মু.ওয়াছীঊদ্দিন,লক্ষীপুর প্রতিনিধি : লক্ষীপুরে এবার ১৩ বছর বয়সী এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) সকালে দুলাল নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। অপর অভিযুক্ত মুকবুলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে পুলিশ জানায়। এর আগে সদর উপজেলার বশিকপুর গ্রামে ভিকটিম ওই ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়,এমন অভিযোগে থানায় মামলা করে তার পরিবার। ভিকটিম রশিদপুর রহমানিয়া দাখিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। তাকে ডাক্তারী পরীক্ষা নিরিক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ভিকিটিম ও পরিবার জানায়, গত ২৭ মার্চ মঙ্গলবার বিকালে ওই ছাত্রী তার বাড়ির পাশের ফসলী বাগানে পানি দিচ্ছিল। এসময় একই এলাকার বখাটে মুকবুল ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক পাশের বাগানে নিয়ে যায়। এসময় মুকবুল ও তার সহযোগি দুলালসহ তাকে (ছাত্রীকে) পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে বিষয়টি কাউকে বললে তাকেসহ পরিবারের সবাইকে হত্যার হুমকি দেয় তারা।
ঘটনার ৩দিন পর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে আবারো ধর্ষনের চেষ্টা চালায় মুকবুল। এসময় দৌড়ে বসতঘরে চলে আসলে তার বাবা ও ভাবীর সামনে তাকে মারধর করে দুলাল,পরে ভিকটিমকে কোলে বসিয়ে ভিডিও ধারণ করে তারা।এর পর পূর্বের ঘটনাটি অভিভাবাকদের কাছে জানান ওই ছাত্রী। বিষয়টি স্থানীয়দের জানানোর পর বুধবার বিকালে মুকবুল ও দুলালকে আসামি করে থানায় মামলা করে ভিকটিমের বাবা।
ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত দুলাল বশিকপুর ইউপির বড় রশিদপুর গ্রামের দ্বীন ইসলামের ছেলে এবং মুকবুল একই গ্রামের হাবিব উল্যার ছেলে।
এ ব্যাপারে লক্ষীপুরের পুলিশ সুপার আ স ম মাহতাব উদ্দিন বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত আসামি দুলালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামি মুকবুলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।