শিরোনাম :
Logo খুবিতে আন্তঃডিসিপ্লিন ফুটবল প্রতিযোগিতায় টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বাংলা Logo কয়রায় চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে পরিবারের সর্বস্ব লুট  Logo কচুয়ার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় মামুনুর রশীদ মোল্লাকে ফুলেল শুভেচ্ছা Logo ইকসু দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের ‘মার্চ ফর ইকসু’ Logo মৎস্যজীবীদের মুখে হাসি ফোটাতে কচুয়ায় উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনা মাছ অবমুক্তকরণ Logo কচুয়ার নন্দনপুরে ৩৩০ উপকারভোগীর মাঝে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ Logo পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের পানিতে বন্যার দুর্ভোগে অর্ধশত পরিবার। Logo সাতক্ষীরা পৌরসভা ৩ নাম্বার ওয়ার্ডে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন উদ্বোধন -মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসের আহ্বান Logo কচুয়ার সন্তান ইয়াসিন হোসেন ফেনী জেলার শ্রেষ্ঠ সার্ভেয়ার নির্বাচিত Logo হাতপাখা বিজয়ী হলে জনগনের বাজেটের  টাকা জনগণের উন্নয়নে খরচ হবে – মানসুর আহমদ সাকী

ফিলিস্তিনীদের রক্ষায় জাতিসংঘ মহাসচিবের চার প্রস্তাব !

  • আপডেট সময় : ০৪:৩৯:১৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৮ আগস্ট ২০১৮
  • ৭৫৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ইসরাইল অধিকৃত এলাকায় ফিলিস্তিনীদের রক্ষায় শুক্রবার চারটি প্রস্তাব পেশ করেছেন।
তার প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতিসংঘের অনুমোদনে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাটির নিরস্ত্র পর্যবেক্ষণকারীর পাশাপাশি ওই এলাকায় সেনা অথবা পুলিশ বাহিনী মোতায়েন।
গাজায় সাম্প্রতিক সময়ে সহিংসতা ব্যাপক বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রতিবেদন আকারে প্রস্তাবনাটি পেশ করা হয়।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
গাজায় মার্চ মাস থেকে ইসরাইলী সৈন্যদের গুলিতে ১৭১ ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব জোর দিয়ে বলেন, প্রতিটি প্রস্তাব বাস্তবায়নে ইসরাইল ও ফিলিস্তিন উভয়পক্ষের সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি।
ইসরাইল এই প্রস্তাবগুলো গ্রহণ করবে কিনা সে ব্যাপারে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
চৌদ্দ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে গুতেরেস যে চারটি প্রস্তাব দিয়েছেন সেগুলো হচ্ছে-
পরিস্থিতি সম্পর্কে খবর দেয়ার জন্য মানবাধিকার পর্যবেক্ষক ও রাজনৈতিক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ওই এলাকায় জাতিসংঘের জোরালো উপস্থিতি।
ফিলিস্তিনী জনগোষ্ঠীর কল্যান নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের মানবিক ও উন্নয়ন সহায়তা ব্যাপকভাবে বাড়ানো।
একটি বেসামরিক পর্যবেক্ষণ মিশন গঠন করা। এই মিশনের সদস্যরা চেকপয়েন্ট ও ইসরাইলী বসতির মতো স্পর্শকাতর স্থানগুলোর কাছে অবস্থান করবে।
সর্বশেষ প্রস্তাবে জাতিসংঘের অনুমোদনক্রমে ফিলিস্তিনী বেসামরিক মানুষদের রক্ষায় সেনা বা পুলিশ বাহিনী মোতায়েন।
গুতেরেসের এই প্রস্তাবনা পাশ করতে হলে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অনুমোদন প্রয়োজন। ইসরাইল এর বিরোধীতা করলে যুক্তরাষ্ট্র এতে ভেট দিতে পারে।
১৯৯৪ সালে ইউরোপীয় দেশগুলোর ছোট একটি প্রতিনিধি দলকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য পশ্চিম তীরের হেবরন নগরীতে মোতায়ন করা হয়। কিন্তু এরপর থেকে ইসরাইল ওই সব স্পর্শকাতর স্থানে আন্তর্জাতিক পর্যবক্ষেণকারীদের মোতায়েনের প্রস্তাবগুলো প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
প্রতিবেদনটিতে গুতেরেস বলেন, জাতিসংঘ ফিলিস্তিনীদের রক্ষায় ইতোমধ্যেই বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু এই পদক্ষেপগুলো যথেষ্ট নয়।
জুন মাসে সাধারণ পরিষদ বৈঠকের প্রস্তাবনায় সেখানকার পরিস্থিতির ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবিতে আন্তঃডিসিপ্লিন ফুটবল প্রতিযোগিতায় টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বাংলা

ফিলিস্তিনীদের রক্ষায় জাতিসংঘ মহাসচিবের চার প্রস্তাব !

আপডেট সময় : ০৪:৩৯:১৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৮ আগস্ট ২০১৮

নিউজ ডেস্ক:

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ইসরাইল অধিকৃত এলাকায় ফিলিস্তিনীদের রক্ষায় শুক্রবার চারটি প্রস্তাব পেশ করেছেন।
তার প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতিসংঘের অনুমোদনে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাটির নিরস্ত্র পর্যবেক্ষণকারীর পাশাপাশি ওই এলাকায় সেনা অথবা পুলিশ বাহিনী মোতায়েন।
গাজায় সাম্প্রতিক সময়ে সহিংসতা ব্যাপক বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রতিবেদন আকারে প্রস্তাবনাটি পেশ করা হয়।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
গাজায় মার্চ মাস থেকে ইসরাইলী সৈন্যদের গুলিতে ১৭১ ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব জোর দিয়ে বলেন, প্রতিটি প্রস্তাব বাস্তবায়নে ইসরাইল ও ফিলিস্তিন উভয়পক্ষের সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি।
ইসরাইল এই প্রস্তাবগুলো গ্রহণ করবে কিনা সে ব্যাপারে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
চৌদ্দ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে গুতেরেস যে চারটি প্রস্তাব দিয়েছেন সেগুলো হচ্ছে-
পরিস্থিতি সম্পর্কে খবর দেয়ার জন্য মানবাধিকার পর্যবেক্ষক ও রাজনৈতিক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ওই এলাকায় জাতিসংঘের জোরালো উপস্থিতি।
ফিলিস্তিনী জনগোষ্ঠীর কল্যান নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের মানবিক ও উন্নয়ন সহায়তা ব্যাপকভাবে বাড়ানো।
একটি বেসামরিক পর্যবেক্ষণ মিশন গঠন করা। এই মিশনের সদস্যরা চেকপয়েন্ট ও ইসরাইলী বসতির মতো স্পর্শকাতর স্থানগুলোর কাছে অবস্থান করবে।
সর্বশেষ প্রস্তাবে জাতিসংঘের অনুমোদনক্রমে ফিলিস্তিনী বেসামরিক মানুষদের রক্ষায় সেনা বা পুলিশ বাহিনী মোতায়েন।
গুতেরেসের এই প্রস্তাবনা পাশ করতে হলে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অনুমোদন প্রয়োজন। ইসরাইল এর বিরোধীতা করলে যুক্তরাষ্ট্র এতে ভেট দিতে পারে।
১৯৯৪ সালে ইউরোপীয় দেশগুলোর ছোট একটি প্রতিনিধি দলকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য পশ্চিম তীরের হেবরন নগরীতে মোতায়ন করা হয়। কিন্তু এরপর থেকে ইসরাইল ওই সব স্পর্শকাতর স্থানে আন্তর্জাতিক পর্যবক্ষেণকারীদের মোতায়েনের প্রস্তাবগুলো প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
প্রতিবেদনটিতে গুতেরেস বলেন, জাতিসংঘ ফিলিস্তিনীদের রক্ষায় ইতোমধ্যেই বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু এই পদক্ষেপগুলো যথেষ্ট নয়।
জুন মাসে সাধারণ পরিষদ বৈঠকের প্রস্তাবনায় সেখানকার পরিস্থিতির ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।