শিরোনাম :
Logo জামাত নেতা হত্যা মামলার মূল আসামী গ্রেফতার Logo সিরাজগঞ্জে পেঁপে চাষে সাফল্যের মুখে রাসেল! Logo বীরগঞ্জে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে পোনা মাছ অবমুক্তকরন, বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা Logo বীরগঞ্জ উপজেলা জাতীয়তাবাদী পল্লী চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে Logo রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের কক্সবাজার- টেকনাফ সড়ক অবরোধ” Logo জুলাই আন্দোলন বিরোধী কার্যক্রমে ইবির ৬১ শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে শোকজ Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ উদ্বোধন Logo ২ হাজার রোহিঙ্গার নামে ভুয়া জম্ন নিবন্ধন। তদন্ত হলেও ব্যবস্থা হয়নি দেড় মাসেও। Logo বেরোবির ছাত্র সংসদের দাবিতে অনশনে ২৪ ঘন্টায় অসুস্থ ৪ ‎ Logo খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকীতে শেরপুর জেলা ছাত্রদলের কুরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

২ হাজার রোহিঙ্গার নামে ভুয়া জম্ন নিবন্ধন। তদন্ত হলেও ব্যবস্থা হয়নি দেড় মাসেও।

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৫:২৮:১৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫
  • ৭০৮ বার পড়া হয়েছে

বায়েজিদ, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) :

পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নে অসংখ্য রোহিঙ্গাদের নামে ভূয়া জন্ম নিবন্ধনের অভিযোগ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দেড় মাস অতিবাহিত হলে ও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয় নি ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তার বিরুদ্ধে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই ইউনিয়নে প্রায় ২ হাজার ব্যক্তির নামে জন্ম নিবন্ধন হলেও অধিকাংশের ব্যক্তির পরিচয় ও বাস্তব অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

সম্প্রতি এ সংক্রান্ত বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হলে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে।

এরপর পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আল-ইয়াসা রহমান তাপাদারকে কমিটির আহবায়ক করে অপর দু’জন সদস্য হলেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ও উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার।

সম্প্রতি তদন্ত কমিটি ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ড ঘুরে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধনকারীদের সন্ধান করেন।

এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে স্থানীয়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদে দেখা যায় নিবন্ধনকারীদের কেউই ওই এলাকায় পরিচিত নয়। তাদের নাম ও অভিভাবকদের নাম দেখে এলাকাবাসী ধারণা করছেন তারা হয়তো বা রোহিঙ্গা হতে পারে।

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে চিহিৃত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবী জানান তারা। তবে বিপুলসংখ্যক ভুয়া নিবন্ধনের জন্য কেউ দায়িত্ব নিতে নারাজ।

বেতকাপা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তা ভূয়া নিবন্ধন সংক্রান্ত বিষয়ে বলেন, আমি কোনো ভুয়া নিবন্ধনে স্বাক্ষর করিনি। তবে এসব ভূয়া নিবন্ধন কিভাবে অনলাইনে এন্ট্রি হলো তাও তো জানি না।

এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির আহবায়ক সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আল-ইয়াসার রহমান তাপাদার জানান, সরেজমিনে গিয়ে আমি সাতটি জন্ম নিবন্ধনের তথ্য যাচাই করেছি। কিন্তু এদের কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জামাত নেতা হত্যা মামলার মূল আসামী গ্রেফতার

২ হাজার রোহিঙ্গার নামে ভুয়া জম্ন নিবন্ধন। তদন্ত হলেও ব্যবস্থা হয়নি দেড় মাসেও।

আপডেট সময় : ০৫:২৮:১৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫

বায়েজিদ, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) :

পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নে অসংখ্য রোহিঙ্গাদের নামে ভূয়া জন্ম নিবন্ধনের অভিযোগ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দেড় মাস অতিবাহিত হলে ও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয় নি ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তার বিরুদ্ধে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই ইউনিয়নে প্রায় ২ হাজার ব্যক্তির নামে জন্ম নিবন্ধন হলেও অধিকাংশের ব্যক্তির পরিচয় ও বাস্তব অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

সম্প্রতি এ সংক্রান্ত বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হলে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে।

এরপর পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আল-ইয়াসা রহমান তাপাদারকে কমিটির আহবায়ক করে অপর দু’জন সদস্য হলেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ও উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার।

সম্প্রতি তদন্ত কমিটি ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ড ঘুরে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধনকারীদের সন্ধান করেন।

এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে স্থানীয়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদে দেখা যায় নিবন্ধনকারীদের কেউই ওই এলাকায় পরিচিত নয়। তাদের নাম ও অভিভাবকদের নাম দেখে এলাকাবাসী ধারণা করছেন তারা হয়তো বা রোহিঙ্গা হতে পারে।

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে চিহিৃত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবী জানান তারা। তবে বিপুলসংখ্যক ভুয়া নিবন্ধনের জন্য কেউ দায়িত্ব নিতে নারাজ।

বেতকাপা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তা ভূয়া নিবন্ধন সংক্রান্ত বিষয়ে বলেন, আমি কোনো ভুয়া নিবন্ধনে স্বাক্ষর করিনি। তবে এসব ভূয়া নিবন্ধন কিভাবে অনলাইনে এন্ট্রি হলো তাও তো জানি না।

এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির আহবায়ক সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আল-ইয়াসার রহমান তাপাদার জানান, সরেজমিনে গিয়ে আমি সাতটি জন্ম নিবন্ধনের তথ্য যাচাই করেছি। কিন্তু এদের কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি।