নিউজ ডেস্ক:
প্রতিষ্ঠানটি বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ এবং শেয়ার করছিল তারা।
ক্রিমসন হেক্সাগন নামে বোস্টনের ঐ প্রতিষ্ঠানটি নিজেদেরকে “গ্রাহকদের অন্তর্দৃষ্টি” অফার করে এবং তাদের বিশ্বের নানা দেশের সরকারী সংস্থার সাথে যোগাযোগ আছে বলে পরিচয় দিয়েছে।
ফেসবুক বলছে তারা এখন খতিয়ে দেখছে ক্রিমসন হেক্সাগন যেভাবে কাজ করে সেটা কোনভাবে ফেসবুকের নজরদারী বিষয়ক যে নীতিমালা রয়েছে সেটা লঙ্ঘন করছে কিনা।
ফেসবুক বলছে এখনো পর্যন্ত তারা এমন কোন আলামত পায়নি যেটা তে বলা যায় অযাচিত ভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
এদিকে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মতে ক্রিমসন হেক্সাগনের গ্রাহকদের মধ্যে রয়েছে রাশিয়ার অলাভজনক প্রতিষ্ঠান যাদের আবার সম্পর্ক রয়েছে ক্রেমলিন এবং মার্কিন সরকারের বিভিন্ন এজেন্সির সাথে।
তাদের জন্য মানুষের ফেসবুক তথ্য বিশ্লেষণ করে দেয় ক্রিমসন হেক্সাগন।
২০১৭ সালে মার্চে ফেসবুক তার ব্যবহারকারীদের তথ্য যেকোন দেশের সরকার যাতে নজরদারি না করে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।
সেসময় বিভিন্ন রাইটস গ্রুপ উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল এবং ফেসবুকের ওপর চাপ প্রয়োগ করেছিল এটা করতে, কারণ তারা মনে করেছিল এতে করে নানা ইস্যুতে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করা হবে।
ফেসবুকের একজন মুখপাত্র বলেছেন “আমরা ডেভেলপারদেরকে অনুমতি দেব না, যাতে করে তারা কোন ধরণের নজরদারী করে এমন যন্ত্র তৈরি করে ফেসবুক এবং ইন্সটাগ্রাম থেকে তথ্য ব্যবহার করে”।
তিনি আরো বলেছেন “আমরা এই অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি, এবং তদন্ত করার সময় আমরা ঐ অ্যাপটি বাতিল করেছি”।
এর আগে ফেসবুক ব্যবহারকারীদেরকে না জানিয়েই লাখ লাখ গ্রাহকের তথ্য নিজেদের বাণিজ্যিক প্রয়োজনে ব্যবহার করেছিল রাজনৈতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা।
তারা ৫০ মিলিয়ন গ্রাহকের তথ্য বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছে—এমন তথ্য ফাঁস হলে আলোড়ন শুরু হয়।
এরই প্রেক্ষিতে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ স্বীকার করেছিলেন তারা ‘ভুল করেছেন’। ফেসবুকে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ফেসবুক প্রধান।
কিন্তু গ্রাহকের অজ্ঞাতে বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশে তাদের তথ্য ব্যাবহার করার এই খবর রটে গেলে, ফেসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গকে ব্রিটিশ সংসদে তলব করা হয়।
ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ এ বিষয়ে তাদের ভুল হয়েছিল স্বীকার করেছেন এবং গ্রাহকদের তথ্য তৃতীয় পক্ষের হাতে চলে যাবার এই ঘটনাটিকে ‘গ্রাহকদের সাথে বিশ্বাসভঙ্গ’ করার সামিল বলে ফেসবুকে দেয়া বিবৃতিতে মন্তব্য করেছিলেন সেসময় ।