়রায় নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে অবৈধভাবে জেলি পুশ করে ওজন বৃদ্ধি করা চিংড়ি আটক Logo প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্ষমতা আরও বাড়লো Logo ট্রাম্পের জীবনের আক্ষেপ ছিলেন প্রিন্সেস ডায়ানা, করতে চেয়েছিলেন বিয়ে Logo ‘চব্বিশের যোদ্ধারা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ফ্যাসিস্ট আর দাঁড়াতে পারবে না’ Logo ইবির বাসচাপায় নিহত পুলিশ সদস্য Logo ইবিতে সেশনজট নিরসনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo জনগণ কোনো চাঁদাবাজ-দুর্নীতিবাজকে সংসদে পাঠাবে না: ফয়জুল করীম Logo অনেক প্রতিষ্ঠান নাগরিকের তথ্য রেখে দেয়, এতে নির্বাচন প্রভাবিত হতে পারে Logo যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক চুক্তি চূড়ান্ত করতে বাংলাদেশের আলোচনা Logo ইবিতে বাংলার লোকজ অলংকার প্রদর্শনী: ঐতিহ্যের ঝলক

১২৬ ছাত্র আটক : অভিভাবকের মুচলেকায় মুক্তি

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ০১:০৯:০৩ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০১৯
  • ৭৪২ বার পড়া হয়েছে

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চুয়াডাঙ্গা জেলাজুড়ে পুলিশের বিশেষ অভিযান

নিউজ ডেস্ক:সন্ধ্যার পর যত্রতত্র ঘোরফেরা, সন্দেহজনক বিচরণ, চা দোকানে আড্ডা, ছাত্রদের ঘরমুখি হতে চুয়াডাঙ্গার চার থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ১২৬ জন স্কুল-কলেজপড়–য়া ছাত্র আটকের খবর পাওয়া যায়। শেষ পর্যন্ত তাদের মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকদের জিম্মায় মুক্তি দেয়া হয়েছে। একই সময়ে এতগুলো ছাত্র আটকের ঘটনায় অভিভাবকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই এতে পুলিশকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, সন্ধ্যার পর ছাত্রদের বাড়ির বাইরে আড্ডা দেওয়া একেবারেই অনুচিৎ। আবার কেউ কেউ অভিযোগের সুরে বলেছেন, কোন কোন স্কুলে রাতে কোচিংয়ের ব্যবস্থা রাখায় শিক্ষার্থীদের বাড়ির বাইরে আসতে হয়। তারা বলেন, স্কুলটিতে রাতের কোচিং বন্ধ করারও ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক জানিয়েছে, সন্ধ্যার পর শহরের এখানে-ওখানে বিক্ষিপ্তভাবে ঘুরে বেড়ানো, চা দোকানে আড্ডা দেওয়া, সন্দেহজনক ঘোরফেরার অভিযোগে ১৭ জন স্কুল-কলেজপড়ুয়া ছাত্র ও যুবককে আটক করেছে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদেরকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়া হয়। পরবর্তীতে তাদের মুচলেকা দিয়ে অভিভাবকদের জিম্মায় মুক্তি দেয়া হয়। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আব্দুল খালেক জানান, সন্ধ্যার পর শহরের মধ্যে বিক্ষিপ্তভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃতদের অধিকাংশই বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্র। এ কারণে তাদের অভিভাবকদের ডেকে এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি না করার শর্তে মুচলেকা নিয়ে মুক্তি দেয়া হয়। আমাদের আলমডাঙ্গা অফিস জানিয়েছে, বিশেষ অভিযানে আলমডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকা থেকে স্কুল-কলেজপড়ুয়া ৫৯ জন ছাত্রকে ধরে থানায় নিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে পুলিশ আটকাভিযান শুরু করে আলমডাঙ্গা পৌর শহরে। আটক শুরুর পর থেকে রাত ৯টার ভেতরে একে একে আটকের সংখ্যা গিয়ে দাড়ায় ৫৯ জনে। আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবকরা থানা চত্ত্বরে এসে ভীড় করতে থাকেন। এক সময় আটক ৫৯ জনের বিপরীতে থানা চত্ত্বরে তাদের অভিভাবকের সংখ্যা দ্বিগুনেরও বেশী হয়ে যায়।থানার অফিসার ইনচার্জ মুন্সী আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, সন্ধ্যার পর ছাত্রদের পড়ার টেবিলে থাকার কথা। রাতে তাদের চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দেওয়ার কথা না। তিনি বলেন, স্কুলপড়ুয়া ছাত্ররা রাতের বেলা চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দেওয়া, এখানে-ওখানে উদ্দ্যেশ্যবিহীন ঘুরে বেড়ানো এটা একটি সামাজিক অবক্ষয়। এ ব্যাপারে অভিভাবকদেরও সচেতন হতে বলেন তিনি।আমাদের জীবননগর অফিস জানিয়েছে, জীবননগর থানা পুলিশের সচেতনামূলক ঝটিকা অভিযানে ১৭ জন ছাত্র আটক হয়েছে। পরে অভিভাবকের মুচলেকায় মুক্তি দেয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গনি মিয়ার নির্দেশে জীবননগর থানার উপপরিদর্শক নাহিরুল ইসলাম, সিরাজুল আলম, মুরাদসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে জীবননগর পৌর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সন্ধ্যার পর বিভিন্ন চায়ের দোকানে আড্ডা দেয়ায় পৌর এলাকার ১৭ জন স্কুল-কলেজের ছাত্রকে আটক করে। পরে অভিভাবকদের থানায় ডেকে তাদের সন্তানরা সন্ধ্যার পর কোন দোকানে আড্ডা না দেয়, সে মর্মে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। পুলিশের এ অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সূধীসহ সচেতন অভিভাবকগণ।আমাদের দামুড়হুদা অফিস জানিয়েছে, যত্রতত্র ঘোরফেরা, সন্দেহজনক বিচরণ ও স্কুল-কলেজ ছাত্রদের সন্ধ্যার পর ঘরমুখি হতে দামুড়হুদা থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৩৩ জনকে আটক করা হয়। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত থানাধীন বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। পরে আটককৃতদের অভিভাবকদের ডেকে মুচলেকা নিয়ে মুক্তি দেয়া হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দামুড়হুদা থানার ডিউটি অফিসার এএসআই মাসুদ রানা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কয়রায় নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে অবৈধভাবে জেলি পুশ করে ওজন বৃদ্ধি করা চিংড়ি আটক

১২৬ ছাত্র আটক : অভিভাবকের মুচলেকায় মুক্তি

আপডেট সময় : ০১:০৯:০৩ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০১৯

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চুয়াডাঙ্গা জেলাজুড়ে পুলিশের বিশেষ অভিযান

নিউজ ডেস্ক:সন্ধ্যার পর যত্রতত্র ঘোরফেরা, সন্দেহজনক বিচরণ, চা দোকানে আড্ডা, ছাত্রদের ঘরমুখি হতে চুয়াডাঙ্গার চার থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ১২৬ জন স্কুল-কলেজপড়–য়া ছাত্র আটকের খবর পাওয়া যায়। শেষ পর্যন্ত তাদের মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকদের জিম্মায় মুক্তি দেয়া হয়েছে। একই সময়ে এতগুলো ছাত্র আটকের ঘটনায় অভিভাবকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই এতে পুলিশকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, সন্ধ্যার পর ছাত্রদের বাড়ির বাইরে আড্ডা দেওয়া একেবারেই অনুচিৎ। আবার কেউ কেউ অভিযোগের সুরে বলেছেন, কোন কোন স্কুলে রাতে কোচিংয়ের ব্যবস্থা রাখায় শিক্ষার্থীদের বাড়ির বাইরে আসতে হয়। তারা বলেন, স্কুলটিতে রাতের কোচিং বন্ধ করারও ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক জানিয়েছে, সন্ধ্যার পর শহরের এখানে-ওখানে বিক্ষিপ্তভাবে ঘুরে বেড়ানো, চা দোকানে আড্ডা দেওয়া, সন্দেহজনক ঘোরফেরার অভিযোগে ১৭ জন স্কুল-কলেজপড়ুয়া ছাত্র ও যুবককে আটক করেছে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদেরকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়া হয়। পরবর্তীতে তাদের মুচলেকা দিয়ে অভিভাবকদের জিম্মায় মুক্তি দেয়া হয়। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আব্দুল খালেক জানান, সন্ধ্যার পর শহরের মধ্যে বিক্ষিপ্তভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃতদের অধিকাংশই বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্র। এ কারণে তাদের অভিভাবকদের ডেকে এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি না করার শর্তে মুচলেকা নিয়ে মুক্তি দেয়া হয়। আমাদের আলমডাঙ্গা অফিস জানিয়েছে, বিশেষ অভিযানে আলমডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকা থেকে স্কুল-কলেজপড়ুয়া ৫৯ জন ছাত্রকে ধরে থানায় নিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে পুলিশ আটকাভিযান শুরু করে আলমডাঙ্গা পৌর শহরে। আটক শুরুর পর থেকে রাত ৯টার ভেতরে একে একে আটকের সংখ্যা গিয়ে দাড়ায় ৫৯ জনে। আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবকরা থানা চত্ত্বরে এসে ভীড় করতে থাকেন। এক সময় আটক ৫৯ জনের বিপরীতে থানা চত্ত্বরে তাদের অভিভাবকের সংখ্যা দ্বিগুনেরও বেশী হয়ে যায়।থানার অফিসার ইনচার্জ মুন্সী আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, সন্ধ্যার পর ছাত্রদের পড়ার টেবিলে থাকার কথা। রাতে তাদের চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দেওয়ার কথা না। তিনি বলেন, স্কুলপড়ুয়া ছাত্ররা রাতের বেলা চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দেওয়া, এখানে-ওখানে উদ্দ্যেশ্যবিহীন ঘুরে বেড়ানো এটা একটি সামাজিক অবক্ষয়। এ ব্যাপারে অভিভাবকদেরও সচেতন হতে বলেন তিনি।আমাদের জীবননগর অফিস জানিয়েছে, জীবননগর থানা পুলিশের সচেতনামূলক ঝটিকা অভিযানে ১৭ জন ছাত্র আটক হয়েছে। পরে অভিভাবকের মুচলেকায় মুক্তি দেয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গনি মিয়ার নির্দেশে জীবননগর থানার উপপরিদর্শক নাহিরুল ইসলাম, সিরাজুল আলম, মুরাদসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে জীবননগর পৌর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সন্ধ্যার পর বিভিন্ন চায়ের দোকানে আড্ডা দেয়ায় পৌর এলাকার ১৭ জন স্কুল-কলেজের ছাত্রকে আটক করে। পরে অভিভাবকদের থানায় ডেকে তাদের সন্তানরা সন্ধ্যার পর কোন দোকানে আড্ডা না দেয়, সে মর্মে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। পুলিশের এ অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সূধীসহ সচেতন অভিভাবকগণ।আমাদের দামুড়হুদা অফিস জানিয়েছে, যত্রতত্র ঘোরফেরা, সন্দেহজনক বিচরণ ও স্কুল-কলেজ ছাত্রদের সন্ধ্যার পর ঘরমুখি হতে দামুড়হুদা থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৩৩ জনকে আটক করা হয়। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত থানাধীন বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। পরে আটককৃতদের অভিভাবকদের ডেকে মুচলেকা নিয়ে মুক্তি দেয়া হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দামুড়হুদা থানার ডিউটি অফিসার এএসআই মাসুদ রানা।