শিরোনাম :
Logo বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত তেঁতুলিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সম্পাদক Logo কচুয়ায় কহলথুড়ি ফুটবল একাডেমীর উদ্যোগে টুর্নামেন্ট উদ্বোধন Logo চুয়াডাঙ্গায় বাইসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত Logo ইবিতে আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ Logo জীবননগরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু Logo ৪১ ডিগ্রি ছাড়াল চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা, গলে যাচ্ছে রাস্তার পিচ Logo ইবিতে শুরু হয়েছে গুচ্ছ এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা Logo অবরুদ্ধ গাজায় একদিনেই নিহত ১০৬ ফিলিস্তিনি Logo ভারতের কাছে পাইলট আটকের প্রমাণ চাইলো পাকিস্তান Logo নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বললেন আসিফ মাহমুদ

ঝিনাইদহে ব্যাপক সাড়া পড়েছে সুবল লতা ধান চাষে !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৪:৪২:০৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৭৭৪ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহে উদ্ভাবনকৃত সুবললতা ধান কৃষকের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। এবার আউশ মৌসুমে এ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষক এখন এ ধানের মাড়াইকাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। উৎপাদন সম্পর্কে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ ধান আফ্রিকা থেকে আনা নেরিকা জাতের ধানকেও টপকে গেছে।

কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটি ইউনিয়নের আহসাননগর গ্রামে কৃষক সুবল বিশ্বাস ২০০৬ সালের দিকে এ ধান উদ্ভাবন করেন। ওই বছর তিনি তার জমিতে কাজললতা ধান চাষ করেন। এ ধানের মধ্যে ১টি ধানের শীষ খুবই পুষ্টিকর হয়। সেই ধান থেকে ২০০ গ্রাম ধান সংগ্রহ করেন। পরে ওই ধান বোরো মৌসুমে ১ শতক জমিতে চাষ করে ১ মণ বীজ উৎপাদন করেন।

এরপর গ্রামের ১৪-১৫ জন কৃষকের মধ্যে ধান বিতরণ করেন। শুরু হয় বিপ্লব। বিঘাপ্রতি জমিতে ৩০ থেকে ৩২ মণের কাছাকাছি ধান পাওয়া যায়। ঝড় ও দুর্যোগ মোকাবিলার ক্ষমতা রয়েছে এ ধানের। এর উচ্চতা ৮৫-৯০ সেন্টিমিটার, গাছ শক্ত হয়, চিটা হয় কম। এ ধান চাষে উৎপাদন খরচও একেবারে কম। আয়ুষ্কাল ১২০ দিন।

বর্তমানে ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, যশোর, মাগুরা, সাতক্ষীরা, রাজশাহী, বগুড়া, বরিশালসহ প্রায় ২০টি জেলায় এ ধান চাষ হচ্ছে। এমনকি পাশের দেশ ভারতের কৃষকও বীজ নিয়ে এ ধানের চাষ করছেন।

এলাকার কৃষক অভাবনীয় সাফল্যের কারণে কৃষক সুবলের নাম দিয়ে এ ধানের নাম রাখেন ‘সুবললতা’। তবে এ ধান ব্যাপকভাবে চাষ হলেও ধান উদ্ভাবনের বিষয় মানুষের অজানা রয়ে গেছে। সেই সঙ্গে অনেক কৃষক চাইছেন, এ ধান যেন রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি পায়।

সুবললতা ধান উদ্ভাবনকারী কৃষক সুবল বিশ্বাস জানান, ইরি, বোরো, আউশ— এ তিনটি মৌসুমে এ ধানের বাম্পার ফলন হয়। অন্যান্য ধানের তুলনায় সার, কীটনাশক কম লাগে। ফলনের দিক থেকে লাভ হয় বেশি। এ ধানের চালও চিকন, ভাত খেতেও খুব সুস্বাদু।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ড. খান মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘একটা ভালো ধানের জাত বের করতে হলে বিভিন্ন রকম বৈজ্ঞানিক কর্মপন্থা অবলম্বন করতে হয়।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কৃষক সুবল বিশ্বাস এ ধানটি আবিষ্কার করেছেন। তাই আমাদের সিট বোর্ড এ ধানের জাতটা আত্মপ্রকাশ করলে দেশের কৃষক অত্যন্ত লাভবান হবেন বলে আমি মনে করি।’

ট্যাগস :

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত তেঁতুলিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সম্পাদক

ঝিনাইদহে ব্যাপক সাড়া পড়েছে সুবল লতা ধান চাষে !

আপডেট সময় : ০৪:৪২:০৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহে উদ্ভাবনকৃত সুবললতা ধান কৃষকের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। এবার আউশ মৌসুমে এ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষক এখন এ ধানের মাড়াইকাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। উৎপাদন সম্পর্কে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ ধান আফ্রিকা থেকে আনা নেরিকা জাতের ধানকেও টপকে গেছে।

কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটি ইউনিয়নের আহসাননগর গ্রামে কৃষক সুবল বিশ্বাস ২০০৬ সালের দিকে এ ধান উদ্ভাবন করেন। ওই বছর তিনি তার জমিতে কাজললতা ধান চাষ করেন। এ ধানের মধ্যে ১টি ধানের শীষ খুবই পুষ্টিকর হয়। সেই ধান থেকে ২০০ গ্রাম ধান সংগ্রহ করেন। পরে ওই ধান বোরো মৌসুমে ১ শতক জমিতে চাষ করে ১ মণ বীজ উৎপাদন করেন।

এরপর গ্রামের ১৪-১৫ জন কৃষকের মধ্যে ধান বিতরণ করেন। শুরু হয় বিপ্লব। বিঘাপ্রতি জমিতে ৩০ থেকে ৩২ মণের কাছাকাছি ধান পাওয়া যায়। ঝড় ও দুর্যোগ মোকাবিলার ক্ষমতা রয়েছে এ ধানের। এর উচ্চতা ৮৫-৯০ সেন্টিমিটার, গাছ শক্ত হয়, চিটা হয় কম। এ ধান চাষে উৎপাদন খরচও একেবারে কম। আয়ুষ্কাল ১২০ দিন।

বর্তমানে ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, যশোর, মাগুরা, সাতক্ষীরা, রাজশাহী, বগুড়া, বরিশালসহ প্রায় ২০টি জেলায় এ ধান চাষ হচ্ছে। এমনকি পাশের দেশ ভারতের কৃষকও বীজ নিয়ে এ ধানের চাষ করছেন।

এলাকার কৃষক অভাবনীয় সাফল্যের কারণে কৃষক সুবলের নাম দিয়ে এ ধানের নাম রাখেন ‘সুবললতা’। তবে এ ধান ব্যাপকভাবে চাষ হলেও ধান উদ্ভাবনের বিষয় মানুষের অজানা রয়ে গেছে। সেই সঙ্গে অনেক কৃষক চাইছেন, এ ধান যেন রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি পায়।

সুবললতা ধান উদ্ভাবনকারী কৃষক সুবল বিশ্বাস জানান, ইরি, বোরো, আউশ— এ তিনটি মৌসুমে এ ধানের বাম্পার ফলন হয়। অন্যান্য ধানের তুলনায় সার, কীটনাশক কম লাগে। ফলনের দিক থেকে লাভ হয় বেশি। এ ধানের চালও চিকন, ভাত খেতেও খুব সুস্বাদু।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ড. খান মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘একটা ভালো ধানের জাত বের করতে হলে বিভিন্ন রকম বৈজ্ঞানিক কর্মপন্থা অবলম্বন করতে হয়।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কৃষক সুবল বিশ্বাস এ ধানটি আবিষ্কার করেছেন। তাই আমাদের সিট বোর্ড এ ধানের জাতটা আত্মপ্রকাশ করলে দেশের কৃষক অত্যন্ত লাভবান হবেন বলে আমি মনে করি।’