মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুরের মুজিবনগর কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকে দায়ীত্বরত কালাম নামের এক আনসার সদস্য বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসি নিউজ ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল পরিবর্তন ডটকমের মেহেরপুর প্রতিনিধি আবু আক্তার করনকে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করেছে। এসময় অভিযুক্ত আনসার সদস্যর ছবি নিতে গেল অশালীন ভাষায় গালাগালি ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। পরে খবর পেয়ে মেহেরপুর থেকে সাংবাদিকরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এঘটনায় অভিযুক্ত আনসার সদস্য কালাম কে ক্লোজ করা হয়েছে বলে জানান মুজিবনগর আনসার ক্যাম্প কমান্ডার জহিরুল ইসলাম।
সংবাদকর্মী আবু আক্তার করন জানান, সকালে নিউজের জন্য মুজিবনগর কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকে প্রবেশের সময় দায়ীত্বরত তিন আনসার সদস্য তাকে জানান মটরসাইকেল নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করা যাবেনা। প্রবেশ করতে হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমতি লাগবে। পরে তিনি অনুমতির জন্য জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ কে ফোন করে অনুমতির কথা জানান। এসময় জেলা প্রশাসক বলেন আমি ইউএনও কে বলে দিচ্ছি। সবায় জন্য যেন আইন সমান হয়। রাজনৈতিক নেতা পরিচয় দিলে যেন আবার তাকে ভিতরে প্রবেশ করতে না দেওয়া হয় একথা বললে কালাম নামের এক আনসার সদস্য হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে সাংবাদিক আবু আক্তার করনকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে গেটের বাইরে পাঠিয়ে দেয়। এসময় আনসার সদস্য বলেন আমার নামে ৫টি নিউজ কর। তোকে ভিতরে প্রবেশ করতে দেব না। পরে এই সংবাদকর্মী আনসার সদস্যর ছবি তুলতে গেলে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহকে জানালে তিনি জানান, বিষয়টি আমি দেখবো। এবং কেন এধরনের ব্যাবহার করেছে সেটার জন্য আমি ইউএনও কে বলছি।
মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা আক্তার জানান, বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো।
মুজিবনগর আনসার ক্যাম্পের কমান্ডার জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, এঘটনার পর উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ কে বিষয়টি জানালে অভিযুক্ত আনসার সদস্যকে এখান থেকে ক্লোজ করে নিয়েছেন।
এঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সাংবাদিক নেতা ঘটনার সুষ্ট বিচারের দাবী সহ বিভিন্ন কর্মসূচির জন্য সন্ধ্যায় মেহেরপুর প্রেসক্লাবে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধীক ব্যাক্তি জানান, চলতি মাসের ১৩ তারিখ থেকে মুজিবনগর কমপ্লেক্সের ভিতরে সব ধরনের মটরসাইকেল প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু অর্থের বিনিময়ে আনসার সদস্যরা মটরসাইকেল ও পাখি ভ্যান কমপ্লেক্সের ভিতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন। আর এই টাকার ভাগ আনসার সদস্যরা ও স্থানীয় কিছু নেতারা ভাগ পান বলে তারা জানান।