নজরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা রাসেল আহমেদ গৃহপালিত পশু-পাখি পালনের পাশাপাশি স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে প্রায় তিন বিঘা জমিতে পেঁপে আবাদ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূল ও ভাইরাস প্রতিরোধী জাত ব্যবহারের ফলে তার বাগানে ব্যাপক ফলন হয়েছে। এতে পরিবারে ফিরছে আর্থিক স্বচ্ছলতা, আর স্থানীয় কৃষকদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে ব্যাপক আগ্রহ।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাসেল আহমেদের বাগানে সারি সারি গাছে ঝুলছে থোকা থোকা দেশি শাহী জাতের পেঁপে। প্রতিদিন বাজারে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা এসে সরাসরি জমি থেকে পেঁপে কিনে নিচ্ছেন। বর্তমানে তিনি কাঁচা পেঁপে প্রতি মণ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা এবং পাকা পেঁপে কেজি প্রতি ৬০ টাকায় বিক্রি করছেন। খরচ বাদ দিয়ে প্রতি বিঘায় প্রায় দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত লাভ থাকছে বলে জানান তিনি।
রাসেল আহমেদ বলেন, আমার বাগানে প্রায় ৮’শ দেশীয় শাহী জাতের পেঁপে গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছ থেকে গড়ে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা আয় করা সম্ভব। সব মিলিয়ে প্রায় ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা বিক্রি হবে বলে আশা করছি।
তার সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে আশপাশের অনেক কৃষকও এখন পেঁপে চাষে ঝুঁকছেন। খোর্দ্দ শিয়ালকোল গ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা সায়েম জানান, “প্রতিবেশী রাসেলের সাফল্য দেখে আমিও এক বিঘা জমিতে পেঁপে আবাদ শুরু করেছি।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস. এম. নাসিম হোসেন বলেন, দেশীয় শাহী জাতের পেঁপে চাষে রাসেল আহমেদ সত্যিই সাফল্যের নজির তৈরি করেছেন। তার মতো অন্য কৃষকরাও পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে এলে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে ফলের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। এই এলাকার জন্য শাহী জাতের পেঁপে চাষ উপযুক্ত। আমরা কৃষি বিভাগ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। পাশাপাশি এই চাষে নতুন নতুন কৃষি উদ্যোক্তা তৈরীতে নিয়মিত কাজ করছি।