শিরোনাম :
Logo খুবিতে আন্তঃডিসিপ্লিন ফুটবল প্রতিযোগিতায় টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বাংলা Logo কয়রায় চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে পরিবারের সর্বস্ব লুট  Logo কচুয়ার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় মামুনুর রশীদ মোল্লাকে ফুলেল শুভেচ্ছা Logo ইকসু দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের ‘মার্চ ফর ইকসু’ Logo মৎস্যজীবীদের মুখে হাসি ফোটাতে কচুয়ায় উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনা মাছ অবমুক্তকরণ Logo কচুয়ার নন্দনপুরে ৩৩০ উপকারভোগীর মাঝে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ Logo পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের পানিতে বন্যার দুর্ভোগে অর্ধশত পরিবার। Logo সাতক্ষীরা পৌরসভা ৩ নাম্বার ওয়ার্ডে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন উদ্বোধন -মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসের আহ্বান Logo কচুয়ার সন্তান ইয়াসিন হোসেন ফেনী জেলার শ্রেষ্ঠ সার্ভেয়ার নির্বাচিত Logo হাতপাখা বিজয়ী হলে জনগনের বাজেটের  টাকা জনগণের উন্নয়নে খরচ হবে – মানসুর আহমদ সাকী

ঝিনাইদহ কেসি কলেজের ছাত্রের সাধের ছাদ বাগানে ১৫৪ প্রকার গাছ !

  • আপডেট সময় : ১২:৩৪:০৮ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৮
  • ৮১৬ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ সংবাদাতাঃ

ঝিনাইদহ কেসি কলেজের অনার্স দর্শন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র তানভির আহম্মেদ প্রবল ইচ্ছা আর উদ্যোগে শহরের বাসার ছাদে ১৫৪ প্রকার গাছের সখের বাগান করলেন। কলেজ ছাত্র তানভির আহম্মেদ নিজের ইচ্ছা শক্তি আর বৃক্ষপ্রেমের তাগিদে সে আরাপপুর পশ্চিম পাড়ায় তার এক তলা বাড়ির ১২০০ স্কয়ার ফুটের ছাদে গড়ে তুলেছেন এক সবুজের সমারোহ। সেখানে পায়ের নিচে নরম ঘাসের স্পর্শ না পেলেও হাত দিয়ে স্পর্শ করা যায় বৃক্ষরাজির সবুজ পাতা ও বিভিন্ন ধরণের ফলমুল। তানভিরের ছোট কাল থেকেই গাছের প্রতি ভালবাসা রয়েছে । সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময় সে ছাদবাগান করার কথা ভাবে। এক সময় তার পোষা পাইরা বিক্রি করে ছাদে বিভিন্ন প্রকার গাছ লাগাই। সেই গাছের চারা মেলাই বিক্রি করে আরো বেশি গাছ কেনে। এভাবে দিনে দিনে তার বাগানের গাছের পরিধি বৃদ্ধি পেয়ে তা এখন একটি সমন্বিত ফল, ফুল, ঔষুদী ও শাক-সবজির বাগানে রূপান্তরিত হয়েছে। বর্তমানে তার বাগানে ১৫৪ প্রকার গাছ রয়েছে। এর মধ্যে ৬৫ প্রকার ফলের গাছ রয়েছে, মাল্টা থাই, মাল্টা বারি, ব্যারাকাটা কমলা, ভ্যারাকাটা মারটা, ভ্রারাকাটা পেয়ারা, ড্রাগন ভিয়েতনামী সাদা ও লাল, বন্টাকস্টার আম, পেঁপে, স্ট্রবেরীসহ বিভিন্ন গাছ। ৫০ প্রকার ফুলের গাছের মধ্যে রয়েছে, গোলাপ, গন্ধরাজ, লাল শাপলা, পদ্ম, নাইট কুইন, জারবেরা, এ্যাজেলীয়া, রঙ্গন চায়না,রজনী গন্ধা, গ্রীন প্লাই, ব্লেডিং হাট। ২৪ রকম শোভা বর্ধনকারীর মধ্যে রয়েছে, নলিনা পাম, মন্দিরা ঝাউ, ট্রিসু কার্পেট, দেশী বট, অর্কিড, সবুজ ইনডোর ঘাস, চায়না বাঁশ ইত্যাদ্।ি ১৫ রকম ঔষুধী গাছের মধ্যে রয়েছে, তুলসী, কারমেঘ, অ্যালোভেরা, হরিকতি, বহেরা, তানকুলি, আমরকি ইত্যাদি। তানভির বলেন, তিনি ঝিনাইদহ কেসি কলেজের অনার্স দর্শন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। পড়া শুনার ফাঁকে অবসরে অযথা সময় নষ্ট না করে তিনি বাগানে গাছের পরিচর্যা করে থাকেন। তার বাগানের গাছে কোন প্রকার রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করেন না। জৈব সারসহ ফেলে দেওয়া চা পাতা, তরকারির ফেলে দেওয়া অংশ দিয়ে নিজের তৈরি করা সার ব্যবহার করেন বাগানের গাছে। তানভিরের প্রতিবেশী আব্দুল হান্নান বলেন, তানভীরের ছাদ বাগানে দেখে আমার খুব ভাল লেগেছে সে জন্য ওর বাগান থেকে কিছু গাছ কিনে ছাদে লাগিয়েছি এখন আমিও বড়ো পরিসরে ছাদ বাগান করার কথা ভাবছি। ছাদ বাগান দেখতে আসা জনৈক আমিররুল বলেন, সে সময় পেলে বিকালে এ বাগানে ঘুরতে আসি বিভিন্ন গাছের নাম জানতে পারি এছাড়া পরিবেশ টা অনেক সুন্দর সে জন্যই আশা হয় এখানে। তানভির আহম্মেদ আরো বলেন, প্রবল ইচ্ছাশক্তি আর খানিকটা চেষ্টা থাকলে আপনিও গড়ে তুলতে পারেন চমৎকার একটি বাগান। যখন ফুল-ফলে আপনার বাগান ভরে উঠবে, তখন আপনার মনও স্বর্গীয় প্রশান্তিতে ভরে যাবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবিতে আন্তঃডিসিপ্লিন ফুটবল প্রতিযোগিতায় টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বাংলা

ঝিনাইদহ কেসি কলেজের ছাত্রের সাধের ছাদ বাগানে ১৫৪ প্রকার গাছ !

আপডেট সময় : ১২:৩৪:০৮ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৮

ঝিনাইদহ সংবাদাতাঃ

ঝিনাইদহ কেসি কলেজের অনার্স দর্শন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র তানভির আহম্মেদ প্রবল ইচ্ছা আর উদ্যোগে শহরের বাসার ছাদে ১৫৪ প্রকার গাছের সখের বাগান করলেন। কলেজ ছাত্র তানভির আহম্মেদ নিজের ইচ্ছা শক্তি আর বৃক্ষপ্রেমের তাগিদে সে আরাপপুর পশ্চিম পাড়ায় তার এক তলা বাড়ির ১২০০ স্কয়ার ফুটের ছাদে গড়ে তুলেছেন এক সবুজের সমারোহ। সেখানে পায়ের নিচে নরম ঘাসের স্পর্শ না পেলেও হাত দিয়ে স্পর্শ করা যায় বৃক্ষরাজির সবুজ পাতা ও বিভিন্ন ধরণের ফলমুল। তানভিরের ছোট কাল থেকেই গাছের প্রতি ভালবাসা রয়েছে । সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময় সে ছাদবাগান করার কথা ভাবে। এক সময় তার পোষা পাইরা বিক্রি করে ছাদে বিভিন্ন প্রকার গাছ লাগাই। সেই গাছের চারা মেলাই বিক্রি করে আরো বেশি গাছ কেনে। এভাবে দিনে দিনে তার বাগানের গাছের পরিধি বৃদ্ধি পেয়ে তা এখন একটি সমন্বিত ফল, ফুল, ঔষুদী ও শাক-সবজির বাগানে রূপান্তরিত হয়েছে। বর্তমানে তার বাগানে ১৫৪ প্রকার গাছ রয়েছে। এর মধ্যে ৬৫ প্রকার ফলের গাছ রয়েছে, মাল্টা থাই, মাল্টা বারি, ব্যারাকাটা কমলা, ভ্যারাকাটা মারটা, ভ্রারাকাটা পেয়ারা, ড্রাগন ভিয়েতনামী সাদা ও লাল, বন্টাকস্টার আম, পেঁপে, স্ট্রবেরীসহ বিভিন্ন গাছ। ৫০ প্রকার ফুলের গাছের মধ্যে রয়েছে, গোলাপ, গন্ধরাজ, লাল শাপলা, পদ্ম, নাইট কুইন, জারবেরা, এ্যাজেলীয়া, রঙ্গন চায়না,রজনী গন্ধা, গ্রীন প্লাই, ব্লেডিং হাট। ২৪ রকম শোভা বর্ধনকারীর মধ্যে রয়েছে, নলিনা পাম, মন্দিরা ঝাউ, ট্রিসু কার্পেট, দেশী বট, অর্কিড, সবুজ ইনডোর ঘাস, চায়না বাঁশ ইত্যাদ্।ি ১৫ রকম ঔষুধী গাছের মধ্যে রয়েছে, তুলসী, কারমেঘ, অ্যালোভেরা, হরিকতি, বহেরা, তানকুলি, আমরকি ইত্যাদি। তানভির বলেন, তিনি ঝিনাইদহ কেসি কলেজের অনার্স দর্শন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। পড়া শুনার ফাঁকে অবসরে অযথা সময় নষ্ট না করে তিনি বাগানে গাছের পরিচর্যা করে থাকেন। তার বাগানের গাছে কোন প্রকার রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করেন না। জৈব সারসহ ফেলে দেওয়া চা পাতা, তরকারির ফেলে দেওয়া অংশ দিয়ে নিজের তৈরি করা সার ব্যবহার করেন বাগানের গাছে। তানভিরের প্রতিবেশী আব্দুল হান্নান বলেন, তানভীরের ছাদ বাগানে দেখে আমার খুব ভাল লেগেছে সে জন্য ওর বাগান থেকে কিছু গাছ কিনে ছাদে লাগিয়েছি এখন আমিও বড়ো পরিসরে ছাদ বাগান করার কথা ভাবছি। ছাদ বাগান দেখতে আসা জনৈক আমিররুল বলেন, সে সময় পেলে বিকালে এ বাগানে ঘুরতে আসি বিভিন্ন গাছের নাম জানতে পারি এছাড়া পরিবেশ টা অনেক সুন্দর সে জন্যই আশা হয় এখানে। তানভির আহম্মেদ আরো বলেন, প্রবল ইচ্ছাশক্তি আর খানিকটা চেষ্টা থাকলে আপনিও গড়ে তুলতে পারেন চমৎকার একটি বাগান। যখন ফুল-ফলে আপনার বাগান ভরে উঠবে, তখন আপনার মনও স্বর্গীয় প্রশান্তিতে ভরে যাবে।