শিরোনাম :
Logo বাঁচতে চায় ক্যান্সারে আক্রান্ত নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী মশিউর Logo কচুয়ার পালাখাল মডেল ইউনিয়নে জামায়াতে ইসলামীর ঈদ পূনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভা Logo চাঁদপুরে ২০ হাজার আবাসিক গ্রাহকের গ্যাস সরবারহ বন্ধ Logo কয়রায় জেজেএস এর উদ্যোগে প্রকল্প অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত। Logo ‘জুলাই সনদ প্রণয়ন, সংস্কার ও বিচার দৃশ্যমানের পর নির্বাচন দিতে হবে’ Logo জিয়াউর রহমান ছিলেন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রনায়ক: রিজভী Logo সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা পোস্টারে নয়, নতুন বিধিমালা চূড়ান্ত Logo শিক্ষার্থীদের ৯ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনসংযোগ করছে রাবি সংস্কার আন্দোলন Logo কচুয়ায় দুই শিক্ষককে সংবর্ধনা ও পরীক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত Logo বিকাশে ভুল নম্বরে চলে যাওয়া ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করল এএসআই কামরুল ইসলাম

মেহেরপুর শহরে চাঞ্চল্যকর পৌরসভার প্যানেল মেয়র রিপন হত্যা মামলার রায়

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১১:১৬:১১ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  • ৭৩৫ বার পড়া হয়েছে

২ আসামি পলাতক : ৪ জনের যাবজ্জীবন জেল!
নিউজ ডেস্ক:মেহেরপুর শহরে চাঞ্চল্যকর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মিজানুর রহমান রিপন হত্যা মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন কারাদÐ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে মেহেরপুরের অতিরিক্ত দায়রা ও স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের ২য় আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম ওই আদেশ দেন। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই বছর করে কারাদÐ দেয়া হয়েছে। দÐপ্রাপ্তরা হলেন- গাংনী উপজেলার গাংনী থানাপাড়ার সেকেন্দার আলীর ছেলে মাসুদ রানা, গাংনী উপজেলার ওলিনগর গ্রামের আরশেদ আলীর ছেলে লাল্টু, মেহেরপুর শহরের গোরস্থানপাড়ার আমজাদ হোসেনের ছেলে রাশিদুল ইসলাম ওরফে আকালি এবং হোটেল বাজারপাড়ার ইসাহাক আলীর ছেলে আব্দুল হালিম। আদালতে আদেশ ঘোষণার সময় রাশিদুল ইসলাম আকালি ও আব্দুল হালিম উপস্থিত ছিলেন। বাকি দুই আসামি পলাতক রয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১১ সালের ১ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে মেহেরপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মিজানুর রহমান রিপন তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হোটেল বাজারে অবস্থিত রাজধানী শপিং সেন্টারে বসেছিলেন। ওই সময় অজ্ঞাতনামা কিছু সন্ত্রাসী মিজানুর রহমানকে হত্যার চেষ্টার উদ্দেশ্যে একটি বোমা নিক্ষেপ করে। এতে বোমাটি বিকট শব্দে বিষ্ফোরিত হয়ে মিজানুর রহমান রিপনের শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। এ সময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে থাকা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর কামরুজ্জামানসহ দোকানের দুই-তিনজন কর্মচারী আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত প্যানেল মেয়র রিপনের অবস্থার অবনতি হলে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল থেকে ওই রাতেই রাজধানীর একটি হাসপাতালে রিপনকে স্থানান্তর করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ৮ এপ্রিল তার মৃত্যু হয়। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাÐের ঘটনায় মিজানুর রহমান রিপনের পিতা আব্দুল হালিম বাদি হয়ে মেহেরপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু ও সাবেক প্রয়াত কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন বিপুলের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫/২০ জনকে আসামি করে হত্যা ও বিষ্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার কয়েক দফা তদন্ত শেষ করে পুলিশের এসআই সবুজ হোসেন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে আসামি পক্ষ থেকে অভিযোগপত্রের আপত্তি আবেদন করলে সিআইডিকে তদন্তভার দেয়া হয়। মামলায় ৩২ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কাজী শহিদুল হক এবং আসামি পক্ষে মনিরুজ্জামান আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন। এদিকে, মামলার রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে মিজানুর রহমান রিপনের ছোট ভাই মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন জানান, মামলার মূল আসামি সাবেক মেয়র মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতুকে ফাইনাল চার্জশিট থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। এটা আশা করেছিলামনা এর পাশাপাশি আসামিদের ফাঁসি কামনা করেছিলাম। আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাঁচতে চায় ক্যান্সারে আক্রান্ত নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী মশিউর

মেহেরপুর শহরে চাঞ্চল্যকর পৌরসভার প্যানেল মেয়র রিপন হত্যা মামলার রায়

আপডেট সময় : ১১:১৬:১১ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

২ আসামি পলাতক : ৪ জনের যাবজ্জীবন জেল!
নিউজ ডেস্ক:মেহেরপুর শহরে চাঞ্চল্যকর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মিজানুর রহমান রিপন হত্যা মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন কারাদÐ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে মেহেরপুরের অতিরিক্ত দায়রা ও স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের ২য় আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম ওই আদেশ দেন। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই বছর করে কারাদÐ দেয়া হয়েছে। দÐপ্রাপ্তরা হলেন- গাংনী উপজেলার গাংনী থানাপাড়ার সেকেন্দার আলীর ছেলে মাসুদ রানা, গাংনী উপজেলার ওলিনগর গ্রামের আরশেদ আলীর ছেলে লাল্টু, মেহেরপুর শহরের গোরস্থানপাড়ার আমজাদ হোসেনের ছেলে রাশিদুল ইসলাম ওরফে আকালি এবং হোটেল বাজারপাড়ার ইসাহাক আলীর ছেলে আব্দুল হালিম। আদালতে আদেশ ঘোষণার সময় রাশিদুল ইসলাম আকালি ও আব্দুল হালিম উপস্থিত ছিলেন। বাকি দুই আসামি পলাতক রয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১১ সালের ১ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে মেহেরপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মিজানুর রহমান রিপন তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হোটেল বাজারে অবস্থিত রাজধানী শপিং সেন্টারে বসেছিলেন। ওই সময় অজ্ঞাতনামা কিছু সন্ত্রাসী মিজানুর রহমানকে হত্যার চেষ্টার উদ্দেশ্যে একটি বোমা নিক্ষেপ করে। এতে বোমাটি বিকট শব্দে বিষ্ফোরিত হয়ে মিজানুর রহমান রিপনের শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। এ সময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে থাকা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর কামরুজ্জামানসহ দোকানের দুই-তিনজন কর্মচারী আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত প্যানেল মেয়র রিপনের অবস্থার অবনতি হলে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল থেকে ওই রাতেই রাজধানীর একটি হাসপাতালে রিপনকে স্থানান্তর করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ৮ এপ্রিল তার মৃত্যু হয়। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাÐের ঘটনায় মিজানুর রহমান রিপনের পিতা আব্দুল হালিম বাদি হয়ে মেহেরপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু ও সাবেক প্রয়াত কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন বিপুলের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫/২০ জনকে আসামি করে হত্যা ও বিষ্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার কয়েক দফা তদন্ত শেষ করে পুলিশের এসআই সবুজ হোসেন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে আসামি পক্ষ থেকে অভিযোগপত্রের আপত্তি আবেদন করলে সিআইডিকে তদন্তভার দেয়া হয়। মামলায় ৩২ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কাজী শহিদুল হক এবং আসামি পক্ষে মনিরুজ্জামান আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন। এদিকে, মামলার রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে মিজানুর রহমান রিপনের ছোট ভাই মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন জানান, মামলার মূল আসামি সাবেক মেয়র মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতুকে ফাইনাল চার্জশিট থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। এটা আশা করেছিলামনা এর পাশাপাশি আসামিদের ফাঁসি কামনা করেছিলাম। আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।