মাথাভাঙ্গা নদী না বাঁচলে এ অঞ্চলের মানুষ বাঁচবে না
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গায় পরিবেশ-প্রতিবেশ সুরক্ষায় মাথাভাঙ্গা নদীর গুরুত্ব এবং নদী সংরক্ষণে আমাদের করণীয় শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা ১১টায় শহরের মালোপাড়ায় ওয়েভ ফাউন্ডেশনের প্রশিক্ষণ সেন্টারে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি-বেলা’র আয়োজনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন-বা’পার সভাপতি চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আব্দুল মুহিত, ভিকুইন্স পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সি, চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শাহজাহান আলী বিশ্বাস, দৈনিক সময়ের সমীকরণ’র প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন, বেলা’র প্রকল্প সমন্বয়ক এ এম এম মামুন, বেলা’র খুলনা বিভাগীয় সমন্বকারি মাহফুজুর রহমান মুকুল, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক জহির রায়হান, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচি, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম সনি, যমুনা টিভির জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম ডালিম, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পিগোষ্ঠী চুয়াডাঙ্গা জেলা সংসদের সভাপতি এ্যাডভোকেট নওশের আলি,ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উপ-সমন্বয়কারী, শাহেদ জামাল, কামরুজ্জামান যুদ্ধ, পল্লী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ইলিয়াস হোসেন, রিসো’র সমন্বয়কারী দারুল ইসলাম, সাংবাদিক হানিফ মন্ডল। অনুষ্ঠানে মাথাভাঙ্গা নদীর ওপর পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ, চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কাজল মাহমুদ।অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, নদী রক্ষার সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করতে পারেন জনপ্রতিনিধি ও রাজিৈনতক নেতৃবৃন্দ। এক্ষেত্রে তাদের এগিয়ে আসতে হবে। মাথাভাঙ্গা নদী রক্ষার সচেতন সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে। তবেই আন্দোলনের সফলতা আসবে। মাথাভাঙ্গা নদী না বাঁচলে এ অঞ্চলের মানুষও বাঁচবে না। তাই মাথাভাঙ্গা নদীকে বাঁচাতে সকলকেই সহযোগিতা করতে হবে। দেশে যে কয়টি সীমান্ত নদী আছে মাথাভাঙ্গা নদী এর অন্যতম। নদীটি পদ্মা থেকে উৎপত্তি হয়ে কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার উপর দিয়ে প্রবোহিত হয়ে ভৈরব চিত্র ও নবগঙ্গার সাথে মিলিত হয়েছে। এই নদীর দৈর্ঘ্য ১২১ কিলোমিটার। পদ্মা নদী থেকে জলঙ্গী নদীর উৎপত্তি স্থলের প্রায় ১৭ কিলোমিটার ভাটিতে মাথাভাঙ্গার উৎপত্তি। চুয়াডাঙ্গা জেলায় মাথাভাঙ্গা নদী ঢুকেছে আলমডাঙ্গার হাটবোয়ালিয়া গ্রামের মধ্যে দিয়ে। এরপর চুয়াডাঙ্গা ও দামুড়হুদা হয়ে জয়নগর ুদিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে। এই অংশে ৫২ কিলোমিটার মাথাভাঙ্গা নদী রয়েছে। মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচলে জেলার কুমার নদ, ভাটুই নদী, নবগঙ্গা নদী, চিত্রা নদী ও ভৈরব নদ বাঁচবে এবং এই অঞ্চলের জীব বৈচিত্র সহ পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষা পাবে। বাঁচবে প্রকৃতি ও জীবন। সেমিনারে চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদী রক্ষার বাংলাদেশ অংশ খনন, বেদখলে থাকা নদীর জমি উদ্ধার, মাথাভাঙ্গা নদীতে শিল্প বর্জ্য ও পৌর এলাকার স্যুয়ারেজ বর্জ্য নিষ্কাশন বন্ধ, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচনী ইশতেহার ১নং অগ্রাধিকার হিসেবে মাথাভাঙ্গা নদী রক্ষায় সুস্পষ্ট ঘোষনার দাবী উত্থাপিত হয়। সেমিনারে ‘মাথাভাঙ্গা নদী রক্ষা আন্দোলন’ এর আত্মপ্রকাশসহ অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সীকে আহবায়ক, অধ্যাপক আব্দুল মুহিত, সাংবাদিক শাহ আলম সনি, জহির রায়হান ও শাহিন আক্তার মিলিকে সদস্য করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি অ্যাকশন কমিটি গঠন করা হয়। সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি, দৈনিক মাথাভাঙ্গার সম্পাদক ও প্রকাশক সরদার আল আমিন, সিপিবি-চুয়াডাঙ্গার সাধারণ সম্পাদক কমরেড লুৎফর রহমান, প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বিল্লাল হোসেন, জাতীয় শ্রমিক লীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি আফজালুল হক, ওয়েভ ফাউন্ডেশনে ট্রেনিং অঢিসার শেখ আসমা হেনা চুমকি, সততা সংঘের নির্বাহী পরিচালক এম. নুরুন্নবী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক লিটু বিশ্বাস, অরিন্দম-চুয়ডাঙ্গার নির্বাহী সদস্য মো, আলাউদ্দিন, আব্দুল ওদুদু শাহ ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মীজানুর রহমান ম-ল ও ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্রতিদিন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি জামান আখতার, ডিবিসি টিভি জেলা প্রতিনিধি জিসান আহমেদ, এনটিভির প্রতিনিধি এ্যাড. রফিকুল ইসলাম, একুশে টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি আতিয়ার রহমান, নডরডেম বিজ্ঞান ক্লাবের সদস্য সৌমিক দাস, কম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক কামরুজ্জামান, মৌচাক সমাজ উন্নয়ন সংস্থার শাখা ব্যবস্থাপক বুলবুল ইসলাম, আকাঙ্খার নির্বাহী পরিচালক শাহিন সুলতান মিলী, রামাযুস এর সভাপতি এম এ ফয়সাল, বেলা প্রতিনিধি হাছিনা আক্তার ও আজিজুর রহমান।